বিনোদন পর্বের কিছু মুহূর্ত।
![]() |
---|
Hello Steemians,
মাঝেমধ্যে আমাদের মনে হয় এইরকম করে পোষ্যদের সাথে কিছুটা সময় অতিবাহিত করা উচিত। অনেক সময় আমাদের ভেতর থেকেই খারাপ লাগা কাজ করে যেটার কোনো কারণই আমরা খুঁজে পাই না। আচ্ছা একটা বিষয় কি আপনারা লক্ষ্য করেছেন কখনো?
ধরুন আপনি প্রতিদিন সকাল দশটা নাগাদ ঘুম থেকে ওঠেন কিন্তু হঠাৎ একদিন আপনার সকাল দশটায় কোনো পরীক্ষা এবং রাতে ঘুমানোর আগেই আমি মনে মনে সিদ্ধান্ত নিয়েছেন যে সকাল ছয়টায় আপনাকে ঘুম থেকে উঠতে হবে। এটাই বাস্তব যে আপনি ঐদিন সকাল ছয়টার আগেই নিজে থেকে উঠে পড়বেন। কারণ আমরা মন থেকে যখন কোনো কিছু চাই এবং সেটার ইচ্ছা প্রবল থাকে তখন আমাদের ৬ষ্ঠ ইন্দ্রিয়ই আমাদের সহযোগিতা করে।
![]() |
---|
ইদানিং আমাদের বাড়িতে কোনো পোষ্য বা গবাদিপশু নেই, তবে আমি শখ করেই মাঝেমধ্যে আমার কাকুর বাড়িতে যাই বিড়াল ও গরুর বাছুর ধরার জন্য। আমি রীতিমতো ওদেরকে এক প্রকার অত্যাচারই করি। একটা সময় নিজেই ক্লান্ত হয়ে যাই কিন্তু ওরা হয় না। বিশেষ করে আমার কাকুর বাড়িতে যে গরুর ছোট বাছুরটা আছে সে আমাকে ভীষণ পছন্দ করে।
উঠোনে গিয়েই পেয়ে গিয়েছিলাম মহাশয় কে, এই অত্যাচারের পাশাপাশি সে আবার ছবি তুলতে ও অনেক পছন্দ করে। খানিক্ষণ দুষ্টুমি করলাম আর কয়েকটা ছবি তুললাম। তাছাড়া, বৃষ্টির ফাঁকে রৌদ্রজ্জ্বল আবহাওয়া এ কারণেই সে মহাখুশি। এই রকম রোদ্দুর পেলেই সে "চিৎ পটেং" করে উঠোনের মাটিতে শুয়ে পড়ে।
![]() |
---|
এরপর দেখা মিললো চিকন আলীর সাথে, আমরা মজা করে এই বিড়ালকে চিকন আলী বলে ডাকি। এ বাবা! মাত্র ঘুম ভেঙ্গেছে তাঁর। আমাদের সোরগোলের শব্দের মনে হয় ঘুমটা নষ্ট হয়েছে।
![]() |
---|
হয়তো দূর্ভাগ্যবশত সার্ভার সমস্যার কারণে ছবি না ও দেখা যেতে পারে। কারণ সার্ভারের যে সমস্যা হচ্ছে, সব ঠিকঠাক কিন্তু কিছু সময় বাদেই আবার ছবি দেখতে সমস্যা। যাইহোক, এই ছবিতে মূলত চকন আলী ও বাছুরটার কাছে গিয়েই শুয়ে পড়েছে। তবে বিড়াল ভয়ানক আছে, তাঁর মতের বাইরে দুষ্টুমি করতে গেলেই টেনে থাপ্পড় মেরে দেয়।
![]() |
---|
সকলকে অত্যাচার করা শেষ, এবার সবাই মিলে রাস্তায় বেরোলাম। ওহ! একটা দারুন ব্যাপার শেয়ার করতে ভুলেই যাচ্ছিলাম। আবারো আমাদের দেশে একটি আসক্তির গেইম এসেছে। যেখানে অ্যাকাউন্ট করলেই দিচ্ছে একশত এগারো টাকা আবার সেইটা দিয়ে গেইম খেলে টাকা বাড়ানোর সুযোগ। এটা এক প্রকার বর্শির ছিপে টোপ দেওয়ার মতো। এভাবেই কিন্তু আজকাল আমাদের প্রতিটি গ্রামে গড়ে উঠেছে জুয়ার আসর।
যাইহোক, এই সাময়িক অল্প টাকার লোভ থেকে নিজেকে দূরে রাখবেন সেইটাই উত্তম।
কয় ভাই-বোন মিলে মন্দিরের সামনে ভাঙ্গা কল পাড়ে বসলাম। প্রাথমিক বিদ্যালয়ের অর্থ বার্ষিক পরীক্ষা চলমান, আমাদের এক ছোট্ট বোন পরীক্ষা দিয়ে বাড়িতে ফিরছিল তাঁকে ধরে কিছুক্ষণ মজা করলাম। কাজ নাই, বাড়িতে থাকলে ঘুম পাচ্ছিল কিছু একটা তো করতেই হবে।
হঠাৎ মেঘের ঘনঘটা, বৃষ্টি পড়তে শুরু করলেই এক দৌড়ে বাড়ি। এভাবেই কিছু সময় অতিবাহিত করলাম। আমার আজকের লেখাটি এখানেই সমাপ্ত করছি।