Better Life with Steem|| The Diary Game|| 04th June 2025
![]() |
---|
Hello Steemians,
অনেক দিন পরে কিছুটা ব্যস্ত সময় অতিবাহিত করলাম। এখন বাংলাদেশ সময় রাত আটটার কাছাকাছি, আমি সবেমাত্র পোস্ট লেখার জন্য মোবাইলটা হাতে নিয়েছি। যদিও ইচ্ছে ছিল আরো আগে লেখার কিন্তু মোবাইলে চার্জ ছিল না। বোনের মেয়ে রয়েছে বাড়িতে তাই ভয়ে মোবাইলটা চার্জে ও বসাতে পারিনি। কারণ বিকেলে বন্ধুর সাথে দেখা করতে একটু বেরিয়েছিলাম। যাইহোক, চলুন তাহলে মূল লেখাতে ফিরে যাই।
![]() |
---|
![]() |
---|
এমনিতেই আমি রাত চারটার আগে সাধারণত ঘুমাই না তবে বিগত রাতে আরো বিলম্ব হয়েছিল। মাঝ রাতেই প্রচণ্ড মেঘের গর্জন সাথে ভারী বর্ষণ তাই কাজ করতে করতেই বিদ্যুৎ বিভ্রাট হয়েছিল। যদিও কম্পিউটার বা Wifi এর কোনো সমস্যা ছিল না কারণ বিদ্যুৎ এর বিকল্প ব্যবস্থা ইতিমধ্যেই করে রেখেছি। তবুও সকল সংযোগ বিচ্ছিন্ন করেছিলাম। কারণ বর্তমান মেঘের গর্জন হলেই বজ্রপাতের দূর্ঘটনার কথা শোনা যায়।
যখনই আবহাওয়া ঠিক হলো তখন আমার বোনের মেয়ে ঘুম থেকে উঠেই বায়না ধরলো গান শুনবে। এই যে কোলে উঠে বসেছিল আর নামতেই চাচ্ছিল না। যে কারণে ঘুম থেকে উঠে সকালের কাজ সেরে খাবার খেতে খেতে প্রায় দুপুর বারোটা বেজেছিল।
![]() |
---|
এরপর গিয়েছিলাম জ্যাঠাবাবুর বাড়িতে, কারণ একটা কোর্সে আবেদন করতে হবে। যদিও আমি নিজে করতে পারতাম তবে ছোটভাই আর করতো না। এছাড়াও আমি আরো কয়েকজনকে উৎসাহিত করেই আবেদন করিয়েছি। একটা বার্তা সকল বাংলাদেশীদের জন্য,
ইতিমধ্যে সরকারি উদ্যোগে ৩মাস ব্যাপী একটা freelancing course প্রতিটি জেলার জন্য বরাদ্দ হয়েছে যেখানে ৪৮ জেলার শিক্ষার্থী বা বেকার যুবক যুবতী ঐ প্রশিক্ষণটি বিনামূল্যে এবং নিয়মিত একটা বেতন পেয়ে গ্রহণ করতে পারবে। তাই যাঁরা যারা ইচ্ছুক, এই সুযোগটা কাজে লাগাতে পারেন।
![]() |
---|
আমাদের আবেদন পর্ব শেষ, ছোটভাই ইদানিং অনলাইনে একটা জব করছে যেটার টিম লিড করছে আমার এই ছোটভাই ই। মোটামুটি, দুপুরের মধ্যকার কাজ শেষ, আমাদের দুপুরে বাইরে যাওয়ার একটা রুটিন আছে। ঐ যে বড় মায়ের কথা প্রায়শই বলি যিনি ক্যান্সারে আক্রান্ত ওনাদের বাড়িতে ঘুরতে যাওয়া।
তাছাড়া হঠাৎ আকাশে মেঘের ঘনঘটা ও শীতল বাতাস ভালোই লাগছিল। দুই ভাই-বোন বেরিয়েছিলাম ঐ বাড়ির উদ্দেশ্যে। প্রায় ইং আসা হয় কিন্তু তুলসী গাছের দিকে খেয়াল করা হয়নি। কি পরিমাণ!? চারাগাছ গজিয়েছে সেইটা একটু দেখুন।
বড় মায়ের সাথে আড্ডা দেওয়া শেষ, এরপর আম খেয়েই বাড়ির উদ্দেশ্যে বেরিয়েছিলাম। পথেই এক ছোট ভাই লাটিম নিয়ে বেরিয়েছিল। কিন্তু আমাদের যন্ত্রণায় কি আর লাটিম ঘোরাবে? লাটিম খুঁজে আনতে আনতেই অবস্থা খারাপ। আমরা আবার এক দাদাকে ও ডেকে নিয়েছিলাম।
শৈশবে অনেক লাটিম ঘুরিয়েছি তাই আমি আর বাদ যাবো কেন? অনেক দিন পর লাটিম দেখে যেন আর ঝোঁকটাই সামলাতে পারলাম না। ওদের মতো আমিও কিছু সময় লাটিম ঘোরালাম।
![]() |
---|
আমাদের পুকুরের জন্য খাবার অর্ডার করা ছিল দেখলাম সেগুলো ও চলে এসেছে। বাবার সাথে একটু কাজ করলাম। ছোটভাইকে বিকেলে দেখা করার কথা বলেই বাড়িতে ফিরে স্নান সেরে নিলাম। তবে দুপুরে আর খেতে ইচ্ছে করলো না।
বিকেলে গেলাম বন্ধুর সাথে দেখা করতে। ছোটভাইয়ের টিমে ওকে নিয়োগ দেওয়ার একটা কথা বার্তা আমরা দুই ভাই-বোন ইতিমধ্যে আলোচনা করেছি। বর্তমানে সৎ মানুষ ও কাজে মনোযোগী মানুষের বড্ড অভাব। আমার যেহেতু বন্ধু তাই একটু জোর দিয়েই বললাম নিয়ে নে, পরেরটা দেখে নেওয়া যাবে।
![]() |
---|
![]() |
---|
আমারি এক শিক্ষার্থী নতুন দোকান দিয়েছে, সেই উপলক্ষে এক কৌটা লাড্ডু খেতে দিল। যদিও নিতে নারাজ ছিলাম কিন্তু শিক্ষার্থী ছিল নাছোড়বান্দা। তাই না নিয়ে আর পারলাম না। এমনকি ঐ মূহুর্তেই বাইকে করে আমাকে বাড়িতে ছেড়ে গিয়েছিল।
এভাবেই আজকের দিনটা অতিবাহিত করেছিলাম। আমার আজকের লেখাটি এখানেই সমাপ্ত করছি।