অন্যের সফলতায় হিংসা নয়, বরং অনুপ্রেরণা নিয়ে নিজেও চেষ্টা করুন
নমস্কার বন্ধুরা। আপনারা সকলে কেমন আছেন? আজকে চলে এসেছি আপনাদের সাথে আরো একটি নতুন বিষয় শেয়ার করার জন্য। আশা করছি আপনাদের সকলের ভালো লাগবে।
মানুষ হল সর্বোৎকৃষ্ট সামাজিক জীব। তাই আমরা কেউই একা একা বসবাস করতে পারিনা। সমাজে সকলের সাথে মিলেমিশে আমাদের বসবাস করতে হয়। কারোর জীবনে সুখ এলে, সম্পদ এলে কিংবা আনন্দ এলে সেটা কিন্তু পরোক্ষভাবে সমাজেরই সম্পদ। কিন্তু অনেক সময় আমরা অন্যের এই আনন্দ কিংবা সফলতা মন থেকে মেনে নিতে পারি না। আমরা ঈর্ষান্বিত তো বোধ করি। কিন্তু আসল শিক্ষা হল অন্যের খুশিতে খুশি হওয়া।
অন্যের খুশিতে খুশি হওয়ার অর্থ হলো নিজের মনকে প্রশস্ত করা এবং উদার করে তোলা। যখন আমরা দেখি যে কেউ একজন অনেক পরিশ্রম করে এবং অনেক অপেক্ষার পর সফলতা পেয়েছে কিংবা জীবনে সুখ স্বাচ্ছন্দ পেয়েছে তখন আমাদের তার খুশিতে শামিল হয়ে খুশির পরিমাণ আরও দ্বিগুণ বাড়িয়ে তোলা উচিত, তাহলে আমাদের মনে প্রশান্তি জাগে, মন হালকা হয়। এবং সেখান থেকে অনুপ্রেরণা নিয়ে আমাদেরও উচিত নিজেদের জীবনে সেই বিষয়গুলিকে প্রয়োগ করে সফলতার পথে হাঁটা। ক্লাসে কে একজন খুব ভালো নাম্বার পেয়েছে এটা দেখে তার প্রতি হিংসা না করে বরং তার কাছ থেকে অনুপ্রেরণা নিয়ে সে যে বিষয়গুলো অনুসরণ করে এই সফলতা পেয়েছে নিজেরও উচিত সেই বিষয়গুলোকে অনুসরণ করা।
অন্যের ভালোই খুশি হতে শেখা মনের প্রশান্তিকে আরও অনেক গুণ বাড়িয়ে দেয়। যখন আমরা অন্যের ভালো দেখে মনে মনে হিংসা করে তখন কিন্তু আমাদের মনের প্রশান্তি আমাদের থেকে অনেক দূরে সরে যায়। সবসময়ই আমরা অশান্তির মধ্যে জীবন যাপন করি। আর এই ঈর্ষা বা হিংসা কখনই মানুষকে সুখ স্বাচ্ছন্দ এনে দিতে পারেনা। একজনের সফলতা সমাজের প্রত্যেকের কাছে অনুপ্রেরণা হওয়া উচিত। কিন্তু আমরা তা না করে অন্যের সফলতা দেখে হিংসা করি।
অন্যের সফলতা দেখে হিংসা করার আগে তা জানা উচিত যে যে মানুষটি সফলতা পেয়েছে তার সেই সফলতার পেছনে কতটা পরিশ্রম, অধ্যাবসায় ও সময় সে প্রয়োগ করেছে। আমরা সব সময়ই ভাবি, "সামনের মানুষটি এত কিছু পেয়ে গেল, আমি কেন পেলাম না।" তবে সামনের মানুষের কে হিংসা না করে তার কাছ থেকে ভালো পরামর্শ নিয়ে, নিজের মধ্যে অনুপ্রেরণা জাগিয়ে সফলতা পাওয়ার জন্য কাজ করে যেতে হবে। হিংসা করে কখনোই কেউ সফলতার শীর্ষে পৌঁছতে পারে না। তা শুধু মনকে দগ্ধ করে।
ছবির লিংক
প্রাচীনকাল থেকে আমাদের ধর্ম এবং আধ্যাত্মিক শিক্ষাতেও আমরা পেয়ে এসেছি -- হিংসা মানুষকে পতনের দিকে এগিয়ে নিয়ে যায়। তাই আমাদের সকলের খুশিতে খুশি হওয়া অভ্যাস করা এবং তার সফলতার পথ ধরে নিজেও এগিয়ে যাওয়ার চেষ্টা করা। যদিও প্রত্যেকের জীবনের গল্প এক হয় না। তাই অন্যের জীবনকে পুরোপুরি অনুসরণ না করে তার মধ্যে নিজস্বতা রেখে এগিয়ে গেলে অবশ্যই সফলতার কাছাকাছি পৌঁছানো যায়।
ছবির লিংক
তাই হিংসা বোধ ভুলে, একজন ভালো মানুষ হয়ে ওঠার অঙ্গীকার করায় আমাদের জীবনের লক্ষ্য হওয়া উচিত। যদিও সেটা মানুষ সেটা করে না। তবুও যতটা পারা যায় আমাদের এই অভ্যাস করা বাঞ্ছনীয়। তাহলেই আমরা একটা সুস্থ সমাজ গড়ে তুলতে পারি।
আজ তাহলে এখানেই শেষ করছি। আগামীকাল আবার অন্য কোনো লেখা নিয়ে আপনাদের সামনে হাজির হব। সকলে ভালো থাকবেন, সুস্থ থাকবেন।
খুবই মূল্যবান কথা বলেছেন। হিংসা মনকে সংকীর্ণ করে ফেলে। তাই আমরা অন্য কারও সফলতা সহ্য করতে পারিনা। অথচ আমাদের উচিৎ তার সফলতা কিভাবে আসলো এনিয়ে তার সাথে আলোচনা করা। যাতে আমিও সফল হতে পারি।
আমি এটা বুঝিনা, কেউ যদি সফল হয়, তাতে আমার সমস্যা কেন হবে? বরং আমার উপকার হবে, তার থেকে আমি সাহায্য পেতে পারি।
একদম, যথার্থ বলেছেন। ধন্যবাদ আপনাকে আমার পোস্টটি পড়ে এত সুন্দর একটি মন্তব্য করার জন্য। ভালো থাকবেন।