Incredible India monthly contest of June by @tanay123 | Photography Contest -3
নমস্কার বন্ধুরা । সকলে কেমন আছেন? আশা করছি সকলেই খুব ভালো আছেন। আজকে চলে এসেছি আমাদের কমিউনিটিতে @tanay123 দাদার দ্বারা আয়োজিত একটি কনটেস্টে পার্টিসিপেট করার জন্য। কনটেস্টের বিষয়বস্তু আমার খুব পছন্দের। তাই পোস্টটি দেখামাত্রই ভেবেছিলাম এই কনটেস্টে পার্টিসিপেট করবো। কন্টেস্টের বিষয়বস্তু হলো বর্ষার দিনের ফটোগ্রাফি এবং সেই সাথে বর্ষার দিন সম্পর্কে কিছু সাধারণ প্রশ্ন। তাই আজকে আমি আপনাদের সাথে আমার মোবাইলে তোলা কিছু বর্ষা দিনের ছবি শেয়ার করব এবং সেইসাথে বর্ষার দিন কেন আমার পছন্দ সেই বিষয়েও আপনাদের জানাবো।
কনটেস্টে নিয়ম অনুযায়ী আমি প্রথমেই আমাদের তিনজন বন্ধুকে এই কনটেস্টে অংশগ্রহণ করার জন্য আমন্ত্রণ জানাচ্ছি। তারা হলেন---@Shifti Tamanna @stef1 @solperez ম্যামকে। আপনারা 27th May পর্যন্ত কনটেস্টে অংশগ্রহণ করতে পারবেন। তাই কনটেস্টের বিষয়বস্তু আকর্ষণীয় মনে হলে আপনারাও কনটেস্টে অংশগ্রহণ করতে পারেন। আমি নিচে কনটেস্টের লিংক শেয়ার করছি।
Incredible India monthly contest of June by @tanay123 | Photography Contest -3
Do you love rain? What is the reason behind your preference?
প্রথম প্রশ্নেই জানতে চাওয়া হয়েছে আমি কি পছন্দ করি? এই প্রশ্নের উত্তরে আমি অবশ্যই জানাতে চাই যে আমি বৃষ্টি ভীষণ পছন্দ করি। শুধু আমি নই, বৃষ্টি পছন্দ করে না এমন মানুষ খুব কমই আছে। তবে একটানা অনেকদিন ধরে যে বৃষ্টি হয় সে বৃষ্টি আমি নিশ্চয়ই পছন্দ করি না। তবে গ্রীষ্মের প্রচন্ড দাবদাহে যখন এই ধরিত্রী হাহাকার করে তখন চাতক পাখির মতো আমিও বৃষ্টির জন্য উদগ্রীব হয়ে থাকি।
এই বৃষ্টিকে পছন্দ করার অনেক কারণ রয়েছে। সব হয়তো বলে উঠতে পারবো না তবুও কিছু পয়েন্ট অবশ্যই আপনাদের সামনে তুলে ধরতে চাই----
☔বৃষ্টি হল প্রকৃতির এক অপরূপ, অমূল্য উপহার। এই বৃষ্টি আমাদের মনকে অনেক শান্ত করে তোলে এবং মনের সমস্ত কলুষতা দূর করে। প্রকৃতিকে করে তোলে জীবন্ত, প্রাণবন্ত।
☔বৃষ্টির প্রথম ফোঁটা যখন মাটির বুকে পড়ে, তখন মাটির যে ঘ্রাণ তা আমাকে মোহিত করে। যারা প্রকৃতি ভালবাসে তারা ছাড়া হয়তো এই ঘ্রাণ আর কারোরই পছন্দ হবে না।
☔গ্রীষ্মের প্রচন্ড তাপদাহে যখন গাছপালা শুকিয়ে আসে, তাদের প্রাণ যাই যাই অবস্থা হয় তখন এই বৃষ্টিই তাদের মধ্যে নতুন প্রাণের সঞ্চার করে। চারপাশটা সবুজে ভরে ওঠে। গাছ গাছালী যেন নতুন করে জেগে ওঠে। আর এই সবুজে ভরা প্রকৃতি দেখতে কার না ভালো লাগে বলুন।
☔এই বৃষ্টি শৈশবে কাটানো সেই মিষ্টি মধুর স্মৃতিগুলোকে চোখের সামনে ফুটিয়ে তোলে।
☔কৃষকেরাও সারা বছর এই বর্ষার জন্য অপেক্ষা করে থাকে। অতিবৃষ্টি নয়, বরং স্বাভাবিক বৃষ্টিপাত তারাও পছন্দ করে। মাঠের ফসল গুলো মহা আনন্দে বেড়ে ওঠে।
☔আর সব থেকে গুরুত্বপূর্ণ হল আমি খিচুড়ি খেতে খুব ভালোবাসি। তবে গরমের দিনে খুব বেশি খিচুড়ি রান্না করা হয় না। তাই এই বৃষ্টির দিনগুলোতে বাড়িতে খিচুড়ির স্বাদ উপভোগ করতে পারি।
