বান্ধবীর বিয়ে (পর্ব-১)
নমস্কার বন্ধুরা। আপনারা সকলে কেমন আছেন? আজকে চলে এসেছি আপনাদের সাথে আমার এক ছোটবেলার বান্ধবীর বিয়ের দিনের কিছু গল্প শেয়ার করার জন্য। আশা করছি আপনাদের সকলের ভালো লাগবে।
এই বান্ধবীটি আমার ছোটবেলার সবচেয়ে পুরনো বান্ধবী। ওর আইবুড়ো ভাত খাওয়ানোর অভিজ্ঞতা আপনাদের সাথে শেয়ার করলেও বিয়ের দিনের গল্প আপনাদের সাথে শেয়ার করা হয়ে ওঠেনি। তাই ভাবলাম আজকে ওর বিয়ে দিনের কিছু গল্প আপনাদের সাথে শেয়ার করি। যদিও সেই বিয়ের অনেকদিন হয়ে গেল। প্রায় ৬/৭ মাস। তবে একদমই ভুলে গিয়েছিলাম যে বিয়ের দিনের গল্প আপনাদের সাথে শেয়ার করা হয়নি।
বিয়ের দিন সকাল দশটার দিকে আমরা পৌঁছে গিয়েছিলাম বান্ধবীর বাড়ি। আমাদের আগে থেকেই জানানো হয়েছিল যে সাড়ে দশটার দিকে জল ভরার জন্য নদীতে যাবে। আমাদের বাঙালি বিয়েতে নদীকে নিমন্ত্রণ করা ও নদীর থেকে বা কোন জলাশয় থেকে ঘড়াই করে জল ভরে এনে, গায়ে হলুদের পর বিয়ের কনেকে সেই জল দিয়ে স্নান করানো হয়। যুগের সাথে সাথে অনেক নিয়মাবলী অবলুপ্ত হয়ে গেলেও এই নিয়মগুলো কিন্তু এখনো আমাদের বাঙালি বিয়েতে মানা হয়। আর এই জল ভরতে যাওয়ার রীতিটা আমরা কিন্তু খুব মজা করেই পালন করি।
ওদের বাড়ি থেকে যে নদীতে আমরা গিয়েছিলাম সেটার দূরত্ব অনেকটাই ছিল। তবে সবাই মিলে বাজনার সাথে নাচতে নাচতে, মজা করতে করতে গিয়েছিলাম তাই খুব বেশি দূর বলে মনে হয়নি। সেখানে গিয়ে বড়োরা বিভিন্ন রকমের নিয়ম-কানুন পালন করছিল। আর আমরা সেই সময় অনেক ফটো তুলেছিলাম। সবাই মিলে এতদিন পরে এক জায়গায় একত্রিত হতে পেরে আমরা খুবই খুশি ছিলাম। তাই হাসি- ঠাট্টা- মজা করতে করতেই জল ভরার রীতি পালন হয়ে গেল।
এরপর সবাই মিলে গ্রুপ ফটো তোলা হচ্ছিল। সেখানে দুজন ক্যামেরাম্যান ছিলেন যারা পুরো বিয়েটা কে কভার করছিল। তারা প্রধানত জল ভরার সময় বাড়ির সকলকে এবং বিভিন্ন নিয়ম কানুন গুলোকে ক্যাপচার করছিল। আর আমাদের ওই বান্ধবীটির জামাইবাবু একটি পার্সোনাল ক্যামেরা নিয়ে গিয়েছিল, যেটাতে আমরা সবাই অনেক ফটো তুলেছিলাম। এই জামাই বাবুটি আমাদের সবার খুবই পছন্দের। কারণ জামাইবাবু আমাদের সকলকে খুবই স্নেহ করে। আমরা যখন ক্লাস টুয়েলভে পড়ি তখন এই দিদির বিয়ে হয়েছিল। বিয়েতে আমরাও কিন্তু আমন্ত্রিত ছিলাম। এই দিদি এবং জামাইবাবু দুজনেই খুব মিশুকে। তাই আমরা দুজনকেই খুব পছন্দ করি।
জল ভরে বাড়ি আসার সময় কেউই আর হেঁটে বাড়ি ফিরতে চায়ছিল না। তাই সবাই নিজের নিজের মত টোটো গাড়ি ভাড়া করে বান্ধবীর বাড়ি এসেছিল। তখনো যেহেতু বরের বাড়ির থেকে হলুদ নিয়ে আসা হয়নি তাই সকলকেই অপেক্ষা করতে হচ্ছিল গায়ে হলুদের জন্য। তবে যেহেতু দুপুর হয়ে গিয়েছিল আর সকলেরই খিদে পেয়ে গিয়েছিল তাই সবাইকে লজে চলে যেতে বলা হয়েছিল দুপুরের খাবার খাওয়ার জন্য। সেইমতো আমরাও চলে গিয়েছিলাম লজে। সেখানে গিয়ে আমরা দুপুরের খাবার খেয়েছিলাম। তারপর বেশ কিছুক্ষণ অপেক্ষা করছিলাম গায়ে হলুদ দেখার জন্য । তবে বরের বাড়ি থেকে অনেকটাই দেরি করছিল হলুদ আনতে। অন্যদিকে আমার আবার পড়ানো ছিল। পড়িয়ে বাড়ি এসে রাতে আবারও বিয়ে দেখার জন্য আসত হত। তাই তখন বেশিক্ষণ অপেক্ষা করা আমার পক্ষে সম্ভব ছিল না। তাই নিজেরা কিছু ছবি তুলে আমি চলে এসেছিলাম। যদিও বাকি বান্ধবীরা সেখানেই ছিল।
আমি পরে গায়ে হলুদের ছবি দেখেছিলাম। এইভাবেই বিয়ের দিনের দুপুরটা আমাদের কেটেছিল। রাতে কিভাবে আমরা বান্ধবীর বিয়ে উপভোগ করলাম সেটা পরের পর্বে আপনাদের সাথে শেয়ার করব। আজ তাহলে এখানেই শেষ করছি। আগামীকাল আবার অন্য কোনো লেখা নিয়ে আপনাদের সামনে হাজির হব। সকলে ভালো থাকবেন, সুস্থ থাকবেন।
Hello @pinki.chak, thank you for your contribution to our account.
0.00 SBD,
0.42 STEEM,
0.42 SP
, thank you so much.
This post has been curated by
Team #5
@mikitaly
0.00 SBD,
0.01 STEEM,
0.01 SP
Thank you so much.