Better Life with Steem|| The Diary Game|| 2nd April 2025

in Incredible India2 months ago
1000001781.jpg

নমস্কার বন্ধুরা,
গরমে কি অবস্থা সকলের? আমি কাজের ধারাবাহিকতাটাই হারাইয়ে ফেলছি। এই যে প্রতিদিন রাতে পরিকল্পনা করি কিন্তু সকালে ঘুম থেকে উঠে গরমে আর পরিকল্পনা মনেই থাকে না। আজ ও সেইটার ব্যতিক্রম হয়নি।

যাইহোক, সকাল সকাল ঘুম থেকে উঠেই শুনলাম আজকে নিমন্ত্রণ আছে। পাশাপাশি ক্যান্সারে আক্রান্ত ভাইকে দেখে আসতে পারবো। যাইহোক, প্রাতঃকৃত্য সেরে কিছু খাবার খেয়ে নিলাম। খানিকক্ষণ মোবাইলটা চার্জে লাগিয়ে বাবার সাথে একটা জায়গা নিয়ে বেশ গুরুত্বপূর্ণ কিছু বিষয় আলোচনা করলাম। ইতিমধ্যে প্রায় বাংলাদেশ সময় সকাল সাড়ে এগারোটা। তাই বিলম্ব না করেই বেরিয়ে পড়লাম। কি গরম! বিভিন্ন প্রাকৃতিক দুর্যোগের ফলে যুগের পর যুগ দাঁড়িয়ে থেকে ছায়া দেওয়া গাছ গুলো এখন বিলুপ্ত। তাই ঐ রোদ্দুর উপেক্ষা করার ও কোনো উপায় নেই।

1000001767.jpg

এই তো সেই অনুষ্ঠানের বাড়ি যেখানে আমাদের সকলের নিমন্ত্রণ ছিল। কথায় আছে "দশ জন যেখানে ভগবান সেখানে।"

যাইহোক, কিছুক্ষণ এখানে অবস্থান করলাম। মিনিট বিশ পরেই এই ঘরের দাদা, কল করে বললো আয়োজন করা নিরামিষ একটু দেখে আসতে। পাশাপাশি, সেখানে যেন কিছুর কমতি না থাকে।

1000001769.jpg

রান্নার স্থানে গিয়েই দেখলাম সেজো মা রান্না করছে। পাশাপাশি, সহযোগিতা করছে আমার এক কাকিমা। বাড়ির মধ্যে বেশ কিছু বড় গাছ এই বাড়িতে এখনো আছে যে কারণে মাটির চুলায় রান্না করতে এই প্রচন্ড গরমেও খানিকটা কষ্ট কমই হচ্ছে। আমার ওখানে কোনো কাজই নেই তাই ঐ অসুস্থ ভাইয়ের বাড়িতে গেলাম।

নাকে নল বসানো খাবার খাওয়ার জন্য। আমাদের পাড়ার এই ভাই এমন একটা মানুষ যে থাকলে মানুষ না হেসেই থাকতে পারতো না। আজ আজকে এই মানুষটার জীবনেই নেমে এসেছে অন্ধকার। প্রতিটা মুহূর্ত যেন মৃত্যুর প্রহর গুনছে।

1000001771.jpg

ইতিমধ্যে আমার জল খেতে ইচ্ছে করছিল আর ঐ ভাইয়ের বারান্দায় পেলাম পিসিদের। সকলেই ইদের ছুটিতে বাড়িতে এসেছে। যাইহোক, পিসিদের সাথে রোদ্দুরে টই টই করে কিছুক্ষণ ঘোরাঘুরি করলাম। তারপর এক পিসির ঘরে গিয়ে ফ্রিজ থেকে ঠাণ্ডা জল বের করে বাইরের জলের সাথে মিশিয়ে খেয়ে নিলাম।

1000001772.jpg

যেহেতু রোদ্দুরের ভয়ে বেরোনো হয় না তাই সুযোগে চিন্তা করলাম আর একটু সময় থাকি। অন্য পাসি ঘরে গিয়ে চা বানাচ্ছিলেন। এবার পিসিদের সাথে বসে গল্প করছিলাম আর চা খাচ্ছিলাম। চা শেষ হতে না হতেই দিদির গুরুত্বপূর্ণ কল পেলাম। আমিও সাথে সাথে কলটা তুলেছিলাম।

