Better Life with Steem||The Diary Game|| 03 August 2025

in Incredible India6 days ago
1000005147.jpg

Hello Steemians,
আবহাওয়ার কি অবস্থা? আমাদের এদিকে তো পুরোই বর্ষাকাল মনে হচ্ছে। তবে গরম একদমই কমছে না যেমনটা শৈশবে উপভোগ করেছি। আজ একটু সকাল সকালই পোস্ট লেখার জন্য মোবাইলটা হাতে নিয়েছি। কারণ বিগত যে কয়েকদিন লেখা গ্যাপ পড়েছে সেইটা পরে লেখবে ভেবেই হয়েছে। কম্পিউটারে বসলে কাজ করতে করতে কখন যেন মধ্যরাত পার করে ফেলি নিজেই বুঝতে পারি না।

তবে এটা একটা ভালো দিক, কারণ আমার মনে আছে শৈশবে পড়তাম কম কিন্তু সেইটা খুবই মনোযোগী হয়েই করতাম। আমার এটা মনে আছে যে ৩/৪ ঘণ্টা না এক ঘন্টাই যথেষ্ট ছিল আমার জন্য। ঐ এক ঘন্টা আমার বইয়ে এতোটাই মনোযোগ ছিল যে পাশে রণক্ষেত্র হলেও আমি বুঝতে পারতাম না। ঐ শৈশবের সোনালী দিন গুলোর প্রতিটা মূহুর্তই ছিল মহামূল্যবান। আবারো যদি ফিরে যেতে পারতাম! যেখানে ছিলনা কোনো দায়িত্ব, ছিলনা কোনো চিন্তা।

1000005118.jpg

আজ সকালে প্রায় নয়টার দিকে ঘুম থেকে উঠেছিলাম। ঘুম থেকে উঠেই দেখলাম রৌদ্রজ্জ্বল আবহাওয়া, কোনোরকম প্রাতঃকৃত্য শেষ হতে না হতেই দেখলাম চারপাশে অন্ধকার নেমে এসেছে। কিছু বুঝে ওঠার আগেই ভারী বর্ষণ শুরু হয়েছিল। ঐ সময় সকালের ওষুধ খেয়ে নিলাম, তারপর সকালে খাবার হিসেবে একটা সিদ্ধ ডিম খেয়েছিলাম। ঘুম থেকে উঠেই খাবার খাওয়া যায় না। আবার বোনের পরীক্ষা, তাই পুচকুকে একটু সময় দিলাম।

বোন চলে যাওয়ার পর পুচকু স্নান সেরে একটা ডিমের অর্ধেকটা খেয়েই ঘুমিয়ে পড়েছিল। সেই সুযোগে আমি ছাতা হাতে একটু রাস্তায় বেরিয়েছিলাম। অল্প সময়ের বৃষ্টি যেন পরিবেশটাই পরিবর্তন করে দিয়েছিল।

1000005121.jpg

স্কুল ছুটির পরে বাড়িতে পৌঁছে কাকাতো ভাই খাবার খাচ্ছিল। ছবি তুলতে তাঁর ভীষণ লজ্জা লাগে, তাই হুট করেই ক্যামেরা অন করে একটা ছবি তুলেছিলাম। ইতিমধ্যে আবার বৃষ্টি শুরু হয়েছিল।‌ তাই দ্রুত হাতের ছাতা খুলেছিলাম।

1000005122.jpg

আবহাওয়ার কারণে রাস্তায় তেমন একটা লোকজন ছিল না। রাস্তার দক্ষিণ দিকে দেখলাম একটা ভ্যান দাঁড় করানো, পাশেই আর একজন ভদ্রলোক। একটু কাছে যেতেই বুঝলাম ও ভদ্রলোক ডাবের জল খাচ্ছিল। আমি কখনো এটা দেখিনি যে আমাদের খাওয়ার জন্য কোনোদিন একটা শুকনো নারকেল বাবা ক্রয় করেছে। কিন্তু ইদানিং এই ডাব নারকেল বিক্রয়ের চক্করে এলাকার কারো নারকেল গাছেই আর শুকনো নারকেল দেখা যাচ্ছে না।

1000005127.jpg

বৃষ্টি থামার কারণে দক্ষিণ দিকে হাঁটছিলাম যাতে বড়'দির গাছের পেয়ারা খেতে পারি। এরই মধ্যে আবারো বৃষ্টি শুরু হয়েছিল। ওহ! বৃষ্টি থামা দেখে কেউ কেউ তাদের বাড়ি বা কাজে বেরিয়েছিল কিন্তু আবার হঠাৎ বৃষ্টি। এ কারণেই আমারি এই ছবিতেই দেখা যাচ্ছে অনেক দূরে একটা লোক গাছের পাশ ঘেঁষে দাঁড়িয়েছে যাতে বৃষ্টিতে না ভিজতে হয়। মেঘ সরে যেতেই আবারো বৃষ্টি বন্ধ হয়েছিল।

1000005131.jpg

একটু দূরে দেখলাম রাস্তার পূর্ব পাশে আমাদের পুরনো বাড়ির ছোট কাকু মাছ ধরছিল। হাঁটতে হাঁটতে সেখানে পৌঁছালাম কিন্তু বাগদা চিংড়ি একদমই উঠছিল না। ভাইরাসের সংক্রমণে এলাকার অধিকাংশ জলকরের মাছ শেষ। রাখে ঈশ্বর মারে কে? একটা মহামূল্যবান কথা। কারণ ইদানিং দুষ্কৃতকারীদের আনাগোনা বেশি যে কারণেই হয়তো এই ফলাফল দেখাচ্ছেন। ঈশ্বর ছাড় দেন কিন্তু ছেঁড়ে দেন না।

1000005140.jpg

বাড়িতে ফিরে স্নান সেরে একটু দ্রুত বাজারের উদ্দেশ্যে বেরিয়েছিলাম। পথেই দেখলাম কয়েকজন এলাকার ছেলে স্কুলের পাশে থাকা দেয়ালের ওপরে উঠে বসে রয়েছে। আমাকে ছবি তুলতে দেখেই কোনো কথা না বলে চুপচাপ নিচে নেমে দৌড়ে পালিয়েছিল। তবে কি কারণে সেইটা বুঝতে পারলাম না।

1000005141.jpg

অনেকদিন বাদে কাঠের সাঁকো পার হলাম। আকাশে মেঘের ঘনঘটা তাই পড়ন্ত বিকেলের সেই লাল টগবগে সূর্যের রশ্মি দেখতে পেলাম না। তবে পরিবেশটা একটু শীতল অর্থাৎ গরম কম লাগছিল।

1000005144.jpg

বাজারে পৌঁছেই আগে চুইঝালের দোকানে গিয়েছিলাম। পাশেই মাছের দোকান, তবে প্রচণ্ড ভীড় মাছের দোকানে। তাই ইচ্ছে করেই মোবাইলটা আর বের করার সাহস পেলাম না।

1000005143.jpg

প্রায় সন্ধ্যা নেমেছিল যখন বাড়ি পৌঁছেছিলাম। এভাবেই আজকের দিনটা অতিবাহিত করেছি। আমার আজকের লেখাটি এখানেই সমাপ্ত করছি। সকলে ভালো থাকুন, সুস্থ্য থাকুন।

Sort:  
Loading...