লাউ এর খোসা ভর্তা
নমস্কার বন্ধুরা। আপনারা সকলে কেমন আছেন? আজকে চলে এসেছি আপনাদের সাথে একটি ইউনিক রেসিপি শেয়ার করতে। আশা করছি আপনাদের সকলের ভালো লাগবে।
ভর্তা খেতে কে না ভালোবাসে বলুন। আমরা আমাদের বাড়িতে আলু ভর্তা, বেগুন ভর্তা, ডাল ভর্তা কত কিছুই না রান্না করি। আর এই ভর্তাগুলো গরম ভাতের সাথে কি অনবদ্য লাগে তাই না! আপনারা কি কখনো আপনাদের বাড়িতে লাউ এর খোসা ভর্তা ট্রাই করেছেন? যদি এখনো না করে থাকেন তাহলে আজকের আমার এই রেসিপিটা দেখে একবার অন্তত আপনাদের বাড়িতে এটা অবশ্যই ট্রাই করবেন। সকলের অবশ্যই খুব ভালো লাগবে।
লাউ তো আমরা কমবেশি সকলেই খেতে ভালবাসি। লাউ চিংড়ি, লাউ বড়ির তরকারি অনেকেরই খুব পছন্দের একটি রেসিপি। আমাদের বাড়িতে প্রায়ই এই লাউয়ের বিভিন্ন রকমের রেসিপি রান্না করা হয়। আমি নিজেও লাউ চিংড়ি খেতে খুব ভালোবাসি। লাউয়ের মধ্যে অনেক পুষ্টিগুণ রয়েছে। তবে লাউ কাটার পর অনেকেই খোসাগুলো ফেলে দেয়। কিন্তু আজকের আমার এই রেসিপিটি দেখার পর আপনারা লাউ এর খোসা ফেলে না দিয়ে এটা একবার ট্রাই করবেন। আজকে আমি চলে এসেছি আপনাদের সাথে লাউ এর খোসা ভর্তা রেসিপি নিয়ে।
চলুন তাহলে জেনে নিই আমি কিভাবে লাউ এর এই খোসা ভর্তা বানিয়েছিলাম----
নং | সামগ্রী | পরিমাণ |
---|---|---|
১ | লাউ এর খোসা | বড়ো বাটির এক বাটি |
২ | শুকনো লঙ্কা | ২ টো |
৩ | হলুদ | পরিমাণ মতো |
৪ | কাঁচালঙ্কা | পরিমাণ মতো |
৫ | নুন | পরিমাণ মতো |
৬ | কালোজিরা | পরিমাণ মতো |
৭ | রসুন | পরিমাণ মতো |
৮ | পেঁয়াজ | ১ টা বড়ো সাইজের |
৯ | ধনেপাতা | পরিমাণ মতো |
১০ | । সর্ষের তেল | ১০০ গ্রাম |
১১ | জল | পরিমাণ মতো |
ধাপ ১ :
প্রথমে কড়াইয়ে পরিমাণ মতো জল নিয়ে গরম করে নেব। তারপর তার মধ্যে লাউয়ের খোসা গুলো দিয়ে দেব। এরপর তার মধ্যে সামান্য লবণ দিয়ে দেব। তারফলে খোসাগুলোর মধ্যে সামান্য লবণ প্রবেশ করতে পারবে। এবার খোসাগুলোকে ভালোভাবে সিদ্ধ করে নেব।
ধাপ ২ :
খোসাগুলো সিদ্ধ হওয়ার জন্য কিছুক্ষণ ঢাকা দিয়ে রেখে দেবো। অন্যদিকে সেই সময়ে পরিমাণ মতো পেঁয়াজ, রসুন ও কাঁচা লঙ্কা কেটে নেব।
ধাপ ৩ :
১০ মিনিট মত লাউয়ের খোসা গুলোকে ভাপিয়ে নিয়ে নামিয়ে নেব এবং ঠান্ডা জল দিয়ে ধুয়ে তুলে রাখবো।
ধাপ ৪ :
এরপর ওভেনে কড়াই চাপিয়ে কড়াই গরম হয়ে এলে তাতে দিয়ে দেব পরিমাণ মতো সরষের তেল । সরষের তেল গরম হয়ে গেলে তার মধ্যে দিতে হবে পরিমাণ মতো কালো জিরে ও একটা শুকনো লঙ্কা।
ধাপ ৫ :
এরপর তার মধ্যে দিয়ে দেবো কুচি কুচি করে কেটে রাখা পেঁয়াজ ও সামান্য লবণ। এরপর পেঁয়াজগুলোকে একটু ভেজে নেবে।
ধাপ ৬ :
পেঁয়াজগুলো একটু ভাজা হয়ে গেলে তার মধ্যে দিয়ে দেবো পরিমাণ মতো রসুন কুচি ও কাঁচা লঙ্কা।
ধাপ ৭ :
এরপর সমস্ত কিছু ভালোভাবে ভেজে নেব এবং নামানোর কিছুক্ষণ আগে তার মধ্যে পরিমাণ মতো হলুদ দিয়ে দেব।
ধাপ ৮ :
