Incredible India monthly contest of May by @sampabiswas | Emotional bonding with animals.

সবার প্রথমে আমি আমাদের সকলের প্রিয় @sampabiswas দিদিকে ধন্যবাদ জানাতে চাই মে মাসের প্রতিযোগিতার জন্য এতো সুন্দর একটা বিষয়বস্তু নির্বাচন করায়। এবারের প্রতিযোগিতার আলোচ্য বিষয় হলো প্রাণীদের সাথে আমাদের মানসিক বন্ধন। চলুন আর দেরী না করে আমি আমার মতামত আপনাদের সাথে শেয়ার করি।
What is your favorite animal (dog, bird, cat, etc.)? Do you think these animals can become part of our family, just like humans? |
---|

আমার দিদি ওর পোষা বিড়ালদের সাথে
আমার সব প্রাণীদেরই ভালো লাগে তবে যারা আমার মনের খুব কাছের তারা হলো পাড়ার কুকুর ও বিড়াল। এর মধ্যে থেকেও যদি বাছতে হয় তাহলে আমি বিড়ালের নাম নেবো।
আমি অবশ্যই মনে করি এরা আমাদের পরিবারের অংশ হতে পারে ঠিক যেভাবে বাবা, মা, স্ত্রী, সন্তান, ভাই, বোন আমরা প্রত্যেকে পরিবারের এক এক জন সদস্য।
Do you think animal can change our lifestyle? Give reasons for your opinion. Have you ever had an emotional moment with an animal? If so, please share that story. |
---|

পুরোপুরি না হলেও প্রাণীরা বিশেষ করে গৃহপালিত পশু পাখিরা আমাদের জীবনচর্যা কিছুটা হলেও পাল্টাতে পারে বলে আমি মনে করি। শুধু পুষলেই হবে না, ওদের সঠিক খেয়াল রাখা এবং সঠিক সময়ে খেতে দেওয়া আমাদের কর্তব্য। আমি নিজে একটা সময় বিড়াল ও কুকুর দুটোই পুষেছি। সেই সময় আমার দিদির বিয়েও হয়নি আর ওই প্রধানত ওদের দেখভাল করতো। তবে আমরা এদের কাউকেই বেঁধে রাখতাম না। আমি কোনও প্রকার বন্ধনে বিশ্বাসী নই তা সে সাংসারিক বন্ধন হোক বা অন্য কোনো কিছু। তবে এখন মনে হয় মেয়ের সাথে মায়ার বন্ধনে কিছুটা জড়িয়ে পড়েছি। এটা আমি কিছুতেই অস্বীকার করতে পারি না আর চাইও না।

আমরা প্রথমে একটা বিড়াল পুষেছিলাম। ওর নাম ছিল মিনি আর ও বোবা ছিল মানে কথা বলতে পারতো না। এক বৃষ্টির দিনে ঘটনাক্রমে ও আমাদের বাড়িতে এসে পৌঁছায়। কিছুদিন পর মিনি ৩টি সন্তান প্রসব করে। আমরা ওদের নাম রেখেছিলাম মিউ, ছোটু আর লালুপ্রসাদ। প্রকৃতির নিয়মে একে একে সবাই বিদায় নেওয়ার পর শেষে বেঁচেছিল লালুপ্রসাদ। ওর শেষ দিনটার কথা আজ আপনাদের সাথে আমি শেয়ার করবো।

এটা আমার দিদির সবচেয়ে প্রিয় বিড়াল। ওর নাম হলো পুপু।
বেশ কিছুদিন ধরে লালুপ্রসাদ কিছু খাচ্ছিল না। আমার দিদির ততদিনে বিয়ে হয়ে গেছে তবে আমি ওর সাথে সব কথা শেয়ার করতাম। আমরা বুঝে গিয়েছিলাম যে লালুপ্রসাদ আমাদের সাথে আর বেশিদিন নেই। ওর চলে যাওয়ার সময় চলে এসেছে।

