Incredible India monthly contest of May #1| How do we control the loneliness of our parents?steemCreated with Sketch.

in Incredible Indialast month

1.jpg
Photo Source

সবার প্রথমে আমি আমাদের সকলের প্রিয় কমিউনিটিকে ধন্যবাদ জানাতে চাই মে মাসের প্রতিযোগিতার জন্য এতো সুন্দর একটা বিষয়বস্তু নির্বাচন করায়। এবারের প্রতিযোগিতার আলোচ্য বিষয় হলো আমরা কিভাবে আমাদের বাবা-মায়ের একাকীত্ব নিয়ন্ত্রণ করব? চলুন আর দেরী না করে আমি আমার মতামত আপনাদের সাথে শেয়ার করি।

Do you hold the view that, over time, parents develop a longing for the presence of their children? Please elaborate.

2.jpg
Photo Source

একদম সঠিক কথা, আমি অবশ্যই মনে করি যে সময়ের সাথে সাথে বাবা-মায়েরা তাদের সন্তানদের কাছে পাওয়ার জন্য আকুল হয়ে ওঠে। সন্তান যত বড়ো হয়ে ওঠে তার নিজস্ব একটা জগৎ তৈরী হয়। সে তখন তার বন্ধুবান্ধবদের সাথে বেশী সময় কাটাতে পছন্দ করে। আর একবার কর্মজগতে প্রবেশ করলে বা বিয়ে করে নিজের সংসার হলে তো কথাই নেই। সন্তান তখন সময়াভাবের কারণে ইচ্ছে থাকলেও তার বাবা-মাকে আর আগের মতো সময় দিতে পারে না। আমার বাবা-মার ক্ষেত্রেও এটা হয়েছে আর আমি ভালো করেই জানি যে আমার সাথেও একই ঘটনা ঘটবে। কর্মা কাউকে ছাড়ে না।

How do we control the loneliness of our parents?

3.png
Photo Source

বয়স যত বাড়তে থাকে বাবা-মার জীবনে একাকীত্ব ততো বাড়তে থাকে। কর্মজীবন থেকে রিটায়ার করলে বা রোজকার ঘরের কাজ করা ছেড়ে দিলে এই একাকীত্ব পাহাড়সম বলে হয়। তাই বাবা-মার উচিৎ নিজেদের সব সময় কোনো না কোনো কাজে বা হবিতে এনগেজ রাখা। তা সেটা বাগান পরিচর্যা, গল্পের বই পড়া, ফেসবুক করা বা কোনো ব্লগে লেখা ইত্যাদি যাকিছুই হতে পারে।

সন্তানদের উচিৎ সঠিক টাইম ম্যানেজমেন্ট করে রোজ বাবা-মাকে সময় দেওয়া। সন্তান যদি দূরে থাকে তাহলে তার বাবা-মার সাথে ফোন কল বা ভিডিও কল করে রোজ কথা বলা উচিৎ। এখনকার সোশ্যাল মিডিয়ার যুগে সন্তানকেই এগিয়ে আসতে হবে বাবা-মাকে বিভিন্ন অনলাইন সোশ্যাল মিডিয়ার সাথে যুক্ত করা, তা সে ফেসবুক, ইন্সটাগ্রাম হোক বা এক্স। এতে বাবা ও মায়ের একাকীত্ব অনেকটাই দূর হবে বলে আমি মনে করি।

What are the main reasons behind the loneliness of parents?

