দাদা বৌদির সাত বছরের বিবাহ বার্ষিকী পালন
নমস্কার বন্ধুরা। সকলে কেমন আছেন? আজকে চলে এসেছি গতকালকের পোস্টের বাকি অংশটুকু আপনাদের সাথে শেয়ার করার জন্য। আশা করছি আপনাদের সকলের ভালো লাগবে।
গতকালকের পোস্টে আপনাদের জানিয়েছিলাম যে দুই দিন আগে আমার দাদা ও বৌদির সাত বছরের বিবাহ বার্ষিকী ছিল। সেই উপলক্ষ্যে বিশেষ কোনো আয়োজন করা না হলেও সকালের এবং দুপুরের খাবারের মেনু আপনাদের সাথে শেয়ার করেছিলাম। আজ আপনাদের সাথে শেয়ার করব সেই দিনের রাতের আয়োজন এর গল্প।
অন্য বছরগুলোতে খুব ছোটখাটো করে হলেও ওদের বিবাহবার্ষিকী বাড়িতেই পালন করা হয়েছে। কাছের কিছু আত্মীয় স্বজনদের বলা হত, বিশেষ করে বৌদির বাবার বাড়ির লোকজনদের। তবে এই বছর কিছু কারণবশত সেই সব করা হয়ে ওঠেনি। তবে বছরের এই বিশেষ দিনটিকে তো এমনি এমনি কাটিয়ে দেওয়া যায় না। একটু তো আনন্দ অনুষ্ঠান হওয়া চাই। তাই সেই দিন আমন্ত্রিত হিসেবে ছিল বৌদির ভাই ও ভাইয়ের বউ ও তাদের ছোট্ট মেয়ে, আমার মাসির মেয়ে, মানে দিদি, জামাইবাবু আর তাদের ছেলে, সেই সাথে আমাদের সামনের বাড়ির এক বৌদি, দাদা ও তাদের দুই মেয়ে, সেই সাথে আমার হবু বর। আমাদেরকে ধরে সবমিলিয়ে ১৫ জন মতো।
অন্য বছর বৌদির ও দাদার বন্ধু-বান্ধবদেরও নিমন্ত্রণ করা হতো। আর বন্ধুবান্ধবরা থাকলে এই অনুষ্ঠানের মহলটাই যেন পরিবর্তন হয়ে যায়। যাইহোক, এই বছর সেই সব কিছু করা না হলেও আমরা এই কয়জন মিলেও বেশ মজা করেছি। দিদি ,জামাইবাবু ও তাদের ছেলে দুপুরবেলায় চলে এসেছিল। আর বৌদির ভাই, ভাইয়ের বউ ও তাদের মেয়ে এসেছিল বিকেল বেলা। অন্য সপ্তাহগুলোতে আমার এই দিন বিকেল থেকে তিনটে পড়ানো থাকে। তবে এই সপ্তাহে সৌভাগ্যবশত আমার রাতের দুটো পড়ানো ক্যান্সেল হয়ে যায়। পড়ানোর বাড়ি থেকে ফোন করে আমাকে আসতে বারণ করে। তাই আমাকে আর আলাদা করে ছুটি নিতে হয়নি। আর এইসব নিমন্ত্রণ মানেই কি গিফ্ট দেওয়া হবে এই নিয়ে একটা দ্বিধাদ্বন্দ্ব চলে।শুভায়ণ জিজ্ঞাসা করছিল কে কিনবে। তাই আমি বলেছিলাম একটা চকলেট কেক কিনতে।
এরপর সন্ধ্যে হয়ে এলে সকলে রেডি হয়ে নেয়। যেহেতু বাড়িতে কোন প্রোগ্রাম ছিল না তাই , দাদা আমাদের সবাইকে একটা রেস্টুরেন্টে নিয়ে যাওয়ার প্ল্যান করে। রেস্টুরেন্টটা আমাদের বাড়ি থেকে বাইকে ১০ মিনিটের দূরত্বে রয়েছে। রেস্টুরেন্ট এর নাম Mr. Chilly । ছোটখাটো কোন অনুষ্ঠান থাকলে আমরা এখানেই চলে আসি সেলিব্রেট করতে। এখানকার খাবার-দাবারও বেশ ভালো। যাইহোক, সকলে রেডি হয়ে নিয়েছিল। আমিও রেডি হয়ে গিয়েছিলাম। তবে শুভায়ণ মানে আমার হবু বর তখনো এসে পৌঁছয়নি। তাই আমি বাড়িতে থেকে গিয়েছিলাম। আর বাকিরা চলে গিয়েছিল রেস্টুরেন্টে।
তারপর হয় বিপত্তি।হঠাৎ করে ঝমঝম করে বৃষ্টি নামে। ওইদিকে আমার বর কেক কিনতে গিয়ে ওখানে আটকে যায়। ও Mio amore থেকে একটা চকলেট কেক কিনে নিয়েছিল। তবে কেক কেনার পর ওকে ওখানেই ১৫-২০ মিনিট দাঁড়িয়ে থাকতে হয়েছিল। অন্যদিকে দাদারা রেস্টুরেন্টে গিয়ে আমাদের জন্য অপেক্ষা করছিল। অবশেষে বৃষ্টি থামলে শুভায়ণ তাড়াতাড়ি আমাদের বাড়ি চলে আসে। তারপর আমাকে নিয়ে রেস্টুরেন্টে পৌঁছায়। তবে অনেকক্ষণ অপেক্ষা করতে হয়েছিল। তাই ওরা খাবার অর্ডার করে দিয়েছিল। অতএব সেখানে পৌঁছে আমরাও আমাদের খাবার অর্ডার করে দিই। পুরো বিল টাই দাদা দিয়েছিল। তারপর আমরা খেতে বসে পড়ি।
সবাই সবার পছন্দের খাবার অর্ডার করেছিল। খাবার খাওয়া হয়ে গেলে তারপর ওদেরকে ওই কেকটা কাটতে দেওয়া হয়। কেক দেখে তো বাচ্চাদের আনন্দের সীমা ছিল না। কিগ্ট্পাগরলে ওরা কেক কাটিং এর আগেই কেক খেয়ে ফেলে। কোনক্রমে ওদের কিছুক্ষণের জন্য ভুলিয়ে রাখা হয়। তারপর দাদা বৌদি কেক কাটে। কে কাটার পর সবার প্রথমে ওদেরকেই কেক দেওয়া হয়েছিল। কেক পেয়ে ওরা তো বেজাই খুশি।
এরপর এক এক করে সকলকে কেক দেওয়া হয়। কেক খেয়ে বেশ কিছু ফটো তুলে আমরা বাড়ি ফিরে এসেছিলাম। এইভাবেই সন্ধ্যা থেকে রাত পর্যন্ত আমাদের কেটেছিল।
আজ তাহলে এখানেই শেষ করছি। আগামীকাল আবার অন্য কোনো লেখা নিয়ে আপনাদের সামনে হাজির হব। সকলে ভালো থাকবেন, সুস্থ থাকবেন।
Your post has been supported by the TEAM FORESIGHT. We support quality posts, good comments anywhere, and any tags
Thank you so much.
Hello @pinki.chak, thank you for your contribution to our account.
Thank you so much.