দুপুরের কিছু মুহূর্ত।

in Incredible India10 days ago
1000006314.jpg

Hello Steemians,
এখন বাংলাদেশ সময় রাত এগারোটা সতেরো, সবেমাত্র পোস্ট লেখার জন্য বসলাম। সেই সন্ধ্যা থেকেই কোনো কাজ করিনি কিন্তু পোস্ট লেখার ও কোনো অ্যানার্জি পাচ্ছিলাম না। প্রকৃতপক্ষে, ঐ যে মঙ্গলবার সারাদিন খুলনাতে ছিলাম, হঠাৎ প্রচন্ড গরম, বৃষ্টি ও এ সির হাওয়া সব মিলিয়ে একটা বিরক্তিকর অবস্থা। আবার মাঝেমধ্যেই বিদ্যুৎ বিভ্রাট, খুলনাতে ও এতো পরিমাণে বিদ্যুৎ বিভ্রাট হয় যেটা আমি জানতাম না।

অতিরিক্ত গরম-ঠান্ডার কারণে জ্বর চলে এসেছিল, এ কারণেই শরীরটা ঠিক নেই। হয়তো কারণেই যতো সমস্যা হচ্ছিল। তবে পোস্টের উদ্দেশ্যেই দুপুরে বাইরে গিয়েছিলাম, গ্যালারি ওপেন করে ঐ ছবি গুলোই আজ লেখাতে ব্যবহার করার সিদ্ধান্ত নিলাম।

1000006287.jpg

গ্রামাঞ্চলে কিন্তু একটা সমস্যা আছে আর সেইটা হলো গুজব। এই তো সম্ভবত গতকাল সন্ধ্যায় খবর পেলাম আমার এক কাকুর ঘরের পেছনে না বনবিড়াল ও কুকুরের বিরাট যুদ্ধ হয়েছে। এইরকম অনেক মজার ঘটনা গ্রামে মাঝেমধ্যেই ঘটে। ঘটনা ঘটে একটা কিন্তু আমরা যখন সেটা শুনি আশি শতাংশই ভুলভাল। মূলত, ঐটা জানার উদ্দেশ্যেই যাওয়া, তবে কাকুর বাড়ির আগেই একটা ছোট্ট খাল যেটা এখন মৃত।

রাস্তার একদমই পাশেই এটা, আর এই খালের উত্তর দিকে আমাদের পুরনো বাড়ির সীমান্ত। ছোট বেলায় দলবেঁধে এখানে এসে কৈ মাছ ধরতাম। কৈ মাছের সাইজ অনেক বড় ছিল, মাঝেমধ্যে তো বরশির সুতো ছিঁড়ে নিয়েই চলে যেতো।

1000006289.jpg

পাশেই ছিল একটা কুলপাত কলা গাছ যেটাতে বেশ কিছু কলা ও ছিল। ঐ কলার কাধিতে দেখলাম একটা কলা অর্ধেক পাকা, তাই ঐ কলাটাই টার্গেট করলাম। গাছ পাকা ফলের সাধটাই অন্যরকম।

1000006292.jpg

রাস্তার পূর্বপাশে চোখ যেতেই দেখলাম একটা খেজুর গাছ মৃতপ্রায় অবস্থা। এটার কারণ প্রথম দিকে যদিও বুঝতে পারিনি কিন্তু খেয়াল করে দেখলাম গাছের গোঁড়ায় মাটি না থাকায় গাছটা ঢলে পড়েছিল জলের মধ্যে এবং মাটি কম ও জল বেশির জন্যই গাছটার এই অবস্থা হয়েছে। এই খেজুর গাছ সাধারণত মানুষ লাগায় না কিন্তু আপনা আপনি বেড়ে ওঠা এই গাছের যত্ন করা আমাদের দায়িত্ব।

1000006295.jpg

জলের ওপরে শৈল মাছের একটা চারা পোনা ভেসে ছিল। আমি অনেক সাবধানতা অবলম্বন করলাম, নচেৎ মাছটা দৌড়ে গভীর জলে চলে যেতে পারতো। যাইহোক, আমার ছবি তোলাটাই উদ্দেশ্য ছিল এবং সফল ও হলাম।

1000006296.jpg

ভরদুপুরে এক মাসি, অপেক্ষা করছিল রাস্তার পাশে পড়ে থাকা গাছের গুঁড়ির ওপর বসে। কারণ তাঁকে অনেকটা দূরে যেতে হবে কিন্তু কোনো প্রকার যানবাহন পাচ্ছিল না। এই দুপুরে গ্রামে গাড়ি পাওয়া বড্ড মুশকিল। প্রয়োজন এমনি হয় আর তখন মানুষ কষ্ট হলেও যে কোনোভাবে সেইটার জন্য পথ বের করে নেয়।

1000006298.jpg

একটা কিছু হলেই হরতাল, সাথেই যে স্কুল পড়ুয়া ছেলেমেয়েরা বাড়িতে ঘুরে বেড়াচ্ছে। কি আর করা! আরো খারাপ লাগার বিষয় হলো অ্যাম্বুলেন্স যেতে ও কৈফিয়ত দেওয়া লাগতেছে। আশাকরি, এই সমস্যা গুলো ধীরে ধীরে ঠিক হয়ে যাবে। ঐ সময়েরই অপেক্ষা করছি। কারণ সাধারণ মানুষের খুব বেশি চাহিদা থাকে না। ঐ যে সারাদিন কষ্ট করবে আর পরিবারের সাথে বসে খাবার খেয়ে একটু নিশ্চিন্ত মনে ঘুমাবেই, এতো টুকুই।

আমার আজকের লেখাটি এখানেই সমাপ্ত করছি। সকলে ভালো থাকুন, সুস্থ্য থাকুন।