কলেজ পিকনিক
নমস্কার বন্ধুরা। আপনারা সকলে কেমন আছেন? আজকে চলে এসেছি আপনাদের সাথে আমাদের একটি বিশেষ দিনের কিছু গল্প শেয়ার করার জন্য। আশা করছি আপনাদের সকলের ভালো লাগবে।
শীতকালে পিকনিক করতে কে না ভালোবাসে বলেন। সকলেই কমবেশি সেই সময় পিকনিক করে থাকে। নিজেদের বাড়িতে হোক কিংবা কোন খোলা মাঠে বা অন্যত্র কোথাও গিয়েও মানুষজন এই পিকনিকের আনন্দ উপভোগ করে। ঠিক একই রকম ভাবে আমরাও আমাদের বাড়িতে পরিবারের সাথে এবং বন্ধুবান্ধবদের সাথেও পিকনিক করে থাকে।
তবে পরিবারের সাথে পিকনিক করার চেয়েও অনেক বেশি আনন্দের হয় বন্ধু-বান্ধবদের সাথে পিকনিক করলে। তবে আলাদা ভাবে শুধুমাত্র বন্ধু-বান্ধবদের সাথে পিকনিক করলে অনেক রকম কাজের ভার নিতে হয়। তাই কলেজে যে পিকনিকের আয়োজন করা হয় সেটা আমার কাছে সবচেয়ে প্রিয়। কারণ কলেজে পিকনিক আয়োজিত হলে সেখানে বন্ধু-বান্ধবদের সাথে অনেক মজা করা যায় সাথে কোন কাজের দায়িত্বও নিতে হয় না। তাই পিকনিক টা খুব ভালোভাবে উপভোগ করা যায় ।
এই শীতেও আমাদের কলেজ থেকে একটি পিকনিকের আয়োজন করা হয়েছিল। বি.এড/ডি.এল.এড কলেজ গুলিতে পিকনিক আয়োজন করা আবশ্যিক। যদি কেউ পিকনিকে না যায় তবুও তাকে পিকনিকের জন্য বরাদ্দ টাকা জমা করতে হয়। তাই কারোর যাওয়ার ইচ্ছে না থাকলেও টাকা দেওয়ার কথা ভেবে হলেও অবশ্যই যায়।
তাই ঐ দিন আমরা চার বান্ধবী ঠিক করেছিলাম আমরা সেদিন বাসে করে যাব না। আমরা চারজনই কৃষ্ণনগর থেকেই যেতাম। বাসে করে গেলে সময়টা কম লাগে বটে তবে টোটো করে গেলে সময় বেশি লাগলেও আমরা খুব মজা করতে করতে যেতে পারি। টোটো গাড়িতে খুব বেশি ভাড়াও নেয় না। বাসের চেয়ে হয়তো ৫টাকা( ভারতীয় মূল্যে) বেশি নেয়। তাই মাঝে মাঝেই আমরা বাসে করে না গিয়ে টোটো করে যেতাম। টোটো করে গেলে আমাদের কারোরই মুখটা এক মিনিটের জন্য বন্ধ হতো না। কতশত টপিক নিয়ে যে আমার কথা বলতাম তার অন্ত নেই।
এরপর কলেজে পৌঁছে আমরা সকলে অন্য বন্ধু-বান্ধবদের সাথে দেখা করলাম। তারপর সবাই মিলে ক্লাস রুমে বসে আড্ডা দিচ্ছিলাম। কলেজে বিভিন্ন অনুষ্ঠানগুলোতে আমাদের অনেক স্বাধীনতা দেওয়া হয়। তাই আমরা আমাদের মতো করে মজা করতে পারি। আমরা বেশ কিছুক্ষণ ক্লাস রুমে ছিলাম। তারপর আমরা ব্যালকনিতে দাঁড়িয়ে অনেক ফটো তুলেছিলাম। কলেজের এই অনুষ্ঠানগুলোতে আমরা সবাই অংশগ্রহণ করার চেষ্টা করি। কারণ এই বিভিন্ন রকম অকেশনে অংশগ্রহণের উপরেও ইন্টার্নাল নাম্বার নির্ভর করে। ইন্টার্নাল নাম্বার যেহেতু কলেজ থেকেই দেওয়া হয় তাই কলেজে বিভিন্ন প্রোগ্রামে অংশগ্রহণ করলে স্যার ম্যামদের কাছে একটু পরিচিত হওয়া যায়। তাই কলেজ কর্তৃপক্ষ বারবার করে বিভিন্ন রকম প্রোগ্রামে অংশগ্রহণ করার জন্য আমাদের অনুরোধ করে।
এরপর আমরা সকলে স্যার ও ম্যামদের সাথে দেখা করতে গিয়েছিলাম। এই দিনে ওরাও আমাদের সাথে খুব বন্ধুত্বপূর্ণ ভাবে মেশে। কলেজে প্রত্যেকটা মেম্বার কলেজের বিভিন্ন অনুষ্ঠানগুলো খুব উপভোগ করে। তাই আমরা গিয়ে স্যার ও মামেদের কাছে তাদের সাথে ফটো তোলার অনুরোধ করলে তারা সঙ্গে সঙ্গে রাজি হয়ে যায়। তারপর আমরা সবাই একে একে সব স্যার ও ম্যামদের সাথে ফটো তুলে নিই।
এরপর সবশেষে আসে আসল বিষয়। সেটি হলো পিকনিকের খাওয়া দাওয়া। মেয়েদেরই আগে বসতে বলা হয়। আমরা সকলেই একে একে বেঞ্চে বসে পড়েছিলাম। আমাদের মেনুতে ছিল-- সাদা ভাত, চিপস্, ভেজ ডাল, পটল চিংড়ি, চিকেন, চাটনি, পাপড়, মিষ্টি। সমস্ত রান্না আমাদের কলেজেরই এক কাকু করেছিলেন। উনি অসাধারন রান্না করেন। সব রান্না গুলোই দারুন খেতে হয়েছিল। আমরা সবাই খুব তৃপ্তি সহকারে খাবার খেয়েছিলাম।
সব মিলিয়ে আমরা কলেজ পিকনিক খুব উপভোগ করেছিলাম। এটি ছাত্র জীবনের এক দারুন আনন্দময় অভিজ্ঞতা।
আজ তাহলে এখানেই শেষ করছি। আগামীকাল আবার অন্য কোনো লেখা নিয়ে আপনাদের সামনে হাজির হব, সকলে ভালো থাকবেন, সুস্থ থাকবেন।*
Thank you for sharing on steem! I'm witness fuli, and I've given you a free upvote. If you'd like to support me, please consider voting at https://steemitwallet.com/~witnesses 🌟
Thank you so much.