স্বাধীনতা দিবসের শেষ পর্ব
নমস্কার বন্ধুরা। আপনারা সকলে কেমন আছে ? আজকে চলে এসেছি গতকাল যে পোস্টটি করেছিলাম তার পরবর্তী পর্ব নিয়ে। আশা করছি আপনাদের সকলের ভালো লাগবে।
স্বাধীনতা দিবস যে কোন দেশের একটি গর্বের দিন। এই জাতীয় উৎসবে সমগ্র ভারতবাসী মেতে ওঠে। গতকাল যেমনটা বলেছিলাম যে সমস্ত সরকারি এবং বেসরকারি প্রতিষ্ঠানেই এই দিনটি পালন করা হয়। সেই সাথে আমি আপনাদের আমাদের উচ্চ মাধ্যমিক বিদ্যালয়ের স্বাধীনতা দিবস পালনের কিছু মুহূর্ত শেয়ার করেছিলাম।
তবে আমাদের বিদ্যালয়ের স্বাধীনতা দিবসের সবচেয়ে মজাদার যে বিষয়টি রয়েছে যা আপনাদের সাথে এখনো শেয়ার করা হয়নি। আমি আজ এই পোস্টের মাধ্যমে সেই বিষয়টি শেয়ার করব। আর সেই বিষয়টি হল প্যারেড। প্যারেড দেখতে আমার বেশ ভালো লাগে। যদিও আমি নিজে একেবারেই করতে পারি না। তবে আমাদের বিদ্যালয়ে প্রতিবছর এই জাতীয় উৎসবের দিনে খুব সুন্দরভাবে প্যারেড করা হয়।
যেহেতু এটি সকলের কাছেই খুব আকর্ষণীয় একটি বিষয় তাই বেশ কিছুদিন আগে থেকেই শিক্ষার্থীদের প্যারেড প্র্যাকটিস করানো হয়। এই স্কুলের পাঁচটি দল রয়েছে। ব্লু হাউজ, গ্রিন হাউজ, রেড হাউজ, ইয়েলো হাউস ও হোয়াইট হাউস। ক্লাস ইলেভেন টুয়েলভ কে হোয়াইট হাউজের মধ্যে ফেলা হয়। আর ক্লাস থ্রি থেকে টেন পর্যন্ত স্টুডেন্টদের বাকি চারটি দলে ভাগ করে দেওয়া হয়।
এই চারটি দলের মধ্যে সারা বছর ধরেই চলে একটি সুষ্ঠ প্রতিযোগিতা। প্রতিযোগিতা মানেই যে সবসময়ই তার মধ্যে একটা হিংসাত্মক মনোভাব থাকতে হবে এমনটা তো নয়। তাই প্যারেডের দিন হোক কিংবা স্পোর্টস ডে হোক, প্রত্যেক দলই চাই নিজেদের উত্তম পারফরমেন্স দিতে। যাইহোক, এই প্যারেডের সাথে সাথে চলে ড্রাম বিটিং, মানে স্টুডেন্টরা তালে তালে ড্রাম বাজায়, আর সেই তালে তালে বাকি স্টুডেন্টরা প্যারেড করে। সত্যিই সামনে থেকে দেখতে ভীষণ ভালো লাগে।
সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠানের কথা তো আগের দিন বলেছিলাম। এই দিন বিভিন্ন দেশাত্মবোধক গান গাওয়া হয়। এই সমস্ত কিছুর রিহার্সেল কিছুদিন আগে থেকেই চলে। বিদ্যালয়ের গানের শিক্ষিকা তাদেরকে সাহায্য করে। যারা গান শেখে তারাও অন্যদের সহযোগিতা করে গানের সুর তুলতে সাহায্য করে। এইভাবেই বেশ কিছুদিন রিয়ার্সেলের পর ফাইনাল পারফরমেন্স খুব ভালো হয়।
নাচ, গান, আবৃত্তি, প্যারেড, পতাকা উত্তোলন, সেই সাথে জ্ঞানীগুণী ব্যক্তিদের বক্তৃতা এই দিনটিকে আরো স্মরণীয় করে তোলে। এভাবেই দেখতে দেখতে প্রোগ্রাম শেষ হয়। শিক্ষার্থীদের মিষ্টিমুখ করানো হয়। তারপর বিদ্যালয় ছুটি হয়ে যায়।
আজ তাহলে এখানেই শেষ করছি। আগামীকাল আবার অন্য কোনো লেখা নিয়ে আপনাদের সামনে হাজির হব। সকলে ভালো থাকবেন, সুস্থ থাকবেন।