ইচ্ছে ছিল আরো কিছু সময় থাকবো যেহেতু ঐরকম কোনো কাজ ছিল না। তবে হঠাৎ দিদি খুব গুরুত্বপূর্ণ একটা বিষয় নিয়ে কথা শুরু করেছিলেন তাই পিসিদের রেখে বাড়ির উদ্দেশ্যে রওনা দিলাম। কারণ ঐখানে ছোট ছোট ভাই-বোন ছিল ওরা একটু চেঁচামেচি করছিল।

যাইহোক, হাঁটতে হাঁটতে আর কথা বলতে বলতে বাড়িতে ফিরে এসেছিলাম। বাড়িতে ফিরে পাখা অন করে দিদির সাথে ঐ গুরুত্বপূর্ণ বিষয় নিয়ে কথা শেষ করেই স্নান করতে গিয়েছিলাম।

কিন্তু ঐ যেই খারাপ সময়ের কথা আগেও কয়েকটা লেখাতে উপস্থাপন করেছিলাম। হয়তো আমি সরাসরি হুট করেই বলে ফেলি। কিন্তু আমার উদ্দেশ্য সর্বদাই ভালো পরামর্শ থাকে। তবে হ্যাঁ সর্বদাই যে আমার সিদ্ধান্ত সঠিক হবে এমনটা একদমই না।

যাইহোক, আমি কাকিমার অপারেশনের কথা বলেছিলাম যাকে অপারেশনের তৃতীয় দিনেই বাড়িতে নিয়ে এসেছিল ইদের ছুটির কারণে। স্নান করতে গিয়ে শুনলাম সেলাইয়ের জায়গায় জল ঝরছে। আমার এক কাকিমা আবার সরকারি নার্স ঐ কাকিমা বাড়িতে এসেছে ছুটিতে তাই কাকিমাকে ডেকে এনে ড্রেসিং করালাম। কিন্তু আমার কাছে বিশেষ ভালো মনে হচ্ছে না।

এই একই ঘটনা আমার ছোটা কাকিমার বেলাতেও ঘটেছিল। এই তো বেশি বুদ্ধিমান হলে যা হয় আর কি! একটু সময় বাঁচাতে গিয়ে এখন কতো বড় ভোগান্তি!

আগামীকাল কাকিমাকে নিয়ে আবার হাসপাতালে যেতে হবে। তারপরে আমি স্নান সেরে নিয়েছিলাম।

1000001776.jpg

দুপুরে খাবার ও খেতে ইচ্ছে করছিল না। মনটা ভীষণ খারাপ হয়ে ছিল। যাইহোক, কোনোরকম একটু খেয়েই ভাতে রেখে উঠলাম। তারপর মোবাইল হাতে নিয়ে একটা কাজ করতে করতেই একটু ঘুমিয়ে পড়েছিলাম। ঘুম থেকে উঠে দেখলাম সন্ধ্যা হয়ে আসছিল।

এভাবেই আমি আজকের দিনটা অতিবাহিত করেছি। আমার লেখাটি এখানেই সমাপ্ত করছি।

Sort:  
Loading...
 2 months ago 

@okere-blessing,

Thank you so much for your valuable support.

 last month 

১০ জনে যখন একটা কাজ করে তখন সেই কাজ করা অনেক বেশি সহজ হয়ে যায় এবং তাড়াতাড়ি শেষ হয়ে যায়। আপনার পিসিরা ঈদের সময় বাড়িতে ঘুরতে এসেছে আপনিও তাদের সাথে বিভিন্ন জায়গায় ঘুরে বেড়িয়েছেন তবে এই গরমের মধ্যে পরিকল্পনাগুলো একেবারেই মাটিতে মিশে যায় যাই হোক অসংখ্য ধন্যবাদ আপনার একটা দিনের কার্যক্রম আমাদের সাথে তুলে ধরার জন্য ভালো থাকবেন।