আমার বাড়ির বিশ্বকর্মা পুজো

বন্ধুরা,
আশাকরি সবাই খুব ভালোই আছেন। এবং সব রকম সাবধানতা অবলম্বন করে চলেছেন।
আজ আমি আমার বাড়ির বিশ্বকর্মা পুজোর কথা আপনাদের জানাবো।
আমার বাড়িতে বিগত অনেক বছর ধরে এই পুজো হয়ে চলেছে।
আজ যেহেতু বিশ্বকর্মা পুজো তাই এটা আপনাদের সাথে ভাগ করে নিতে চাই।
আজ বাড়িতে আমরা বিশ্বকর্মা পুজো করেছি গতকাল রাতে গিয়ে আমরা ঠাকুর কিনে নিয়ে এসছি।আর ভোর বেলা উঠে আমরা দুজনে স্নান সেরে পুজোর কাজ করি ঠাকুর মশাই বলেছেন ৯টায় আসবেন তাই আমরা সব কাজ সেরে পুজোর বসে পরি প্রথমে দুটো কলাগাছ আর দারঘট ঘরের সামনে দেই তার মধ্যে সিদুর দিয়ে সস্তিক আকি তারপর তাতে জল দেই।

(পুজোয় বসে আমি আর চুমকিদি)
এরপর চলে গেলাম পুজোর কাজে ঠাকুরের আশনপেতে ঠাকুরটা বসিয়ে দিলাম। তারপর ফল গুলো ধুয়ে এক এক করে কেটে থালয় গুছিয়ে দিলাম।
এরপর ঠাকুরমশাই এল এসে উনি ঠাকুরের সামনে ঘট পাতলো আর পুজো শুরু করলো। পুজো শেষ করে যোগ্য শুরু করলো। প্রতি বছরই আমাদের বাড়িতে যোগ্য হয়।

(যোগ্যের মুহুর্ত)
পুজো শেষ হলে ঠাকুরমশাইকে দক্ষিনা আর ভুজি দিলাম উনি চলে গেলেন।
আমাদের বাড়িতে প্রতি বছর বিশ্বকর্মা পুজোর আগের দিন রান্না পুজো হয়।
মা প্রতি বছর আগের দিন অনেক রাত ওবদি রান্না করে কারন এই পুজোর দিন আমাদের কোন রান্না হয় না আগের দিন রান্না করে সেটা পরের দিন খেতে হয়। তাই মা আগের দিন রান্না করে।
আমি অনেক ছোট বেলাথেকে মাকে সাহায্য করতাম এই পুজোর রান্নায়। আমরা যেহেতু এদেশিয় তাই আমাদের মধ্যে এই নিয়মটি রয়েছে।
আমরা খুব নিষ্ঠা করে এই পুজো করে থাকি। মা যেহেতু সেলাই করে তাই আমাদের বাড়িতে দুটো সেলাই মেশিন রয়েছে। মা মেশিন গুলো পুজো দেয় প্রতি বছর।

(সন্ধ্যা বেলায় আরতি দেখার সময়)
আমার বোনেরাও এসেছিলো এই পুজোতে। আর আমাদের বাড়ির পাসে আমার মামার বাড়ি সেখানেও এই পুজো হয়েছে।
মামারও বাড়িতে কারখানা আছে বেল্টের। সেখানে অনেক বড় করে পুজো হয়। তাই আমরা প্রতিবছর সেখানেও সময় কাটাই।
আমরা সবাই একসাথেই এভাবে পুজোর দিনটা কাটাই।
বিকেলে আবার সন্ধা আরতি হয়। আমরা সেটা দেখে রাতের খাবার খেয়ে সবাই বাড়ি ফিরে যাই।
আজ এখানেই শেষ করলাম আমার পুজোর দিনটি।
সবাই ভালো থাকবেন সুস্থ থাকবেন
শুভরাএি।
আপনার আগামি দিনগুলি এমন ভাবেই আনন্দ মুখরিত হয়ে কাটুক এই শুভেচ্ছা রইলো।
@pulookধন্যবাদ আপনার এত সুন্দর মন্তবের জন্য।
দুর্গাপুজো আসতে পারলো না, তার আগেই আনন্দ শুরু, ভালো কথা কিন্তু ছবিতে ছোট্ট সাজুনিকে দেখা যাচ্ছে না কেনো? তার ছবি ছাড়া তো আনন্দ অসম্পূর্ণ।