বিশ্ব পরিবেশ দিবস (World Environment Day, 5th Jun, 2025)e)
নমস্কার বন্ধুরা। আপনারা সকলে কেমন আছেন? আজকে চলে এসেছি আপনাদের সাথে একটি গুরুত্বপূর্ণ টপিক শেয়ার করার জন্য। গতকাল মানে ৫ই জুন ছিল বিশ্ব পরিবেশ দিবস। সারা দেশ জুড়ে এই দিনটিকে মহাসমারোহে পালন করা হয়। আমাদের বিদ্যালয়ে এই দিনটি কিভাবে বর্তমান ছাত্রী ও শিক্ষিকারা পালন করেছিল সেই সব মুহূর্ত গুলোই আজকে আমি আপনাদের সাথে শেয়ার করব।
আমাদের এই বিদ্যালয়টিতে বছরের প্রতিটি অনুষ্ঠানই খুব সুন্দরভাবে ছাত্রীরা, শিক্ষিকাদের সহযোগিতায় পালন করে থাকে। প্রতিবছরের ন্যায় এই বছরও, ৫ই জুন অর্থাৎ গতকাল মহাসমারোহে বিশ্ব পরিবেশ দিবস পালিত হয়েছিল। যদিও আমি আপনাদের সাথে যে মুহূর্তগুলো শেয়ার করব সেগুলোর আমি প্রত্যক্ষদর্শী নই। কারণ এই সকল অনুষ্ঠানগুলোতে স্কুলের বর্তমান শিক্ষার্থীবৃন্দ ও শিক্ষিকা বৃন্দই উপস্থিত থাকেন। তবে গতকাল আমার এক পরিচিত ম্যাডাম, যার বাড়িতে আমার যাতায়াত রয়েছে, তিনি একটি বিশেষ কাজে বিদ্যালয়ে গিয়েছিলেন। সেই সময় তিনি এই মুহূর্তগুলোর সাক্ষী ছিলেন। সেই সাথে তিনি তার মোবাইল ক্যামেরায় কালকের সুন্দর সুন্দর মুহূর্তগুলো বন্দি করেছিলেন। আমি আজকের ছবিগুলো ওনার কাছ থেকেই সংগ্রহ করেছি।
বিদ্যালয়ের বেশিরভাগ অনুষ্ঠানে আয়োজিত হয় বিদ্যালয়ের কেন্দ্রস্থলে অবস্থিত বিশাল তেঁতুল গাছের ছায়ায়। এই তেঁতুল গাছ সম্পর্কে আপনাদের অনেক কথাই আমি আমার আগের পোস্টে জানিয়েছি। তাই সেই বিষয়ে আজ আর বেশি কথা লিখলাম না। এই বিদ্যালয়ের সকল শিক্ষার্থী খুবই শৃঙ্খলাপরায়ণ। নির্দিষ্ট সময়ে সকল ছাত্রীরা সারিবদ্ধভাবে অনুষ্ঠান আয়োজিত স্থানে এসে বসেছিল। তারপর একে একে সমস্ত শিক্ষার্থীরা সেখানে একত্রিত হয়। তারপর সকলে উপস্থিত হলে, শিক্ষিকাদের সহযোগিতায় অনুষ্ঠানটি শুরু হয়। প্রথমেই এই দিনটির বিশেষত্ব সম্পর্কে বিদ্যালয়ের একটি শিক্ষার্থী তার মূল্যবান বক্তব্য পেশ করে। এমনিতেই সারা বছর জুড়ে প্রত্যেকদিন প্রার্থনা সভার শেষে সেই দিনটির বিশেষত্ব সম্পর্কে আলোচনা করা হয়। এটা আমার খুবই ভালো লাগতো।
প্রত্যেক শিক্ষার্থী তার মূল্যবান বক্তব্য মন দিয়ে শোনে এবং দিনটির গুরুত্ব অনুধাবন করে। বিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীরা এই দিনটিকে আরো বেশি করে কার্যকরী করে তুলতে কিছু মডেলও তৈরি করে। চিরাচরিত শক্তি সঞ্চয় করতে অচিরাচরিত শক্তির ব্যবহার যাতে বাড়ানো যায় সেই বিষয়টি বোঝানোর জন্য তারা সোলার প্যানেলের মডেল তৈরি করেছিল। সূর্য শক্তিকে ব্যবহার করে আমরা বর্তমানে অনেক কিছুই তৈরি করেছি। তাই এই বিষয়টিকে আরো ভালোভাবে উপস্থাপন করার জন্য তারা মডেলটি তৈরি করেছিল । পরিবেশে গাছের গুরুত্ব কতখানি তা নিশ্চয়ই বলার প্রয়োজন নেই। তাই শিক্ষার্থীরা যাতে গাছ লাগানোর প্রতি আরো বেশি আন্তরিক হয় সেই লক্ষ্যেই এই অনুষ্ঠানটি আয়োজিত হয়েছিল ।
শুধু গাছের কথা বললে ভুল হবে। সর্বোপরি আমাদের পরিবেশকে সুরক্ষিত করতে হবে, বিশুদ্ধ করতে হবে। আর এই পরিবেশের একটি বড় শত্রু হলো প্লাস্টিক। আমাদের যতটা পরিমাণে সম্ভব প্লাস্টিকের ব্যবহার কমাতে হবে। সেই সাথে বিকল্প উপকরণ ব্যবহার করতে হবে। কারণ আমরা সবাই জানি প্লাস্টিক হলো এমন এক ধরনের পদার্থ যা মাটির সাথে কখনোই মিশে যায় না। যার ফলে প্লাস্টিক মৃত্তিকা দূষণ ঘটায় । তাছাড়া প্লাস্টিকের আরো অনেক নেগেটিভ প্রভাব রয়েছে। তাই এই বিশ্ব পরিবেশ দিবসে সবাই যাতে প্লাস্টিক ব্যবহারের ব্যাপারে সতর্ক হয় সেই জন্য তারা একটি চার্ট বানিয়েছিল। সেই চার্টে লেখা ছিল--Beat Plastic Pollution.
এরপর শিক্ষার্থীরা এই বিষয়টি সম্পর্কে তাদের শিক্ষিকাদের কাছ থেকে আরো ভালোভাবে জানছিল। শিক্ষিকারা বিভিন্ন উদাহরণের মাধ্যমে তাদের সামনে বিশ্ব পরিবেশ দিবসের প্রয়োজনীয়তা এবং কিভাবে পরিবেশ দূষিত হচ্ছে ও কি উপায়ে আমরা এই দূষণ রোধ করতে পারি এই সকল বিষয় সম্পর্কে তথ্য দিয়েছিলেন।
এই ভাবেই এই দিনটিকে সফলভাবে শিক্ষার্থী এবং শিক্ষিকা বৃন্দ সুন্দরভাবে উদযাপন করেছিলেন। বিদ্যালয়ে পড়াকালীন এই অনুষ্ঠানগুলো খুবই উপভোগ করতাম। দুটো বছরে কত কিছুই না শিখেছি এই বিদ্যালয় থেকে।
আজ তাহলে এখানেই শেষ করছি। আগামীকাল আবার অন্য কোনো লেখা নিয়ে আপনাদের সামনে হাজির হব। সকলে ভালো থাকবেন, সুস্থ থাকবেন।