বজ্রপাত।
![]() |
---|
Hello Steemians,
এমনিতেই পরিবেশ পরিস্থিতি ভালো না, পাশাপাশি প্রাকৃতিক দুর্যোগ ও পিছু ছাড়ছে না। এমনি একটা ভয়ংকর চিত্র আজ আপনাদের সাথে শেয়ার করতে চলে এসেছি। এইতো পনেরো দিন এখনো অতিবাহিত হয়নি। এই প্রাকৃতিক দুর্যোগের কারণেই বিগত রাতের একটা পোস্ট লেখার পরেও আপলোড করতে পারিনি।
রাত নয়টার দিকে কালোমেঘে ঘিরে নিয়েছিল চতুর্দিক তবে বিদ্যুৎ বিভ্রাট ছিল না। তথাপি বিদ্যুৎ সংযোগ আমি ইচ্ছে করেই বন্ধ রেখেছিলাম। হঠাৎ মেঘের গর্জন যেন ভূমিকম্প শুরু হয়েছিল। তখনই মনে পড়লো দিন পনেরো আগের বজ্রপাতে সেই ভয়ংকর চিত্রটা।
![]() |
---|
এই নারকেল গাছটাই বিগত পনেরো দিন আগে বজ্রপাতের কবলে পড়ে আত্মাহুতি দিয়েছিল। যে গাছটা যুগের পর যুগ ধরে পাহারাদারের মতো দাঁড়িয়ে শুধু ফল ও পাতা দিয়ে আসছিল।
বজ্রপাত:-
বজ্রপাত সাধারণত দীর্ঘদিন বৃষ্টির পরে যদি হঠাৎ মেঘের আগমণ ঘটে তখন দুটো মেঘের ঘর্ষণে বা ধাক্কায় এই বজ্রপাত অর্থাৎ শক্তিশালী বিদ্যুতের সৃষ্টি হয়। তখন ভূমিতে থাকা বৃক্ষের positive শক্তির আকর্ষণে ভূমিতেই বজ্রপাত ঘটায়।
যতোক্ষণ না positive আকর্ষণ খুঁজে পায় ততোক্ষণে বজ্রপাত ঘটে না।
এখন বলতে পারেন এই Positive শক্তি কি? উদাহরণস্বরূপ;- লক্ষ্য করলেই দেখবেন বৃষ্টির সময় মাঝেমধ্যে আমাদের শরীরে থাকা লোম দাঁড়িয়ে যায় ওটাই positive বৈদ্যুতিক আকর্ষণ শক্তি।
পাশাপাশি, লক্ষ্য করবেন বজ্রপাতের যে দূর্ঘটনা গুলো ঘটে এখানে ঐ স্থানের সবচাইতে উঁচু গাছই যেন বজ্রপাতের শিকার হয়। তবে এটা সম্পূর্ণ ও সঠিক না ;
![]() |
---|
এই যে নারকেল গাছটা বজ্রপাতের কবলে পড়েছিল, এটার থেকেও পাশে দিগুণ উচ্চতার নারকেল গাছ ছিল। তবে যেটা উপলব্ধি করলাম তা হলো এই গাছটিতে কাঁচা নারকেল ও পাতার সংখ্যাধিক্য ছিল। এককথায় গাছটা খুব বেশি সতেজ। অনেকদিন পাশে থাকা বড় গাছটির পাতা সংখ্যা এটার তিন ভাগের এক ভাগ ও না।
![]() |
---|
![]() |
---|
![]() |
---|
![]() |
---|
![]() |
---|
এই যে দেখুন বেশ কয়েকটি ছবি যেখানে বজ্রপাতে ক্ষতির চিত্রটা উঠে এসেছে। একটা গাছ না বরং নিচে ও পাশে থাকা অনেক গাছই এই বজ্রপাতের কারণেই এখন মৃত। আজ দুপুরেই গণনা করে দেখলাম বাইশটা সুপারি গাছ, একটা আম গাছ মারা গেছে। আশ্চর্যজনক বিষয় হলো কোনো গাছে যদি বজ্রপাত হয় তাহলে ঐ মূহুর্তে সেইটা বোঝা যায় না। ২/৩ দিন পর সেইটা নিশ্চিত করা হয়, তবে সূর্যের আলো না থাকলে বোঝা মুশকিল।
বিশেষ দ্রষ্টব্যঃ ধরে নিন আপনি বুঝে গেছেন যে আপনার সখের বাগানে বজ্রপাতে গাছ ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে। কিন্তু ভুলেও ঐ গাছকে ২/৩ দিনের মধ্যে স্পর্শ করবেন না। কারণ কিছুটা বৈদ্যুতিক শক্তি কয়েকদিন থাকার সম্ভাবনা রয়েছে। তাই ঐ গাছকে স্পর্শ করা থেকে নিজেকে বিরত রাখতে হবে।
শুধু বজ্র নিরোধক দন্ড না , আমি বাবার মুখে শুনেছি যখন মাত্র ৪/৫ হাজার টাকার এক একর জায়গা ক্রয় করা যেতো তখন কিছু অর্থলোভী মানুষ পিল নামক কি যেন একটা ৪/৫ লাখ টাকায় ও বিদেশীদের কাছে বিক্রি করেছে। আমাদের পশ্চিম পাশের বিলেই ২/৩ টা ছিল। ঐগুলো যখন ছিল তখন নাকি বজ্রপাত হতো না। তবে এটার সত্যতা কতোটুকু সেইটা আমার জানা নেই।
প্রাকৃতিক দুর্যোগ কোনোভাবেই প্রতিরোধ করা সম্ভব না। তবে একটু সাবধানতা অবলম্বন করলে ক্ষতির পরিমাণ কমানো সম্ভব। বিশেষ করে বজ্রপাতের সময় ঘরের মধ্যে অবস্থান করা। শুকনো কাপড় পরিধান করা। যদি ঘরের বাইরে থাকে কেউ তাহলে বড় কোনো গাছের নিচে আশ্রয় না নেওয়া। আশেপাশে গাছপালা বা ঘরবাড়ি কোনো কিছু না থাকলে মাটিতে উপুড় হয়ে শুয়ে পড়তে হবে যেটা সকলেরই জানা।
আমার আজকের লেখাটি এখানেই সমাপ্ত করছি। সকলে ভালো থাকুন, সুস্থ্য থাকুন।
Your content has been successfully curated by our team via @ngoenyi.
Thank you for your valuable efforts! Keep posting high-quality content for a chance to receive more support from our curation team.
Thank you so much 🙏 for your support ❤️