মারা যাবার আগের দিন রাতে আমি লালুপ্রসাদকে পাড়ার এক গলি থেকে ঘরে নিয়ে আসলাম। কয়েকদিন না খেয়ে ও খুব অশক্ত হয়ে গিয়েছিল। ঠিকমত হাঁটতেও পারছিলো না। আমি ওকে দুধ খাওয়ানোর চেষ্টা করলাম কিন্তু ও কিছুই খেলো না। আমার মার ক্ষেত্রেও আমি একই ঘটনা ঘটতে দেখেছি মার চলে যাবার দিন। শত চেষ্টা করেও আমি সেদিন মাকে কিছু খাওয়াতে পারিনি।

আমি লালুপ্রসাদকে বললাম যে তুই মারা গেলে ঘরে থেকেই মারা যা, বাইরে যেতে হবে না। আপনারা যারা বিড়াল পুষেছেন বা পোষেন তারা হয়তো জানেন যে বিড়াল যে জায়গায় থাকে সেখানে ও মারা যাওয়া পছন্দ করে না বা চায় না।

পরের দিন সকালে ঘুম থেকে উঠে দেখি যে লালুপ্রসাদ ঘরে নেই। আমি সব দরজা আর জানালা বন্ধ করে রেখেছিলাম শুধু একটা জানালা ভেজানো ছিল, ও ওটা দিয়ে বেরিয়ে গেছে। তখন আমি ফ্ল্যাটে থাকতাম না, আমাদের নিজস্ব বাড়ী ছিল। আমার মা আবার সেইদিন ফিরোজাবাদ থেকে বাড়ীতে ফিরছে। মাকে আমি ফোনে সব জানালাম।

মা বাড়ি ফেরার পর পাড়ার এক কাকিমার কাছ থেকে খবর পেয়ে লালুপ্রসাদের নিথর দেহটা আমাদের বাড়ীতে নিয়ে আসলো। ও মায়ের খুব ন্যাওটা ছিল কিন্তু ওকে মা জীবন্ত অবস্থায় দেখতে পারলো না কারণ মা বাড়ী ফেরার ১ ঘন্টা আগে লালুপ্রসাদ এই পৃথিবী থেকে বিদায় নিয়েছে।
Do you personally have any beautiful moments with street animals? Do you think that as humans, each of us needs to come forward and help these street animals? Share your views on this topic. |
---|

সহস্র স্মৃতি ছড়িয়ে আছে আমার রাস্তার প্রাণীদের সাথে বিশেষ করে কুকুর আর বিড়ালদের সাথে। আমি ওদের রোজ কিছু না কিছু খেতে দিই আর সময় পেলে খেলাও করি ওদের সাথে।
আমি অবশ্যই মনে করি যে আমাদের প্রত্যেকের এগিয়ে আসা উচিৎ রাস্তার পশুপ্রাণীদের সাহায্যার্থে। এই ব্যাপারে আমার দুটো ভয়াবহ অভিজ্ঞতার কথা বলি। ২-৩ বছর আগে আমার এক বন্ধু বেশ রাত করে বাড়ী ফিরছে। বাড়ী ফেরার পথে পাশের পাঁঠার মাংসের দোকান থেকে ও অদ্ভুত কুই কুই আওয়াজ শুনতে পায়। বেশ রাত হয়ে গিয়েছিল বলে ও পাড়ার কোনো বাড়ীতে নক না করে আমাকে আর কয়েকজন বন্ধুবান্ধবকে ফোন করে। আমরা ওখানে পৌঁছে দোকানটা যে ভাড়া নিয়েছিল তাকে দিয়ে জোর করে দোকানের শাটার খুলে দেখি একটা কুকুরকে হাত ও পা বেঁধে আর মুখে সেলোটেপ আটকে রাখা আছে। আমরা ওকে রেস্কিউ করি আর দোকানদারকে পুলিশের হাতে তুলে দিই। এই ঘটনার খবর পরের দিন পশ্চিমবঙ্গের প্রায় সমস্ত নিউজ পেপারে প্রকাশ করা হয়েছিল।

