আমাদের গ্রামের ঐতিহ্যবাহী বাৎসরিক অনুষ্ঠান এবং সাংস্কৃতিক সন্ধ্যা

in Incredible India2 years ago

জ্ঞানপিপাসু সকল সম্মানিত লেখক লেখিকা বৃন্দকে স্বাগতম জানাই আমার ফটোগ্রাফি লেখা পর্যবেক্ষণের জন্য।

প্রিয় পাঠক বন্ধুরা,
আশা করি সকলে ভালো আছেন। এবং আমি আরো বেশি আশাবাদী যে আমার গ্রামের ঐতিহ্যবাহী একটি স্থান এবং এখানকার বাৎসরিক যে অনুষ্ঠান এটা সম্পর্কিত লেখা এবং ফটোগ্রাফি পর্যবেক্ষণ করে আপনাদের ভালো লাগবে।

1671210373013.jpg

স্থান:
এটি বাংলাদেশের একটি ঐতিহাসিক এবং ঐতিহ্যবাহী স্থান যেখানে প্রতিবছর এই একই দিনে অনেক বড় করে ধর্মীয় সেইসঙ্গে সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠানের আয়োজন করা হয়। এবং এইখানের অনেক আলোচিত বিষয় রয়েছে যেটি আসলেই এই সল্প লেখার মধ্যে বলে আমি শেষ করতে পারবো না।
খুলনা বিভাগের বাগেরহাট জেলার একটি ঐতিহ্যবাহী স্থান। এবং এই স্থানটিতে প্রতিবছর হাজার হাজার মানুষের সমাগম ঘটে এই দিনটিতে।

এখানে যাওয়ার কারন:
২০১০ সালে আমি যখন মাধ্যমিক পরীক্ষার্থী ছিলাম, তখন আমার মা আমার জন্য একটি মানুষ করেছিল যে আমার শরীরের ওজন যতটুকু ঠিক ততটা পরিমাণ মিষ্টি এখানে দিবে। এবং যে কারণে হোক আমাদের যে উদ্দেশ্যে এটি করা হয়েছিল তার সফলতা আমরা পেয়েছিলাম। যার জন্য এই বছরের বাৎসরিক অনুষ্ঠানে আমি আমার মা এবং আমার পরিবারের সবাই এখানে উপস্থিত হই। তারপর ৫২ কেজি রসগোল্লা এখানে প্রদান করি।

প্রাথমিকভাবে এই কাজ সম্পন্ন হওয়ার সাথে সাথে আমরা কেউই বাড়িতে আসতে পারবো না। এই অনুষ্ঠানের কিছু নিয়মাবলী আছে। যখনই এই ঐতিহ্যবাহী মন্দিরের কার্যক্রম শুরু হবে এবং আমাদের দেওয়া মন্দিরের উদ্দেশ্যে সকল দ্রব্য সামগ্রী সৃষ্টিকর্তার নামে অর্পণ করা হবে, তারপর আমরা এখান থেকে বাড়ির দিকে যেতে পারবো। তাই ওই মুহূর্তে তখন আর বাড়িতে ইচ্ছা থাকলেও আসা সম্ভব হলো না।

1671209899597.jpg

IMG20221207200703.jpg

IMG20221207194001.jpg

কিছুক্ষণ পর আমার পিসির একমাত্র কন্যা, তার পরিবারসহ ওখানে উপস্থিত হলেন। এবং আমার সাথে মোবাইলের মাধ্যমে যোগাযোগ করলেন। তারপর আমার বড় বোন ও ভাগিনার সঙ্গে স্থানটির বাইরে অর্থাৎ যেখানে অনেক দোকানপাট বসেছে অস্থায়ীভাবে সেখানে গেলাম।

IMG20221207182819_BURST000_COVER.jpg

IMG20221207182314.jpg

1671209935366.jpg

এরপর বিভিন্ন খাবারের দোকানে গেলাম কিন্তু আমি কিছু খেতে পারতেছি না কারণ আমি উপবাস ছিলাম। এরপর আমরা একটি বই ও বিভিন্ন সামগ্রী যেমন শঙ্খ, কড়ি, মোচড়ানো ফল ও তিলকসহ আরো কিছু জিনিসের ফটোগ্রাফি সংগ্রহ করলাম।

এরপর বোনের সাথে গেলাম একটি চায়ের দোকানে কিছুক্ষণ বসলাম যেহেতু লোকজনের সমাগম একটু কমই ছিল। তারপর রাস্তার দিকে আসলাম এবং এই মন্দিরটি তে প্রবেশ করার পথে অর্থাৎ তার প্রান্তে যে গেইটটি আপনারা দেখতে পাচ্ছেন দেখুন কত সুসজ্জিত অবস্থায় এটার। মনমুগ্ধকর সৌন্দর্য ফুটে উঠেছে এখানে। এরপর আমার গ্রামের দুইজন ঠাকুরমার সঙ্গে দেখা। যাদেরকে একটু বাদাম এবং অন্যান্য খাবার কিনে দিলাম। এবং এই মুহূর্তটা সবথেকে বেশি আনন্দের কারণ এই বয়সি প্রতিটা মানুষ শিশুদের মানসিকতা ধারণ করে যার জন্য এদের সাথে শৈশব সুলভ আচরণ করলে খুব বেশি খুশি হয়।

1671210418851.jpg

এরপর মন্দিরের কার্যক্রম শুরু হল এবং সেখানে সবাই উপস্থিত হলাম। রাত ১১:৩০ সময় বাড়ির উদ্দেশ্যে রওনা হলাম।

এবং এই লেখাটিতে যত ফটোগ্রাফি তুলে ধরা হয়েছে সবগুলো ফটোগ্রাফি আমার নিজেও মোবাইল ক্যামেরা ব্যবহার করে ধারণ করা হয়েছে।

আপনাদের অনেক মূল্যবান সময় অতিবাহিত করে আমার লেখাটি পর্যবেক্ষণ করার জন্য সকলকে অসংখ্য ধন্যবাদ। এবং আজকের মত এ পর্যন্তই।

Mobile:- Realme8
Subject:- Photography my village yearly cultural programme
Location:- Bangladesh,Rampal, Bagerhat

Sort:  
 2 years ago 

খুব ভালো লাগলো আপনি আপনার গ্ৰামের বাৎসরিক অনুষ্ঠান টি খুব সুন্দর ভাবে লিখেছেন এবং ছবির মাধ্যম দিয়ে আরো ভালো করে বুঝিয়ে দিয়েছেন দিদি।

 2 years ago 

অসংখ্য ধন্যবাদ দিদি,
আপনার মূল্যবান সময় ব্যয় করে আমার সৃজনশীল লেখাটা পরিদর্শন করেছেন এবং তারপর সুন্দর সাবলীল সারাংশ ব্যক্ত করেছেন।
আমার জন্য আশীর্বাদ করবেন যেন আপনাদেরকে এভাবে সৃজনশীল লেখা উপহার দিতে পারি।

Loading...
 2 years ago 

স্বাগত জানাই আপনাকে এই কমিউনিটিতে, আশাকরি অনেক ভালো কাজ দেখার সুযোগ পাবো আপনার লেখার মাধ্যমে। ভালো থাকুন সবসময়।

 2 years ago 

Thanks dear friend,