ফটোগ্রাফি।

in Incredible India2 months ago
1000005038.jpg

Hello Steemians,
ওহ! আজকে পোস্ট লিখতে বসতে অনেকটা বিলম্বই হলো। সেই সন্ধ্যা থেকেই WiFi সংযোগ ছিল না। এ কারণে যতো সমস্যা, এখন বাংলাদেশ সময় রাত দশটা বাজে। সাধারণত, আমার অন্যান্য কাজে বসার আগেই ঠাণ্ডা মাথায় আমি পোস্ট লেখা শেষ করি কিন্তু আজ আর অন্যদিনের মতো পারিনি।

বৃষ্টির মধ্যে আজ আবার চিন্তা করলাম কিছু ছবি তোলার জন্য। কারণ সময় হাতে পাওয়া মুশকিল, তবে চেষ্টা করছি শীঘ্রই সৃজনশীল কিছু লেখা পোস্ট করার জন্য। ফটোগ্রাফি বা দিনলিপি লেখার সুবিধা তো এটাই যে রিয়েল লাইফ কার্যক্রম যেখানে খুব বেশি চাপ ও নিতে হয় না।

1000005037.jpg

গুড়ি গুড়ি বৃষ্টি পড়ছিল তাই ছাতাটা হাতে এবং মোবাইল সাথে নিয়ে বেরিয়ে পড়েছিলাম। আমি পূর্ব থেকেই এই জায়গাটায় যাওয়ার সিদ্ধান্ত নিয়েছিলাম। কারণ বৃষ্টির তীব্রতা কতটুকু এখানকার দৃশ্য দেখলেই খুব সহজে অনুমান করা যায়। যখন প্রচুর পরিমাণে বৃষ্টি হয় তখন এই জায়গার জলটা অনেক বেশি থাকে। হয়তো আপনাদের মনে আছে যে কয়েকদিন আগেও আমি এই জায়গার একটা ছবি আপনাদের সাথে শেয়ার করেছিলাম যেখানে ছোট্ট একটি সাপ ছিল। কারণ ওই দিন এখানে জলের পরিমাণ বেশি ছিল এবং ছোট ছোট মাছ যাতায়াত করছিল।

বৃষ্টির সময় আমি বাইরে বেরিয়ে যেটা পছন্দ করি সেটা হলো যদি পিছ ঢালা রাস্তা বা ইটের রাস্তা হয় এবং তাঁর ওপরে স্বচ্ছ বৃষ্টির জল জমে থাকবে। ঠিক সেই স্থান থেকে হাঁটতে খুব মজা লাগে, অবশ্যই জলে পা রাখতেই ওপর থেকে জলের মধ্যে থাকা পায়ের পাতা ও আঙ্গুল দেখা যাবে।

1000005032.jpg

এই বাড়ির মধ্যে প্রবেশের রাস্তাটা আমার ভীষণ পছন্দের কারণ ঐ যে বৃষ্টির সময় এই রাস্তাতে চারপাশ ইঞ্চি জল জমে থাকে। তাছাড়া আমার পছন্দ অনুসারে জল পরিষ্কার পরিচ্ছন্ন থাকে। যদিও এটা পিচ ঢালা কোনো রাস্তা না কিন্তু মানুষের যাতায়াত কম বলে অধিকাংশ সময় জলটা পরিষ্কার পরিচ্ছন্ন দেখা যায়।

1000005027.jpg
1000005026.jpg

আবহাওয়া একদমই তাল মাতাল ছিল, আজ তো রোদ্দুরের দেখা মেলেনি। তবে বৃষ্টি বন্ধ হলেও অনিশ্চিত বাইরে ছাতা ছাড়া যাওয়া। যে কোনো মুহূর্তে বৃষ্টি নামতেই। আমি প্রথম লেখার দিকেই বলেছি গুঁড়ি গুঁড়ি বৃষ্টি কিন্তু মিনিট পাঁচেক যেতে না যেতেই চারদিকে মেঘে ঢেকে এসেছিল। আবার মূহুর্তের মধ্যেই ভারী বর্ষণ শুরু হয়েছিল।

সত্যি বলতে গ্রামের মানুষ যেন এই বৃষ্টির সাথে ওতপ্রোতভাবে জড়িত। তবে বিগত কয়েক বছর বর্ষাকালের সেই প্রকৃত দৃশ্য যেন চোখেই মেলেনি। আমি তো এই বছর বৃষ্টি খুব উপভোগ করছি। তবে মাঝেমধ্যে বৃষ্টির তীব্রতা দেখে মনে হচ্ছে কখন যেন বন্যায় আমার পুকুরের মাছ গুলো বেরিয়ে যায়।

1000005024.jpg
1000005025.jpg

আমি সাধারণত এই ধরনের বড় সাইজের কোন ছবি দেখাতে ব্যবহার করি না আর যদি ব্যবহার করে তাহলে সেখানে মার্কটাউন ব্যবহার করি। তবে আজকের ছবিটা ইচ্ছে করেই বড় রেখেছি। কারণ কাছের ছবিটা বড় না করলে হয়তো সম্পূর্ণ পরিষ্কারভাবে উপস্থাপন করা সম্ভব হতো না।

বটবৃক্ষ হয়তো সকলেরই পরিচিতি। আমরা মন্দিরের মাঠের ছায়ার জন্যই পরিকল্পনা করে এই বটবৃক্ষ লাগিয়েছিলাম। এই গাছটার বয়স ও খুব বেশি না। যদিও আমরা গ্রামে থাকি কিন্তু গাছের ক্ষেত্রে আমাদের পাড়ার লোকজন ও দেখেছি বেশ সচেতন।

যদিও এটা নতুন গাছ কিন্তু এই একই স্থানেরই উল্টো দিকে কয়েক যুগ ধরে দাঁড়িয়ে ছিল একটা বটবৃক্ষ। যে বট গাছটা অনেক মোটাতাজা ছিল। আমার শৈশবের প্রতিটি বিকেল কেটেছে সেই বট বৃক্ষের নিচে। কারণ সেখানে বসার জায়গা ছিল এবং আমরা দলবেঁধে ঐ স্থান থেকেই খেলা শুরু করতাম।

1000005029.jpg
1000005030.jpg

যদিও পুরনো খেজুর গাছ বিলুপ্তির পথে তবে জোয়ার ভাটার সংস্পর্শে যেন আবারো কিছু নতুন নতুন খেজুর গাছ দেখা যাচ্ছে। হয়তো কয়েক বছর সময় লাগবে তবে খেজুর গাছ মনে হয় আর বিলুপ্ত হচ্ছে না। এখানে একটা অসুবিধা আছে যেটা বলতেই হবে।

প্রথমত, দেশী খেজুর গাছের কাঁটা বেশ ভয়ঙ্কর। যেহেতু কাঁটার সাইজ অনেক বড় এবং সুচালো তাই হালকা চাপ লাগতেই এটা মানবদেহের মধ্যে সহজে ঢুকে যেতে পারে।

দেশী খেজুর গাছের কাঁটা খুবই বিপজ্জনক। তাই সকলে এই খেজুর গাছ থেকে নির্দিষ্ট দূরত্ব বজায় রাখবেন। এমনকি ছোট খেজুর গাছের একদমই কাছাকাছি যাওয়া থেকে বিরত থাকবেন।

আমার আজকের লেখাটি এখানেই সমাপ্ত করছি। সকলে ভালো থাকুন, সুস্থ্য থাকুন।

Sort:  
Loading...
TEAM FORESIGHT

Congratulations!

Your post has been supported by SC-05. We support quality posts, quality comments anywhere, and any tags


1000063159.gif