4.jpg
Photo Source

সন্তান যত বড়ো হয়ে ওঠে ততো তার নিজস্ব একটা জগৎ তৈরী হয়ে যায়, তা সেটা স্কুল, কলেজ জীবন হোক বা কর্মজীবন। নিজের অজান্তেই সে তখন তার বাবা ও মায়ের কাছ থেকে মানসিক ভাবে অনেকটা দূরে সরে যায়। বিয়ে করে নিজস্ব সংসার হলে তো আর কোনো কথাই নেই। সন্তান তখন নিজের বাবা-মাকে আর আগের মতো সময় দিতে পারে না। এইটা হলো বাবা-মায়ের একাকীত্বের সবচেয়ে প্রধান কারণ।

এছাড়াও বয়স্ক বাবা-মায়ের নতুন কিছু শিখতে বা নতুন কোনো সামাজিক প্রকল্পের সাথে যুক্ত হতে অনীহা তাদের একাকীত্বের করাল গ্রাসের কবলে নিয়ে ফেলে। বার্ধক্যজনিত রোগব্যাধিও বাবা-মায়ের নিজেকে একা মনে করার এক প্রধান কারণ।

বাবা-মা এবং সন্তান উভয়কেই এগিয়ে আসতে হবে একাকীত্বের সমস্যার সমাধান করার জন্য। কারো একার দ্বারা এই সমস্যা সমাধান করা সম্ভব নয়। আজ তাহলে এই পর্যন্তই থাক।

প্রতিযোগিতার নিয়ম অনুসারে আমি @mou.sumi, @ahp93, @karobiamin71 এবং @mukitsalafi কে এই কন্টেস্টে অংশগ্রহন করার জন্য আমন্ত্রণ জানাচ্ছি।

Sort:  
 last month 

খুব চমৎকার ভাবে আপনি বাবা-মায়ের একাকিত্বের বিষয়টি তুলে ধরেছেন। আপনার প্রতিটি যুক্তি বাস্তব আর প্রাসঙ্গিক।সত্যিই সন্তানেরা একটু সময় দিলেই বাবা-মার মন ভরে যায়। আপনার জন্য অনেক অনেক শুভকামনা রইল এই প্রতিযোগিতার জন্য।

 last month 

বড়ো হয়ে গেলে বাবা-মাকে দেওয়ার মতো সময়টাই আমাদের কাছে থাকে না। আমাকে এই প্রতিযোগিতায় শুভকামনা জানানোর জন্য আপনাকে অসংখ্য ধন্যবাদ।

Loading...
 last month 

প্রথমেই আপনাকে অসংখ্য ধন্যবাদ প্রতিযোগিতায় অংশগ্রহণ করার জন্য আপনি চমৎকারভাবে প্রতিযোগিতার প্রতিটা প্রশ্নের উত্তর আমাদের সাথে শেয়ার করেছেন আসলেই সন্তান বড় হওয়ার সাথে সাথে বাবা-মা নিঃসঙ্গ হয়ে যায় যেই মানুষগুলো কাজ নিয়ে ব্যস্ত থাকতো সেই মানুষগুলো একটা সময় কাজের থেকে অনেক দূরে সরে যায় তাই তারা চেষ্টা করে তাদের সন্তানরা যেন তাদের সাথে থাকে প্রতিযোগিতায় আপনার সফলতা কামনা করছি ভালো থাকবেন।

 last month 

এই প্রতিযোগিতায় যদিও আমি সফলতা পাইনি তবুও এই পোস্ট পড়ে আপনার করা মন্তব্য আমার মন ছুঁয়ে গেলো। আমি তো এখন দেখছি যে শুধু বাবা-মা নয়, বয়স বাড়ার সাথে সাথে বেশীরভাগ মানুষই কমবেশি নিঃসঙ্গ হয়ে যায়।

 last month 

আসলে কোন জায়গা থেকে সফলতা আসবে এটা আমরা কখনো বুঝি না একটাতে হন নাইতাতে কি হয়েছে অন্য আরেকটাতে হয়েছে যেটা দেখে বেশি ভালো লাগলো বয়স বাড়ার সাথে সাথে তাদের নিঃসঙ্গতা তাদেরকে ঘিরে ধরে তখন তারা চেষ্টা করে সবার সাথে নিজেদের সময়টাকে ভাগাভাগি করে নেয়ার জন্য একটু ভালো থাকার জন্য জীবনের শেষ সময়টাতে কিভাবে নিজের প্রিয় মানুষকে কাছে থাকা যায় সেই চিন্তা তাদের সবচেয়ে বেশি থাকে।