আমার পড়ানো বাড়ির কিছু কিউট পোষ্য
নমস্কার বন্ধুরা। শুভ রাত্রি। আশা করছি সকলেই খুব ভালো আছেন। আজকে আবারও চলে এসেছি আপনাদের সাথে নতুন কিছু গল্প শেয়ার করে নেওয়ার জন্য। আমি যে বাড়িতে পড়াতে যাই সেখানকার কিছু পোষ্য প্রাণীদের সাথে আজকে আপনাদের পরিচয় করাবো। আশা করছি আপনাদের সকলের ভালো লাগবে।
প্রথমেই যে চার পা বিশিষ্ট প্রাণীটির সাথে আপনাদের পরিচয় করাবো তার নাম হলো এঞ্জেল। ওর বয়স ঠিক কত তা আমি বলতে পারব না তবে খুব বেশি হবে না। ও এত কিউট যে ওকে দেখেই চটকাতে মন চাইবে। ওগুলো একটা কুক্কুরী। ওটা ঠিক কি জাতের কুকুর তা আমি জানিনা তবে এদের ওজন অনেক বেশি হয়। সত্যি কথা বলতে গেলে আমি কিন্তু কুকুরে ভীষণ ভয় পাই। কয়েক দিন ক্রমাগত কুকুরের তাড়া খাওয়ার পর কুকুরের প্রতি ভীষণ ভয় জন্মেছে। তবে এঞ্জেলকে দেখে আমার একটুও ভয় করে না। যখনই পড়াতে যাই কি সুন্দর লেজ নাড়াতে নাড়াতে আমার কাছে এসে বসে। আমি মাঝে মাঝে পিঠে হাত বুলিয়ে দিই। আদর খেয়ে ও চলে যাই। এই বাড়ির প্রত্যেকটা সদস্য ওকে খুব আদর ও যত্ন করে। নিজেরা যাই থাক না কেন ওর জন্য প্রত্যেক দিন মাছ-মাংসের আয়োজন থাকে। তাছাড়া ডাক্তার দেখানো থেকে শুরু করে প্রত্যেকটা জিনিস ওকে জোগান দেয়। আর ও কিন্তু খুব বেশি হিংস্র নয়। তাই আমার ওকে খুব ভালো লাগে।
এরপর চলুন আপনাদের সাথে পরিচয় করিয়ে দিই আরও এক চার পা বিশিষ্ট পোষ্য প্রাণীর। অনেকেই খুব শখ করে বাড়িতে এনাদের পুষে থাকেন। প্রাণীটি হল বিড়াল 🐱। বিড়াল অনেকেরই খুব পছন্দের। ঠিক তেমনি আমার এই পড়ানোর বাড়ির বাচ্চাটিও বিড়াল খুব পছন্দ করে। মায়ের কাছে ক্রমাগত অনেক বায়না করার পর তার মা কোন এক অফিস এর সহকর্মীর কাছ থেকে একটি ছোট্ট বিড়ালছানা তার জন্য এনে দিয়েছিল। এই বিড়ালছানা পেয়ে বাচ্চাটি তো আনন্দে আত্মহারা। এখন সকালে ঘুম থেকে ওঠা থেকে শুরু করে রাতের ঘুমোতে যাওয়া পর্যন্ত তার খেলার সাথী হলেও এই ছোট্ট পোষ্য প্রাণীটি। সকলে তাকে আদর করে নাম দিয়েছে কিট্টু। একবার নাম ধরে ডাকলেই হল, যেখানেই থাকুক না কেন ঠিক দৌড়ে চলে আসবে। তবে মুশকিল হলো যখন আমি পড়াতে যাই তখন ও আমাকে খুব ডিস্টার্ব করে। খাটের উপর উঠে আমি যেই পেন দিয়ে লিখি, সেই পেন নিয়ে টানাটানি করে, ওড়না বা স্কার্ফ নিয়ে গেলে সেটা নিয়ে খেলা করে, খাতার উপর উঠে যাই..... ইত্যাদি ইত্যাদি। তবুও ও কিন্তু খুব বেশি আদর প্রিয়। আদর খাওয়ার জন্য নিজেই এসে আমার কোলে বসে যাই। তারপর আদর করলে সে কিন্তু উঠে চলে যায় না বরং চোখ বন্ধ করে ঘুমিয়ে থাকে।
