Handmade Jewellery Set
নমস্কার বন্ধুরা। আপনারা সকলে কেমন আছেন? আজকে চলে এসেছি আপনাদের সাথে একটি দারুন জিনিস শেয়ার করার জন্য। আশা করছি আপনাদের সকলের ভালো লাগবে।
আপনারা যারা প্রতিনিয়ত আমার পোস্ট করেন তারা জানেন যে, কিছু মাস পরেই আমার বিয়ে। যুগের সাথে এখন অনেক কিছু পাল্টে গেছে। সেই সাথে প্রতিটা উৎসব অনুষ্ঠানেরও খানিক পরিবর্তন ঘটেছে। তাছাড়া বর্তমানে ইন্টারনেটের যুগে মানুষের দেখবার মতো বহু বিষয় রয়েছে এবং খুব সহজেই তারা সেগুলো ঘরে বসে উপভোগ করতে পারে, যার ফলে মানুষের ভাবনা চিন্তারও পরিবর্তন ঘটেছে। এই যেমন ধরুন এখন বিয়ের আগে প্রায়ই সকলেই প্রি- ওয়েডিং ফটোশুট করে, এই কনসেপ্টটা কিন্তু আগে একেবারেই ছিল না। তবে যুগের সঙ্গে তাল মিলিয়ে চলতে গেলে কখনো কখনো আমাদের পরিবর্তনকে গ্রহণ করতেই হয়।
যাইহোক, এবার মূল বক্তব্যে আসা যাক। আর কয়েকদিন পরেই আমরাও ঠিক করেছি একটা প্রি ওয়েডিং শুট করবো। তাই তার জন্য শাড়ি, এবং অন্যান্য সামগ্রী কেনা হয়ে গেলেও। আমি মন মতো জুয়েলারি পাচ্ছিলাম না। অবশেষে আমার এক বান্ধবীর কাছ থেকে আমি একটি জুয়েলারি কাস্টমাইজ করে বানাই। আজ আমি আপনাদের সাথে সেই জুয়েলারির গল্প শেয়ার করব।
আসলে প্রি ওয়েডিং ফটোশুট এর জন্য আমি শাড়ি , ব্লাউজ ম্যাচিং করে Meesho অনলাইন শপিং প্ল্যাটফর্ম থেকে কিনে নিয়েছি। এরপর আমাকে কিনতে হতো একটা ম্যাচিং করে জুয়েলারি। সেইমতো আমি খুঁজছিলাম। খুঁজতে খুঁজতে মনের মত একটা জুয়েলারি পেয়েও গিয়েছিলাম। তবে সেই মুহূর্তে আমি আর অর্ডার দিইনি। ভেবেছিলাম আরো কিছুদিন যেহেতু দেরি আছে তাই পরে অর্ডার দেবো। তবে পরে অর্ডার দিতে গিয়ে দেখলাম সেটা আউট অফ স্টক হয়ে গেছে। দেখে মনটা খুবই খারাপ হয়ে গেল। তারপরে আমি আরো অনেকবার চেক করেছিলাম তবে সেটা রিস্টক হয়নি।
*অবশেষে আমার একটা বান্ধবীর কথা মনে পরল। ও আমাদের কলেজেরই বন্ধু। ও সমস্ত রকমের হ্যান্ড মেড জুয়েলারি তৈরি করে। বিশেষ করে ক্লে এর জুয়েলারি বেশি বানায়। আর আমারও ক্লে এর জুয়েলারিই দরকার ছিল। তাই আমি ওকে Meesho থেকে পছন্দ করা জুয়েলারিটার ছবি পাঠিয়ে কেমন খরচ পড়বে সেটা জিজ্ঞাসা করি।
যদিও Meesho থেকে যে ছবিটি পাঠিয়েছিলাম সেখানে কোন ফিঙ্গার রিং ছিল না। আমি কাস্টমাইজ করে একটা ফিঙ্গার রিংও বানিয়ে দিতে বলেছিলাম। ও বলেছিল সব মিলিয়ে খরচ পড়বে ২৮০ টাকা। মানে ২৩ স্টিম মতো। যেহেতু Meesho র থেকে দামটা ও কমই বলেছিল, তাই আমি অর্ডার করে দিয়েছিলাম। সেই সাথে বলেই দিয়েছিলাম যাদের ফুল টা একটু বড় হয়। আর আমি যেহেতু এর আগেও ওর কাছ থেকে জুয়েলারি বানিয়েছি তাই লাস্ট যে ফিঙ্গার রিং টা বানিয়েছিলাম সেটার সাইজেই এই ফিঙ্গার রিং টা বানাতে বলেছিলাম।*