☔বৃষ্টির দিনে ব্যালকনিতে বসে এক কাপ চায়ের সাথে পকোড়া খেতে খেতে চারপাশের প্রকৃতির সৌন্দর্য দেখতে খুব ইচ্ছে হয়। যদিও সেটা সম্ভব হয়নি এখনও। তবে আশা রাখি ভবিষ্যতে অবশ্যই হবে। তবে তখন এক কাপ চা নয়, আরো এক কাপ চা অতিরিক্ত নিতে হবে। কারণ বরটাকে বাদ দিলে কি করে চলবে।
☔বৃষ্টির দিনে প্রকৃতির শব্দ যেন পরিবর্তন হয়ে যায়। টাপুর টুপুর বৃষ্টির শব্দ মনকে ভরিয়ে তোলে। কবি, সাহিত্যিক, সর্বোপরি শিল্পীদের মনকে এই বৃষ্টি ভীষণভাবে উদ্বেলিত করে।
☔এখন আমার ভাইপো আসার পর থেকে তাকে আবার কাগজের নৌকা বানিয়ে দিতে হয়, জলে ভাসানোর জন্য। সেও এক মজার অনুভূতি।
☔মাঝে মাঝে বৃষ্টির মধ্যে আমি আর আমার ভাইপো দুটো ছাতা নিয়ে বাড়ির সামনে রাস্তাটাই হেঁটে আসি। বৃষ্টির জল গুলো পায়ে পড়তেই এক রোমাঞ্চ অনুভূত হয়।
লিখতে গেলে বোধহয় আরো অনেক কথাই লেখা যাই। তবে থাক, আর বড়ো করলাম না।
Share some of your favorite rain photography.
বর্ষা দিনের মেঘলা আকাশের ছবি আমরা প্রায়ই আমাদের ক্যামেরায় বন্দি করি। তবে বৃষ্টির সময় খুব বেশি ফটো তুলে রাখা হয় না। তাই মোবাইল গ্যালারি খুঁজে যে কটি ছবি পেলাম, সেগুলোই আপনাদের সাথে শেয়ার করছি-
Do you have any memories associated with rain? Share how you feel about those memories!
বৃষ্টি দিয়ে আমার অনেক মেমরি রয়েছে। সব স্মৃতি তো একটি পোস্টের মাধ্যমে শেয়ার করা সম্ভব নয়। তবুও দু একটি শেয়ার করছি---
প্রথম স্মরণীয় বর্ষার স্মৃতি:
এখন যদি বলতে চলেছি সেটি আমি আমার আগের একটি পোস্টেও একবার বলেছিলাম। আমরা ছোটবেলায় যেখানে ছিলাম, সেই বাড়ির পাশেই একটা পুকুর ছিল। সেই পুকুরে মাছ চাষ করা হতো। তবে বর্ষার দিনে একটু বেশি বৃষ্টি হলেই সেই পুকুরটা ভরে যেত। তারপর, পুকুরের মাছগুলো সব বাড়ির মধ্যে চলে আসতো, রাস্তায় উঠে আসতো। তখন আমি আর দাদা দুজন মিলে অনেক মাছ ধরতাম।
দ্বিতীয় স্মরণীয় বর্ষার মুহূর্ত:
ক্লাস ইলেভেনে আমি যখন প্রথম দিন, নতুন স্কুলে যাব সেই দিন তুমুল বৃষ্টি হচ্ছে। তখনো আমার কাছে কোনো রেইনকোট ছিল না। সেই সাথে মেইন রোডে সাইকেল চালানোর কোনো অভিজ্ঞতাও ছিল না। অথচ প্রথম দিন যেহেতু তাই স্কুলও কামাই করতে চাইনি। কথা ছিল, মা আমাকে স্কুলে দিয়ে আসবে, সাইকেলে করে। তবে এত বৃষ্টির মধ্যে মায়ের পক্ষে যাওয়া সম্ভব ছিল না। তাই আমি এক হাতে ছাতা নিয়ে সাইকেল চালিয়ে আমাদের বাড়ি থেকে প্রায় ৬ কিলোমিটার দূরে স্কুলে গিয়েছিলাম। আমি নিজে ভিজে স্নান হয়ে গেলেও আমার ব্যাগটাকে কিন্তু আমি ভিজতে দিইনি। প্রথম দিন নতুন স্কুলে যাওয়া, তাও আবার কাক ভেজা হয়ে, এটা আজীবন আমার কাছে স্মরণীয় হয়ে থাকবে।
লিখতে গেলে আরো অনেক স্মরণীয় মুহূর্ত লেখা যায়। তবে পোস্টটি অনেক বড় হয়ে যাচ্ছে। তাই এখানেই শেষ করছি। আগামীকাল আবার অন্য কোনো লেখা নিয়ে আপনাদের সামনে হাজির হব। সকলে ভালো থাকবেন, সুস্থ থাকবেন।
Muy lindas tus fotos de lluvia y tu descripción sobre las mismas. Me encantó leerte. Un abrazo.
0.00 SBD,
0.02 STEEM,
0.02 SP
Thank you so much.