অনলাইনে স্টোরেজ বক্স কেনার অভিজ্ঞতা
নমস্কার বন্ধুরা। আপনারা সকলে কেমন আছেন? আজকে চলে এসেছি আপনাদের সাথে নতুন একটি গল্প শেয়ার করার জন্য। আশা করছি আপনাদের সকলের ভালো লাগবে।
গতকাল আমি আপনাদের সাথে আমার একটি অনলাইনে জিনিস কেনার অভিজ্ঞতা শেয়ার করেছিলাম। আজকেও আমি আপনাদের সাথে অন্য একটি জিনিস কেনার অভিজ্ঞতা শেয়ার করব। আশা করছি আপনাদের সকলের ভালো লাগবে।
যে জিনিসটির কথা আজ আপনাদের বলবো সেটা আমি গত বছর কিনেছিলাম। সেটা হল স্টোরেজ বক্স। যেখানে পাঁচটা বক্সের সেট ছিল। এই বক্সগুলো আমি কোথাও ঘুরতে যাওয়ার সময় জুয়েলারি ও কসমেটিক্সের জিনিসপত্র নেওয়ার জন্য ব্যবহার করে থাকি। তবে এই পথগুলো মাল্টিপ্যাল কাজে ব্যবহার করা যায়, মানে আপনারা বিভিন্ন কাজে ব্যবহার করতে পারেন।
YouTube এ প্রোডাক্টির রিভিউ এর যে ভিডিও আমি পোস্ট করেছি তার লিঙ্ক
যেহেতু বর্তমানে প্রোডাক্টটি আউট অফ স্টক আছে তাই আমি আপনাদের সাথে প্রোডাক্টের লিঙ্ক শেয়ার করতে পারছি না। আউট অফ স্টক থাকলে কোনরকম শেয়ার অপশন থাকে না। যার ফলে আমি এই প্রোডাক্টের নিচে কোনরকম লিংক শেয়ার করতে পারলাম না। তবে উপরে যে ছবিটি আমি শেয়ার করেছি সেই ছবির নিচে দেখুন একটি কোড রয়েছে। আপনারা যদি কেউ জিনিসটি কিনতে চান সেক্ষেত্রে আপনারা Meesho app এ সার্চ অপশনে গিয়ে ওই কোডটি টাইপ করে সার্চ করেন তাহলে এই প্রোডাক্টটির পেজ খুলে যাবে।
যেহেতু মাঝে মাঝেই বিভিন্ন রকমের আর্টিফিশিয়াল জুয়েলারি কেনা হয় তাই সেগুলো পরিপাটি করে রাখতে ভীষণ অসুবিধা হয়। আর তাছাড়া এর চেয়েও বড় সমস্যা হলেও যখন কোথাও ঘুরতে যাই তখন জুয়েলারি এবং কসমেটিকসের জিনিসপত্র নিতে খুব অসুবিধা হয়। ব্যাগের মধ্যে নিলে খুব অগোছালো হয়ে যায়। তাই Meesho অ্যাপ এ এই প্রোডাক্টটি দেখামাত্রই আমি অর্ডার করে দিয়েছিলাম। তবে মনে একটু সংশয় ছিল এই প্রোডাক্টটি নিয়ে কারো মেটেরিয়াল কেমন হবে বুঝতে পারছিলাম না। তবুও দেখতে বেশ ভালো লাগছিল এবং দামটাও ঠিকঠাক ছিল তাই আমি অর্ডার করে দিয়েছিলাম।
অনলাইন শপিং প্ল্যাটফর্ম গুলোতে প্রোডাক্ট এর দাম সব সময় একই রকম থাকে না। কখনো দাম বেড়ে যায় আবার কখনো কম থাকে। আমি যেহেতু আগের বছর অর্ডার করেছিলাম, তখন প্রোডাক্ট এর দাম ছিল ১৬৯ টাকা। মানে ১৫ স্টিম মতো। আমি তখন ক্যাশ অন ডেলিভারিতেই নিয়েছিলাম। তবে এখন প্রোডাক্টটির দাম ক্যাশ অন ডেলিভারিতে ১৮১ টাকা। মানে ১৬ স্টিম মতো। আর অনলাইনে পেমেন্ট করলে দাম পড়বে ১৬২ টাকা। মানে ঐ ১৪/১৫ স্টিম মতোই।
প্রতিবারের ন্যায় এইবারেও আমি জিনিসটি অর্ডার করার আগে এর রেটিং স্কেল দেখে নিয়েছিলাম। প্রোডাক্ট এর রেটিং অনেক ভালো ছিল। রেটিং ছিল ৪.৩/৫। মানে যথেষ্ট ভালো রেটিং ছিল। তাই আমি প্রোডাক্টটি অর্ডার করে দিয়েছিলাম। তবে জিনিসটি পাওয়ার পরে আমার একটি সমস্যা হয়েছিল সেটা হল আমি অন্য কালারের প্রোডাক্ট পেয়েছিলাম। তাই আমি সেটা এক্সচেঞ্জ করে নিয়েছিলাম। অনলাইন কেনাকাটার ক্ষেত্রে রিটার্ন এবং এক্সচেঞ্জ দুটোরই সুবিধা থাকাই খুব সহজেই সমস্যা সমাধান করা যায়।
জিনিসটির রিভিউ খুব ভালো ছিল। প্রচুর মানুষ এই প্রোডাক্টটি কিনেছেন এবং তাদের রিভিউ দিয়েছেন। অনেক মানুষ রিভিউ হিসেবে ছবিও পোস্ট করেছেন। এই ছবি পোস্ট করার ফলে অন্যান্য ক্রেতাদের অনেক সুবিধা হয় জিনিসটি কেমন আসবে সেটা বুঝতে। তাদের রিভিউ এবং মূল্যবান মন্তব্য গুলো দেখার পর আমি অর্ডার করে দিয়েছিলাম।
এক্সচেঞ্জ করার পর আমি একদম সঠিক প্রোডাক্টটি পেয়েছিলাম। তাই সবশেষে আমি যে প্রোডাক্টটি পেয়েছিলাম তার ছবি শেয়ার করছি। যদিও আলাদা করে কোনো ছবি তোলা নেই, তাই আমি আমার তৈরি করা ভিডিও থেকেই স্ক্রিনশট নিয়ে শেয়ার করছি।
আজ তাহলে এখানেই শেষ করছি। আগামীকাল আবার অন্য কোনো লেখা নিয়ে আপনাদের সামনে হাজির হব। সকলে ভালো থাকবেন, সুস্থ থাকবেন।