জন্মদিনের আয়োজন
নমস্কার বন্ধুরা। আপনারা সকলে কেমন আছেন? আজকে চলে এসেছি আপনাদের সাথে আরও একটি নতুন গল্প শেয়ার করার জন্য। আশা করছি আপনাদের সকলের ভালো লাগবে।
আজকে ছিল আমার এক স্টুডেন্টদের জন্মদিন। বাচ্চারা যেহেতু নিজেদের জন্মদিন নিয়ে খুবই এক্সাইটেড থাকে তাই বেশ কয়েক মাস আগে থেকেই প্রায়ই জন্মদিন সম্পর্কে ওর কাছ থেকে গল্প শুনেছি। সেই সাথে জন্মদিনে বাবার কাছ থেকে কি গিফ্ট নেবে, মায়ের কাছ থেকে কি গিফ্ট নেবে, এবং বাড়ির অন্যান্য গুরুজনদের কাছে যে কি গিফ্ট নেবে তা অনেকদিন আগে থেকেই ঠিক করা ছিল। না..না.. খুব দামি গিফ্ট নয়। বাচ্চা সুলভ গিফ্টই তার চাহিদা তালিকায় ছিল। আজকে তারই জন্মদিনের কিছু গল্প আপনাদের শেয়ার করব।।
আমার এই স্টুডেন্টটির নাম সৃজিতা। তবে ওর বাড়ির ডাকনাম বৃষ্টি। আমিও বৃষ্টি নামেই ডাকি। ও এখন ক্লাস সিক্সে পড়ে। মেয়েটা সত্যিই খুব ভালো। খুব নরম মনের মানুষ। আর সবচেয়ে বড় ব্যাপার হলো মা- বাবার গাইডেন্স খুব ভালো। একটা বাচ্চার সঠিক পথে এগিয়ে যাওয়ার পিছনে তার বাবা-মায়ের ভালো গাইডেন্স থাকা খুবই প্রয়োজনীয়। আমাদের পাড়ায় ওরা কিন্তু বেশ বড়োলোক। তবে আচার-আচরণ কিংবা স্বভাবে তার কোনো অহংকার বোধ নেই। শুধু ওর নয়, ওদের বাড়ির কারোর মধ্যেই এই অহংকার বোধটা লক্ষ্য করা যায় না। এই ব্যাপারটা আমার খুব ভালো লাগে।
আজকে দুপুরে আমার নিমন্ত্রণ ছিল। তাই দুপুরবেলায় যথা সময়ে ওদের বাড়ি পৌঁছে গিয়েছিলাম। গিয়ে দেখি ইতিমধ্যে ওর জন্য সমস্ত কিছু আয়োজন করা হয়ে গেছে। যেখানে খেতে বসবে সেই জায়গাটা সুন্দর করে সাজিয়ে খাবারগুলো সুন্দর ভাবে সাজিয়ে দিয়েছিল। দুপুরের সমস্ত খাবার মাটির থালা বাটি তে পরিবেশন করা হয়েছিল। দেখতে খুব ভালো লাগছিল। ওর পছন্দ মতো সমস্ত খাবারের আয়োজন করা হয়েছিল। মেনুতে ছিল -- সাদা ভাত, বাসন্তী পোলাও, পাঁচ রকমের ভাজা, স্যালাড, ভেজ ডাল, ইলিশ পাতুরি, চিংড়ি মালাইকারি, পাবদা সর্ষে, খাসির মাংস, চাটনি, পাপড়, আইসক্রিম, দই ও হরেক রকমের মিষ্টি।
সব সাজানোর পর, ওকে খাওয়ার জায়গায় বসানো হয়। তারপর চলে আশীর্বাদ পর্ব। আশীর্বাদ পর্ব শেষ হলে বাড়ির সকলে বিভিন্ন রকমের গিফ্ট দেয়। আমি আগেই জিজ্ঞাসা করে নিয়েছিলাম যে সে জন্মদিনে আমার কাছ থেকে কি গিফ্ট চাই। উত্তরে বলেছিল আমার কাছ থেকে একটা গল্পের বই চাই। তাই আমিও ওর পছন্দের গল্পের বই গিফ্ট করেছিলাম। বইটা পেয়ে তো ভীষণ খুশি হয়েছিল।
তারপর দুপুরের খাওয়া-দাওয়া সেরে কিছুক্ষণ বসে বাড়ি চলে এসেছিলাম। রাতে আবার ওদের বাড়িতেই পড়ানো ছিল। যেহেতু এর আগের দিন ওদের ড্রইং পরীক্ষা ছিল তাই পড়াটা অফ গিয়েছিল। তাই আজকের পড়াটা আর কামাই করেনি। আমি রাত আটটার সময় পড়াতে গিয়েছিলাম। যাওয়ার পথে ওর মা আমাকে একটা কেক কিনে নিয়ে যেতে বলেছিল, যেহেতু আমি তখন হাই স্ট্রিটেই ছিলাম। তাই আমি 'মন জিনিস' নামে একটি কেক এর দোকান থেকে ওদের পছন্দমত একটা কেক নিয়ে গিয়েছিলাম।
তারপরে রাতে জন্মদিন সেলিব্রেশানের গল্প এবং শেষ আছে পড়ানোর গল্প আমি পরবর্তী পোস্টে শেয়ার করব। আজ তাহলে এখানেই শেষ করছি। আগামীকাল আবার অন্য কোনো লেখা নিয়ে আপনাদের সামনে হাজির হব। সকলে ভালো থাকবেন, সুস্থ থাকবেন।*