এবার দ্বিতীয় ঘটনাটার কথা বলি। আমাদের ঠিক পাশে সুনুদাদের বাড়ী। ওনাদের একটা পোষা কুকুর ছিল টমি নামে। ও ছোটবেলার থেকেই এখানে বড়ো হয়েছে। যথেষ্ট বয়স হয়ে যাবার পর হঠাৎ করে একদিন টমি এলাকা থেকে জাস্ট ভ্যানিশ হয়ে যায়। অনেক খুঁজেও ওকে আর পাওয়া যায়নি। একটা বুড়ো কুকুরকে তো কেউ পোষার জন্য নিয়ে যাবে না। আমার ধারণা এই ঘটনার সাথেও কোনও মাংসের কারবারী যুক্ত।
Do you think that animals also need good medical care just like humans? Share your opinion on what steps need to be taken to improve animal medical care. |
---|

আমি অবশ্যই মনে করি যে পশুপ্রাণীদের জন্যও ভালো চিকিৎসা ব্যবস্থার প্রয়োজন যেমন আমরা পেয়ে থাকি নিজেদের অর্থসামর্থ্য অনুযায়ী। আমাদের এলাকায় এবং সারা কলকাতায় পশু হাসপাতালের সংখ্যা নগণ্য এবং এদের জন্য ওষুধ এবং খাবার খুব কম দোকানেই পাওয়া যায়। এই সমস্যা সমাধানের জন্য সর্বপ্রথম প্রশাসনকেই এগিয়ে আসতে হবে বলে আমি মনে করি।

প্রতিযোগিতার নিয়ম অনুসারে আমি @sayeedasultana, @rubina203, @karobiamin71 এবং @mukitsalafi কে এই কন্টেস্টে অংশগ্রহন করার জন্য আমন্ত্রণ জানাচ্ছি।

X share: https://x.com/PijushMitra/status/1921204138475458800
আপনার লেখা পড়তে পড়তে আমার বিড়াল কুকুরদের মৃত্যুর কথা মনে পরে যাচ্ছিলো ।যারা ওদের হারিয়েছেন তারাই জানে ওদেরকে হারানোর কষ্ট ।
আমিও বারনার হারিয়েছে ।নিজের হাতে বড় করে ওদেরকে হারিয়ে ফেলার মতো কষ্টকর খুব কমই হয়।
আপনি আমাকে মেনশন করায় অসংখ্য ধন্যবাদ আপনাকে ।প্রতিযোগিতায় আপ্নার সফলতা করছি
আপনাকে অসংখ্য ধন্যবাদ সময় নিয়ে আমার পোস্ট পড়ে মন্তব্য করার জন্য।
পোষা পানিদের প্রতি আমাদের ভালোবাসা থাকে একটু অন্যরকম আমার চেষ্টা করে তাদেরকে নিজের মত করে আগলে রাখার মৃত্যু এমন একটা জিনিস কখন আসবে সেটা আমরা কেউ জানিনা আপনি আপনার প্রসা বিড়ালকে বলেছেন সে যদি মারা যায় তাহলে যেন আপনার বাসাতেই মারা যায় আসলে বিড়াল এমন একটা প্রাণী যেখানে থাকে সে সেখানে কখনোই মৃত্যুবরণ করতে চায়না। প্রতিযোগিতার প্রতিটা প্রশ্নের উত্তর আমাদের সাথে তুলে ধরার জন্য আপনাকে অসংখ্য ধন্যবাদ প্রতিযোগিতায় বিজয়ী হয়েছেন দেখে আরও বেশি ভালো লাগলো ভালো থাকবেন।