এরপরে যাদের সাথে আপনার দের পরিচয় করাবো ওরা কিন্তু চার পা বিশিষ্ট নয়, বরং ওরা দুই পা বিশিষ্ট। একটু একটু অনুমান করতে পারছেন? ওরা হলো বদ্যি পাখি 🐦। এই পাখিগুলো একেবারেই পরিবেশের সাথে মানিয়ে নিতে পারে না, মানে খাবার সংগ্রহ করা, বাসা তৈরি করা ইত্যাদি কাজে, এটা ভীষণই অপটু। তাই এদেরকে বাড়িতেই পোষা হয়। আমার এই পড়ানোর বাড়িতে জায়গা খুব কম থাকায় ওরা ঘরের মধ্যেই এই পাখিগুলোকে একটি খাঁচার মধ্যে রেখে খুব যত্ন সহকারে পোষে। আমি যে ঘরটিতে পড়াই ওরা সেই ঘরেই থাকে। শহরের মধ্যে থেকেও সকালবেলায় ওদের কিচি মিচির শব্দ শুনতে বাড়ির প্রত্যেকে খুব পছন্দ করে। আমারও বেশ ভালো লাগে। আমি যখন পড়ানোর সময় জোরে জোরে কথা বলি ওরাও ওদের কিচিরমিচির শব্দের বেগ বাড়িয়ে দেয়। আমার এই বাড়ির স্টুডেন্টটি আবার ওদেরকে খুব ভালোভাবে পর্যবেক্ষণ করে। ওদেরকে ভালোভাবে পর্যবেক্ষণ করে প্রত্যেকের বৈশিষ্ট্য অনুযায়ী সে আবার প্রত্যেকের নাম দিয়েছে।, যেমন --- যে খুব চ্যাচায় , তার নাম চ্যাচরানী, যে খুব শান্ত তার নাম শান্তনা, যে খুব পেটুক তার নাম পেটুকরানী ইত্যাদি। বলা বাহুল্য বাচ্চাটি কিন্তু অনেকটাই ছোটো। তাই সময় পেলেই ও এ পাখিদের সাথে গল্প করে কাটাই।
এইরকম ভাবেই প্রত্যেকটি পড়ানোর বাড়িতেই কুকুর, বিড়াল কিনবা কোন না কোন পাখি পোষ্য হিসেবে রয়েছে। আজ তাহলে এখানেই শেষ করছি। আগামীকাল আবার অন্য কোনো লেখা নিয়ে আপনাদের সামনে হাজির হব, সকলে ভালো থাকবেন, সুস্থ থাকবেন।
আমাদের মধ্যে কিছু কিছু মানুষ আছে যারা কিনা পোষা প্রাণী পালন করতে অনেক বেশি পছন্দ করে আমি নিজেও অনেক বেশি পছন্দ করি তবে আমার শ্বশুর বাড়ির লোকেরা এটা পছন্দ করে না যার কারণে সঠিকভাবে তাদের পালন করা হয় না তবে রাস্তার মধ্যে যখন তাদেরকে দেখি তখন নিজের সাধ্য অনুযায়ী তাদেরকে খাওয়ানোর চেষ্টা করি।
আজকে আপনি আমাদের সাথে আপনার বাড়ির পোষা প্রাণীর বেশ কিছু ফটোগ্রাফি এবং তাদের বিষয়ে আপনার মনের অনুভূতি আমাদের সাথে শেয়ার করেছেন আমি মনে করি একটা মানুষের ভালোবাসা চাইতে পোষা প্রাণীর ভালোবাসাটা অনেক বেশি উত্তম হয়ে থাকে অসংখ্য ধন্যবাদ চমৎকার ফটোগ্রাফি আমাদের সাথে তুলে ধরার জন্য ভালো থাকবেন।