ভারতের স্বাধীনতা দিবস উপলক্ষ্যে কিছু ফটোশ্যুট
নমস্কার বন্ধুরা। আপনারা সকলে কেমন আছেন? আজকে চলে এসেছি আপনাদের সাথে নতুন কিছু গল্প শেয়ার করার জন্য। আশা করছি আপনাদের সকলের ভালো লাগবে।
আমরা ভারতবাসীরা সকলেই জানি আমাদের দেশ ভারতবর্ষ ১৯৪৭ সালের ১৫ ই আগস্ট স্বাধীনতা লাভ করেছিল। তাই প্রতিবছর এই দিনটিকে আমরা স্বাধীনতা দিবস হিসেবে পালন করে থাকি।
সোশ্যাল মিডিয়ার যুগে এখন সবাই খুব অ্যাক্টিভ থাকে সমস্ত বিশেষ দিনগুলো উদযাপন করার জন্য। আমার ভাইপো যখন ছোট ছিল তখন এই স্বাধীনতা দিবসের দিন বেশ কিছু ফটো তোলা হয়েছিল। আজকে আপনাদের সাথে সেই ফটোগুলোই শেয়ার করব। আশা করছি আপনাদের ভালো লাগবে।
তখন ওর বয়স এক বছরের আশেপাশেই হবে । আমরা বিভিন্ন উৎসব উপলক্ষ্যে ওকে সাজিয়ে ফটো তুলতাম। ফটো বিষয়টা আমার নিজেরও খুব পছন্দের। কারণ বাচ্চারা খুব তাড়াতাড়ি বড়ো হয়ে যাই, তবে ফটো তোলা থাকলে সেই স্মৃতিগুলো আমাদের মনে চির দিনের জন্য থেকে যায়। তাই জন্মাষ্টমীর আগে আমরা ওকে স্বাধীনতা দিবসের দিন পতাকার সাথে কিছু ফটোশুট করবো বলে ঠিক করে রেখেছিলাম।
বাচ্চাদের এক জায়গায় বসিয়ে ফটো তোলা যে কতটা কষ্টের কাজ তা আমি আমার আগের পোস্টেও বলেছিলাম। এই দিন সাজানো গোছানোর তো বিশেষ কিছু ছিল না শুধু একটা জামা প্যান্ট পরিয়ে বসিয়ে দিয়েছিলাম। আর হাতে দুটো পতাকা দেওয়া হয়েছিল। সেই পতাকা দুটো পেয়ে সে তো বেজায় খুশি। কারোর সাধ্যি নেই তার হাত থেকে পতাকা দুটো নিয়ে নেয়। ও নিজের মত পতাকা-দুটো নিয়ে খেলছিল আর দাদা ফটো তুলছিল।
হাসি হাসি মুখ করে কতনা গান গাইছিল। আমরাও সে সব ভিডিও করছিলাম। আমার ভাইপো এমনিতেই খুব হাসিখুশি থাকত। খুব কম কান্না করত। তবে এক জায়গায় বসিয়ে রাখা খুব কষ্টকর। আর বাচ্চা মানেই তো চঞ্চলতা থাকবে। বাচ্চারা দুষ্টুমি করবে না তো কারা করবে। সত্যি কথা বলতে গেলে খুব শান্তশিষ্ট বাচ্চা থাকলে বোঝাই যায় না বাড়িতে কোনো বাচ্চা আছে। দাদা ফটো তুলছিল আর আমরা ক্যামেরার এপার থেকে মুখে নানা রকম আওয়াজ করছিলাম, খেলনা দেখাচ্ছিলাম যাতে ও মুখটা উপরের দিকে তোলে। সেই সাথে হাসানোর জন্য বিভিন্ন কিছু করতে হচ্ছিল।
ফটোশুট শেষ করার পরেও ওর হাত থেকে পতাকা দুটো নিয়ে নেওয়া যায়নি। বাচ্চারা এমনিতেই আকর্ষণীয় কিছু দেখে সেটা ছাড়তে চায় না। তাই রঙিন পতাকা দেখে সে এতটাই মজা পেয়েছে সে ওটাকেই খেলনা ভেবে নিয়েছে। আর পতাকা দুটো যেহেতু হাওয়ায় নড়ছিল তাই আরো বেশি মজা পাচ্ছিল। তাই ফটো তোলার পর কিছুক্ষণ পতাকা দুটো ওর কাছেই ছিল। তারপর অনেক কিছু বলে মনটাকে অন্যদিকে সরিয়ে তারপর পতাকা দুটো কে ওর কাছ থেকে নেওয়া গিয়েছিল।
এইভাবেই আমরা সেদিন অন্তিমের মানে আমার ভাইপোর কিছু ফটো তুলতে পেরেছিলাম। আজ তাহলে এখানেই শেষ করছি। আগামীকাল আবার অন্য কোনো লেখা নিয়ে আপনাদের সামনে হাজির হব। সকলে ভালো থাকবেন, সুস্থ থাকবেন।