আমার বানানো কিছু খাবারের ছবি
নমস্কার বন্ধুরা। আপনারা সকলে কেমন আছেন? আশা করছি সকলেই খুব ভালো আছেন। আজকে চলে এসেছি আপনাদের সাথে আমার রান্না করা কিছু খাবারের ছবি শেয়ার করার জন্য। এই খাবারগুলোর সমস্ত রেসিপি আমি ইতিমধ্যে আপনাদের সাথে শেয়ার করেছি।
প্রথম ছবি:
*প্রথমেই যেই ছবিটি শেয়ার করব সেটি ভালোবাসো না এমন মানুষ খুব কমই আছে। বর্ষার দিনে এই খাবার টি সবাই খেতে খুব পছন্দ করে। যদিও এই রেসিপিটি আমি এখনো আপনাদের সাথে শেয়ার করিনি। খিচুড়ির সাথে পাঁপড় ভাজা কিংবা পটল ভাজা আর ঘি হলে তো খাবার টা আরও টেস্টি হয়ে যায়। আমি ব্যক্তিগতভাবে খিচুড়ি খেতে খুব পছন্দ করি। তবে বাড়িতে তৈরি খিচুড়ি থেকেও পূজোর খিচুড়ি আরও বেশি ভালো লাগে। কয়েকদিন আগেই মুখ ডাল দিয়ে এই খিচুড়িটা বানিয়েছিলাম। মুগ ডাল দিয়ে তৈরি খিচুড়ি আমার একটু বেশি ভালো লাগে। তাছাড়াও মুসুরির ডাল দিয়েও আমাদের বাড়িতে খিচুড়ি রান্না করা হয়। তবে খুব শীঘ্রই এর রেসিপি আপনাদের সাথে শেয়ার করব।
মুগ ডালের খিচুড়ি |
---|
দ্বিতীয় ছবি:
দ্বিতীয় ছবিটি হল চিংড়ি মাছের মালাইকারি। চিংড়ি মাছও বাঙালিরা খুব পছন্দ করে। আমি মোটামুটি সব ধরনের মাছই খেতে পছন্দ করি। আর চিংড়ি মাছ আমার একটু বেশিই পছন্দ। এই চিংড়ি মাছের মালাইকারি টা মায়ের কাছ থেকে শেখা। নারকেল এর দুধ দিয়ে বানানো চিংড়ি মাছের মালাইকারি টা খেতে অসাধারণ হয়েছিল। আমার শ্বশুরবাড়ি থেকে কিছু আত্মীয়-স্বজন এসেছিল সেই উপলক্ষ্যে এই রেসিপিটি বানানো হয়েছিল। সকলেরই এই চিংড়ি মাছের মালাইকারি খেতে খুব ভালো লেগেছিল।
চিংড়ি মাছের মালাইকারি |
---|
তৃতীয় ছবি:
তৃতীয় ছবিটি হল চিলি সয়াবিন। বহুদিন ধরে চিলি চিকেন খেয়ে আসছি। তাই একদিন হঠাৎ করে একটি ভিডিও দেখার পর চিলি সয়াবিন বানানোর জন্য সমস্ত উপকরণ নিয়ে বসে পড়লাম। সেই দিনের আগে কখনো চিলি সয়াবিন রান্নাও করিনি বা কোথাও খাইওনি। তাই রান্না করতে করতে ভাবছিলাম যদি খারাপ খেতে হয় তাহলে এত পরিশ্রম নষ্ট হবে সাথে জিনিসগুলো নষ্ট হবে। তবে বিশ্বাস করুন রান্না শেষ হওয়ার পর যখন টেস্ট করলাম তখন মনে হল সমস্ত পরিশ্রমই সার্থক হয়েছে। খুব ভালো খেতে হয়েছিল। আমি নিজেই একবাটি খেয়ে ফেলেছিলাম। এই রেসিপিটি আমার একাউন্টে পোস্ট করা আছে। আপনারা চাইলে আপনাদের বাড়িতে ট্রাই করতে পারেন।
চিলি সয়াবিন |
---|
চতুর্থ ছবি:
চতুর্থ ছবিটি হল চিকেন রোল। এগ রোল খেতে আমি খুব পছন্দ করি। তবে দোকানের চিকেন রোল আমার খুব বেশি পছন্দ হয় না। কারণ তাদের প্রচুর পরিমাণে গ্রেভি দেওয়া থাকে। তাই একদিন চিকেন রোল খেতে ইচ্ছে হওয়ায় শ্বশুরবাড়িতে আমি আর আমার হবু বর মিলে চিকেন রোল বানাতে শুরু করলাম। চিকেন রোলের ভিতরের চিকেন টাকে প্রথমে তৈরি করে নিয়েছিলাম। সেটাই চিকেন রোলের প্রাণ। তাই ওটাকেই ভালোভাবে রান্না করে নিতে হবে। প্রথমবারের প্রতিষ্ঠায় আমরা ভালোই বানিয়েছিলাম।