যেহেতু প্রি ওয়েডিং ফটোশুট এর আর বেশি দিন সময় নেই, তাই আমি ওকে এক সপ্তাহের মধ্যে বানিয়ে দিতে বলেছিলাম। যেহেতু আমাদের সকলেরই পরীক্ষা ছিল তাই ও বলেছিল পরের সপ্তাহের শেষের দিকে দেবে। আমিও রাজি হয়ে গিয়েছিলাম । মেয়েটার হাতের কাজ সত্যিই খুব সুন্দর। তাই ওর ওপর আমার পুরো ভরসা ছিল যে ও নিশ্চয়ই সুন্দর করেই আমাকে বানিয়ে দেবে। আর আমি ওকে বলেই দিয়েছিলাম ও যেন নিজের মতো করে বানাই, পুরোপুরি কপি না করলেও চলবে। ও সেইমতো আমার জিনিসটা বানিয়ে ছিল।
আজকে এখানেই শেষ করছি, আগামীকাল আমি আপনাদের সাথে আমার বান্ধবীর বানিয়ে দেওয়া জুয়েলারি সেটটার রিভিউ দেব। আশা করি আপনাদের সকলের ভালো লাগবে। আজ তাহলে এখানেই শেষ করছি। আগামীকাল আবার অন্য কোনো লেখা নিয়ে আপনাদের সামনে হাজির হব। সকলে ভালো থাকবেন, সুস্থ থাকবেন।*
পোস্টটি পড়ে জানতে পারলাম তুমি নতুন জীবনে পা দিতে চলেছ। আশীর্বাদ করি তোমার জীবনের এই চলার পথ অনেক সুন্দর ও মসৃণ হবে ।আসলে আমাদের মেয়েদের বাড়ি বলতে কোন বাড়ি নেই ।
আমরা বাবার বাড়িতে বেড়ে উঠি আর শ্বশুর বাড়িতে আমাদের শেষ জীবন পর্যন্ত থাকতে হয় ।বাবার বাড়িতে যতই আদর যত্নে বেড়ে ওঠি একদিন সেই বাড়িতে অতিথি হয়ে আসতে হয় এবং কতদিন থাকতে পারবো তাও জানিয়ে দিতে হয়।
মেয়েদের জীবন এরকম।আশা করি তোমার নতুন জীবন অনেক সুন্দর হোক ,শুভকামনা রইল ।তোমার বান্ধবীর হাতে বানানো জুয়েলারি টা অনেক সুন্দর ।ক্লে দিয়ে এত সুন্দর সুন্দর জুয়েলারি তৈরি করা যায় আমার জানা ছিল না।
Congratulations!! Your comment has been upvoted through steemcurator04. We encourage you to publish creative and high-quality content, giving you a chance to receive valuable upvotes.
আপনাকে অসংখ্য ধন্যবাদ, আমার পোস্টটি পড়ে এত সুন্দর একটি মন্তব্য করার জন্য। আর আপনি ঠিকই বলেছেন, মেয়েদের নিজের বলতে কোনো বাড়ি হয় না, যতক্ষণ না সে নিজের উপার্জনে কিছু করছে। এই সব ভাবলেই মনটা আজকাল খারাপ হয়ে যায়। এত বছর যে বাড়িতে থাকলাম সে বাড়িটাকে, সেই বাড়ির মানুষজনদের ছেড়ে চলে যেতে হবে, এটা ভাবলেই কান্না পাই। তবুও সবটা মেনে নিতে হবে।🥹
Thank you so much 🙏