At First Project Opportunity Achievement. 🥳🎉
![]() |
---|
নমস্কার বন্ধুরা,
মনটা কেমন হালকার লাগছে, মার্কেটে সবুজ বাতি দেখে যেন আনন্দ একটু বেশিই হচ্ছে। যদি আমি trade করি না তবে যেখানে সম্পৃক্ত সেখানে crypto market এ সবুজ বাতি মানেই আমার লাভ। তাছাড়া ইতিমধ্যে, ঈশ্বরের কৃপায় ও সকলের আশীর্বাদে USA এর একটা কোম্পানিতে আমি রাষ্ট্রদূত হিসেবে যোগদান করেছি। এখান থেকে আমার কোনো কিছুই প্রত্যাশা নেই তবে অনেক অনেক নতুন নিয়মাবলী শেখার পাশাপাশি অভিজ্ঞতা ও অর্জন করছি। আশাকরি, ভবিষ্যতের প্রকল্প গুলোতে সোপান হিসেবে এই অভিজ্ঞতা আমি ব্যবহার করতে পারবো।
আমার আজকের লেখার বিষয়বস্তু ভিন্নই ছিল তবে ব্যক্তিগত কারণে সেদিকটা এগোতে পারছিলাম না। তাই নিজেকে কনভার্ট করতেই আমার আজকের লেখাটি।
যেদিন পাবো সফলতার দেখা সেদিন শোনাবো ব্যর্থতার কথা source
এটা নাকি ফেসবুকের একটা common বাক্য, তবে আমার দেখার সৌভাগ্য হয়নি। কারণ কোনো কাজ ছাড়া আমি সাধারণত কোনো সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম account এ যাই না।
প্রায়ই মানুষের মুখে এটা শুনি এবং একাই হাঁসি। কারণ এই মানুষগুলো তো তাদের মূল্যবান মূহুর্ত গুলোই হারাচ্ছে আবেগী বাক্য উপস্থাপনে তাহলে কাজ করবে কখন?
এই মুহূর্তে ক্রিপ্টো sector এ ফ্রিতে কাজ করে উপার্জন করার মতো কাজই নেই। তাই আমি একটু উল্টো পথেই হাঁটতে শুরু করেছি। যেটা অনেকে বুঝে ওঠার আগেই। কারণ যেখানে ভাগীদার বেশি সেখানে লভ্যাংশ কম, তাই কঠিন পথটাই অবলম্বন করতে হবে।
আমি নিজের গল্পটাই শোনাই:-
ইতিপূর্বে ও আমি NFT নিয়ে লেখা উপস্থাপন করেছি। তবে আজকের উপস্থাপনা সম্পূর্ণই নিজেকে নিয়ে।
সম্ভবত, ৮ মাস আগে আমি ফ্রিতে একটা NFT Mint করেছিলাম যেটার বর্তমান সর্বোনিম্ন মূল্য বিডি ২৩৯৪০ টাকা/190$. অনেকেই ঐ সময়ে fund দিয়ে ক্রয় করে ও রেখেছিল। যেটা সম্পর্কে এখনো অনেকে অবগতি না যে ঐ NFT এর Use case কি?
![]() |
---|
যদিও আমার নিজ ভাগ্য এটার মাধ্যমে পরিবর্তন হয়নি তবে অনেক পড়াশুনা করেছি আমি কিছু NFT project নিয়ে আর সেখান থেকে এটাই বুঝেছি যে মূল্যহীন এই একটা NFT ও মানুষের ভাগ্যের চাকা ঘুরিয়ে দিতে পারে। ঐ সময়ে যাঁরা ক্রয় করেছিল তাদের মতো fund আমার কাছে ছিল না। যা ছিল তখন না বুঝে বিনিয়োগ করার দুঃসাহস ও দেখাই নি।
কিন্তু ঐ সময় থেকেই সিদ্ধান্ত নিয়েছিলাম যে 1000$/2000$ বিনিয়োগ করেছে তাঁর থেকেও ভালো কিছু অর্জন করতে হবে। তাই তখন থেকেই আমি আমার লক্ষ্য অর্জনের জন্য উঠেপড়ে লেগেছিলাম। তবে নিয়মাবলী জানতে জানতেই ৩/৪ মাস অতিবাহিত হয়েছিল। পাশাপাশি, কাজ ও চালিয়ে যাচ্ছিলাম।
একটা সময় চাকরির পরীক্ষার মতো পরীক্ষা ও দিলাম কিন্তু অভিজ্ঞতা যথাযথভাবে দাখিল না করার জন্যই আমি ব্যর্থ হলাম। তবে হাল ছাড়িনি। সেখানে steemit platform এ যেমন @sduttaskitchen ম্যাম ছিল ঠিক তেমনি USA এর এক পথপ্রদর্শকের দেখা মিলল যিনি নিজে থেকেই ইনবক্স করে আমাকে জানালেন যে প্রকল্প মালিক নিজেই আমার কাজ পরিদর্শন করছেন। এমনকি ইতিমধ্যে আমাকে বাছাই করেই রেখেছেন যেটা শুনে মনোবল যেন হাজার গুণ বেড়ে গিয়েছিল।
![]() |
---|
অবশেষে, ৯ই মে সেই আনন্দঘন মুহূর্ত যখন স্বয়ং কোম্পানির Founder ইং আমাকে congrats জানিয়েছিল। আমি নিজের চোখকেও বিশ্বাস করতে পারছিলাম না। তাৎক্ষণিকভাবে উত্তর দেওয়ার অবস্থা ও আমার ছিল না। আমি দ্রুত মোবাইল হাতে নিয়েই রাস্তায় গিয়েছিলাম এক ছোট ভাইকে বিষয়টি জানানোর জন্য।
![]() |
---|
আমি এখান থেকে এটাই অর্জন করলাম যে যদি উদ্দেশ্য সৎ থাকে ও সঠিকভাবে পরিশ্রম করা হয় কোথাও তাহলে সেখান থেকে ভালো কিছু আসবেই। কারণ সততা, একাগ্রতা ও পরিশ্রম যখন একত্রিত হয় তখন স্বয়ং ঈশ্বরই আমাদের সাহায্য করেন।
আমার আজকের লেখাটি এখানেই সমাপ্ত করছি। সকলে ভালো থাকুন, সুস্থ্য থাকুন।