তারপর মিক্সারের বাটির মধ্যে সিদ্ধ করে রাখা লাউয়ের খোসা ও ভেজে রাখা রসুন -পেঁয়াজ দিয়ে দেব। এরপর একটা ফাইন পেস্ট তৈরি করে নেব।
ধাপ ৯ :
এরপর আবার এই কড়াইয়ে পরিমাণ মতো সরষের তেল দিয়ে দেব। তার মধ্যে একটা শুকনো লঙ্কা ফোড়ন দেব।
ধাপ ১০ :
এরপর ওই পেস্ট টা তেলের মধ্যে দিয়ে দেব। তারপর খুব ভালোভাবে ১০ থেকে ১২ মিনিট ওটাকে ভেজে নিতে হবে যাতে তার মধ্যে কোন অতিরিক্ত জল না থাকে।
ধাপ ১১ :
পেস্ট টা পুরোপুরি ভাজা হয়ে গেলে তার মধ্যে দিয়ে দেবো পরিমাণ মতো ধনেপাতা কুচি। তারপর এক মিনিট একটু নাড়াচাড়া করে দেবো। তাহলেই রেডি হয়ে যাবে আমাদের লাউ এর খোসা ভর্তা।
ফাইনাল লুক-----
আপনারা নির্দ্বিধায় অবশ্যই আপনাদের বাড়িতে এই রেসিপিটা ট্রাই করতে পারেন। গরম ভাতের সাথে এই ভর্তা খেতে অসাধারণ লাগে। তাহলে পরবর্তী সময়ে আপনাদের বাড়িতে লাউ কিনে আনা হলে এই রেসিপিটা ট্রাই করবেন তো?
আজ তাহলে এখানেই শেষ করছি। সকলে জানাবেন আমার আজকের এই রেসিপি টা আপনাদের কেমন লাগলো। আগামীকাল আবার অন্য কোন লেখা নিয়ে আপনাদের সামনে হাজির হব। সকলে ভালো থাকবেন, সুস্থ থাকবেন।
আমার মতো সকল বাঙালি ভর্তা খেতে ভালোবাসেন । গরম ভাতের সাথে যেকোনো ভর্তা হলে আমি নিমিষেই এক থালা ভাত সাবার করে দিতে পারি।
লাউ আমার প্রিয় সবজি। লাউয়ের খোসা ভাজি খেয়েছি অনেক তবে লাউয়ের খোসা ভর্তা কখনও খাইনি। আপনার পোষ্টটি পড়ে নতুন একটি রেসিপি পেলাম। রেসিপির প্রতিটি উপকরণ তুলে ধরেছেন। রন্ধন প্রণালী ছবি এবং লেখার মাধ্যমে ধাপে ধাপে শেয়ার করেছেন।
এরকম মজাদার রেসিপির অপেক্ষায় রইলাম।
0.00 SBD,
0.01 STEEM,
0.01 SP
আপনাকে অসংখ্য ধন্যবাদ আমার পোস্টটি পড়ে এত সুন্দর একটি মন্তব্য করার জন্য। ভালো থাকবেন।
আজকে তুমি লাউয়ের খোসা ভর্তা রেসিপি আমাদের মাঝে শেয়ার করেছ।। আমি এর আগে বাড়িতে লাউয়ের খোসা ভাজা খেয়েছি কিন্তু কোনদিন সেভাবে ভর্তা করে খাওয়া হয়নি। আসলে আমাদের কোন জিনিসই ফেলে দেওয়া যায় না সবকিছু সুন্দর করে রান্না করলে খাওয়া যায়। আমরা হয়তো সময়ের অভাবে সেগুলো করে উঠতে পারি না। প্রত্যেকটি ধাপে ধাপে ছবিসহ উপকরণের মাধ্যমে রেসিপি শেয়ার করেছ সুন্দর রেসিপিটি শেয়ার করার জন্য তোমাকে অসংখ্য ধন্যবাদ।
0.00 SBD,
0.01 STEEM,
0.01 SP
ঠিকই বলেছ, অনেক সময় আমরাও সময়ের অভাবে অনেক কিছুই ফেলে দিই। তবে একটু সময় নিয়ে এই রেসিপিগুলো রান্না করতে পারলে গরম গরম ভাতে দারুন লাগে।
বাঙালি মানেই হচ্ছে মাছে ভাতে বাঙালি আর ভর্তা খেতে পছন্দ করেন না এমন বাঙ্গালী পাওয়াটা আসলে খুব কষ্টকর বিশেষ করে আমি নিজেও ভর্তা পাগল একজন মানুষ ঘরটা আমি অনেক বেশি পছন্দ করি আজকে আপনি চমৎকারভাবে লাউ দিয়ে কিভাবে ভর্তা তৈরি করেছেন সেই বিষয়টা আমাদের সাথে শেয়ার করেছেন আমিও মাঝে মাঝে ভর্তা তৈরি করে থাকি অসংখ্য ধন্যবাদ ভর্তা তৈরি করার পদ্ধতি আমাদের সাথে তুলে ধরার জন্য ভালো থাকবেন।