চিকেন রোল |
---|
পঞ্চম ছবি:
মাছ প্রিয় বাঙালির সবচেয়ে পছন্দের মাছ হলো ইলিশ মাছ। যদিও আমার ইলিশ মাছ খেতে খুব বেশি ভালো লাগে না। এর একমাত্র কারণ হলো ইলিশ মাছে অনেক কাটা থাকে। তবুও একেবারে খাই না এমন নয়। এই ইলিশ সর্ষেটা আমি আমার শ্বাশুড়ি মায়ের কাছ থেকে শিখেছি। উনি চটজলদি খুব ভালো রান্না করেন। এটিও গরম ভাতের সাথে খেতে বেশ লেগেছিল।
সর্ষে ইলিশ |
---|
ষষ্ঠ ছবি:
ষষ্ঠ ছবিটি হল স্টিম চিকেন মোমো ও দুই রকমের চাটনি। এই সমস্ত কিছুই কিন্তু বাড়িতে তৈরি। এই রেসিপিটি বাড়িতে তৈরি করতে হলে হাতে একটু সময় নিয়ে তৈরি করবেন। কারণ এটা বেশ সময় সাপেক্ষ। আমরা প্রথমেই দুই রকমের চাটনি তৈরি করে নিয়েছিলাম। তারপরে স্যুপ বানিয়ে নিয়েছিলাম। এবং সবশেষে এই স্টিম চিকেন মোমো বানিয়ে ছিলাম।
স্টিম চিকেন মোমো ও দুই রকমের চাটনি |
---|
সপ্তম ছবি :
সপ্তম ছবিটি হল মান কচুর পাতা বাটা। এই খাবারটা গ্রামের দিকে একটু বেশিই প্রচলিত। গরম ভাতের সাথে ঝাল ঝাল করে তৈরি করা এই মান কচুর পাতা বাঁটা তার সাথে একটু লেবু যেন অমৃত লাগে। যদি মান কচু গাছ আপনাদের বাড়ির কাছাকাছি থাকে, তবে একবার অন্তত ট্রাই করতে পারেন।
মান কচুর পাতা বাঁটা |
---|
অষ্টম ছবি :
আজকে সেই ছবিটি হল লটে মাছের ঝুড়ি। এই লটে মাছ আমার খুব পছন্দের। যদিও আমার বৌদি এই মাছ খাই না। তাই বাড়িতে আমার জন্য আর দাদার জন্যই এই মাছ নেওয়া হয়। বাড়িতে এই মাছ এলে আমাকে রান্না করতে হয়। আমিও আমার মত করে, আমার টেস্ট অনুযায়ী খুব ভালো করে জমিয়ে এইমাছ রান্না করি।
লটে মাছের ঝুড়ি |
---|
আজ তাহলে এখানেই শেষ করছি। আগামীকাল আবার অন্য কোনো লেখা নিয়ে আপনাদের সামনে হাজির হব। সকলে ভালো থাকবেন। সুস্থ থাকবেন।
আপনি এত সব খাবারের ছবি দিয়েতো লোভ ধরিয়ে দিলোন ।এমনিতেই যেকোনো খাবারের ছবি দেখলে আমার মনে হয় এর সুস্বাদু আর কিছুই নেই ।চিলি সয়াবিন আমি অবশ্য কখনো খাই নাই ।একবার ট্রাই করে দেখতে হবে।
0.00 SBD,
0.03 STEEM,
0.03 SP
অবশ্যই ট্রাই করতে পারেন। চিলি চিকেনের মতো একই প্রসেস অবলম্বন করে। খুব ভালো খেতে হয়। ধন্যবাদ।
0.00 SBD,
0.03 STEEM,
0.03 SP
Thank you so much.
আজকে তুমি খুব ভালো ভালো খাবারের ছবি শেয়ার করেছ। ছবি দেখে ভীষণ খেতে ইচ্ছে করছে। প্রত্যেকটি খাবারই আমার ভীষণ প্রিয়। তবে এরকম ভাবে কোনদিনও বাড়িতে তৈরি করার চেষ্টা করি না হয়তো কোন নেমন্তন্ন বাড়িতে গেলে খাওয়া হয়। সুন্দর সুন্দর খাবারের ছবি শেয়ার করার জন্য অসংখ্য ধন্যবাদ। প্রত্যেকটি রেসিপি শেয়ার করার অপেক্ষায় রইলাম।