রথের মেলার বিশেষ আকর্ষণ
নমস্কার বন্ধুরা। সকলে কেমন আছে? আজকে আপনাদের সাথে গতকালের পোস্টটির বাকি অংশটা শেয়ার করব। আশা করছি আপনাদের সকলে ভালো লাগবে।
আপনাদের আগে পোস্টে জানিয়েছিলাম যে, রথযাত্রা উপলক্ষ্যে পার্শ্ববর্তী একটি মঠ থেকে রথ আনা হয়েছিল আমাদের শহরে। এবং সেই উপলক্ষ্যে আমাদের শহরের বড় মাঠে একটি মেলার আয়োজন করা হয়েছিল। আর সেই মেলাতে ঘিরে প্রচুর মানুষের আগমন ঘটেছিল। মেলায় আগত সকলেই মূলত এই রথ এবং জগন্নাথ দেবের দর্শনে এসেছিলেন। এখানে প্রচুর বৈষ্ণব ধর্মাবলম্বী ছিলেন যারা জগন্নাথ দেবের পুজো উপলক্ষ্যে এখানে সাতটি দিন ভগবানের নাম গান করে আনন্দ সহকারে কাটিয়েছেন। এই মেলায় সোজা রথের দিন রথ আনা হয়েছিল এবং উল্টো রথের দিন রথ আবার মঠে ফিরিয়ে নিয়ে যাওয়া হয়।
মেলাতে নানা রকমের জিনিসপত্রের দোকান বসেছিল। তির মধ্যে আমার সবচেয়ে পছন্দের দোকান হলো ব্যাগের দোকান। ব্যাগ কিনতে আমার কি যে ভালো লাগে কি বলবো। যেকোনো জায়গায় গেলেই আমার ব্যাগ কেনা চাই। কেউ কোন গিফ্ট দেওয়ার আগে জিজ্ঞাসা করলে, প্রথমেই মাথায় আসে ব্যাগের কথা। তাছাড়া নিজেও অনেক ব্যাগ কিনি। এভাবে কিনতে কিনতে ব্যাগের সংখ্যা বেশ অনেকগুলো হয়ে গেছে। তাই এখন আর ব্যাগ কিনি না। নিজেকে খুব কন্ট্রোল করি যাতে আর ব্যাগ না কিনি। এখানে একশ টাকা(৯ steem তো) দামের অনেক রকমের ব্যাগ ছিল। তাছাড়াও আড়াইশো ও ৩০০ টাকা (২৭ steem মতো) দামেরও অনেক ব্যাগ ছিল।
এরপর ছিল একটা পর্দার দোকান। পর্দার দোকানে বেশ অনেক সুন্দর সুন্দর পর্দা বিক্রি হচ্ছিল। আমাদের কয়েকটা পর্দা কিনতে হতো। তাছাড়াও এই দোকানে খুব সুন্দর সুন্দর বালিশের কভার পাওয়া যাচ্ছিল। আমরা নিজেদের জন্য মানে দুইবারের জন্য বেশ কয়েকটা পর্দা ও বালিশের কভার কিনেছিলাম। ভেবেছিলাম পরদিন গিয়ে দরজার পর্দা কিনে আনব। তবে প্রচন্ড বৃষ্টির জন্য আর যাওয়া হয়নি।
এছাড়া মেলা মানেই তো হরেক রকমের খাবার দোকানের সমাহার। যদিও এই মেলায় তেমন কোন ফাস্ট ফুডের দোকান ছিল না। এখানে বিভিন্ন মুখরোচক খাবার যেমন পাঁশকুড়া চপ, মথুরাকেক, বিভিন্ন রকমের আচার, ফুচকা, ঘুগনি ইত্যাদি বিক্রি হচ্ছিল। এর মধ্যে সবথেকে গুরুত্বপূর্ণ ছিল পাঁপড় ও জিলিপি। রথ মানেই পাঁপড় আর জিলিপি খেতেই হবে। এখানে সেসবও ছিল। তাছাড়া এখানে বড়সড় কোনো নাগরদোলা আসেনি। বাচ্চাদের জন্য কয়েকটা ছোট নাগরদোলা ছিল। এছাড়াও এখানে বেশ কয়েকটা বইয়ের স্ট্রল বসে ছিল। তবে এইবার আর কোন বই কিনিনি।
ঠাকুর দর্শন করে, রথ দেখে, কিছু খাবার খেয়ে, এবং সেই সাথে বেশ কিছু জিনিস কেনাকাটা করে আমরা অবশেষে বাড়ি ফিরে এসেছিলাম। এভাবেই আমরা এ বছরের রথযাত্রা উপভোগ করেছি। আজ তাহলে এখানেই শেষ করছি। আগামীকাল আবার অন্য কোনো লেখা নিয়ে আপনাদের সামনে হাজির হব। সকলে ভালো থাকবেন, সুস্থ থাকবেন।