Better Life with Steem || The Diary Game || June 19, 2025

in Incredible India21 hours ago

thumbnail.png
Image edited by Adobe

বন্ধুরা চলে এলাম আপনাদের কাছে আমার গতকাল সারাদিন অর্থাৎ ১৯শে জুনের কার্যাবলী নিয়ে। তাহলে চলুন শুরু করা যাক।

“সকাল”

1.jpg

আজকে সকাল ৮টা নাগাদ আমি ঘুম থেকে উঠলাম। তাড়াতাড়ি করে ফ্রেশ হয়ে নিয়ে আমি আবর্জনা সংগ্রাহক দাদার খোঁজে বের হলাম কারণ দাদা ইতিমধ্যে আমার পাড়ার থেকে বিদায় নিয়েছে। ১০ মিনিটের মতো আমার সময় লাগলো দাদাকে খুঁজে পেতে। আমি দাদার গাড়ীতে দুটো ময়লার প্যাকেট ফেলে দিয়ে আমার ফ্ল্যাটে ফিরে আসলাম। তারপর এক কাপ চা করে নিয়ে আমি আজকের খবরের কাগজটা পড়ে নিলাম।

আজকে বেশ কিছুদিন বাদে আমি ডিম টোস্ট বানিয়ে তা দিয়ে ব্রেকফাস্ট করলাম। আজকে যদিও আমি অন্যান্য দিনের তুলনায় তাড়াতাড়ি ঘুম থেকে উঠেছি কিন্তু আজকে আমার রান্না করা হবে না কাজের চাপ থাকার দরুন। তাই আমি আর দেরী না করে এক কাপ চা বানিয়ে ল্যাপটপ অন করে অনলাইনে কাজ করতে বসলাম।

“দুপুর”

2.jpg

3.jpg

4.jpg

5.jpg

দুপুর ১টা নাগাদ আমি অনলাইনে সুইগির মাধ্যমে আমি বাঙালি রেস্টুরেন্ট থেকে একটা এগ থালি অর্ডার করলাম। এর মধ্যে CESC এর maintenance work এর জন্য কিছু সময়ের জন্য কারেন্ট ছিল না তবে অর্ডার ডেলিভারি করার পরেই কারেন্ট চলে এসেছিল।

অর্ডার ডেলিভারি করার পর দেখলাম যে এই এগ থালিতে দুটো ডিম দিয়েছে, এই দিয়ে আমার দুইবেলা হয়ে যাবে। আমি স্নান করে নিয়ে লাঞ্চ করে নিলাম। আজকে আমার লাঞ্চের মেনু ছিল বাসমতী চালের ভাত, শাক ভাজা (কি শাক বুঝতে পারিনি), মুগ ডাল, আলু ভাজা, পাঁচমিশেলি সব্জী, শুক্তো, ডিমের কারি, কাঁচা আমের চাটনি, পায়েস এবং স্যালাড। যথেষ্ট বেশি খেয়ে ফেলেছিলাম বলে আজ আর আমি লাঞ্চের পর আম খেলাম না। এরপর কাজের মাসী কাজ করতে চলে এলো। মাসী কাজ করে চলে যাওয়ার পর আমি কিছুক্ষণের জন্য ঘুমাতে চলে গেলাম।

“বিকেল ও সন্ধ্যে”

6.jpg

7.jpg

আজকে সন্ধ্যে ৬টা নাগাদ আমি ঘুম থেকে উঠলাম। আজ চা না খেয়ে সন্ধ্যে দিয়ে আমি হাঁটতে বের হলাম। এরপর বাড়ী ফিরে এক কাপ চা করে নিয়ে আমি স্টিমিটের জন্য ডেইলি ডায়েরী গেম লিখতে বসলাম।

“রাত”

ডেইলি ডায়েরী গেম লেখা শেষ হয়ে গেলে আমি স্টিমিটে পোস্ট করে দিয়ে বেশ কিছু কমেন্টের রিপ্লাই দিলাম। তারপর আমি টরেন্টের মাধ্যমে বেশ কিছু নতুন মুভি আর ওয়েব সিরিজ ডাউনলোড করলাম। এরপর আমার স্ত্রীর সাথে ফোনে কিছুক্ষণ কথা বললাম। ও তখনও ট্রেনে ছিল, বাড়ী পৌঁছায়নি।

আমার ইচ্ছে আছে সামনের সপ্তাহের শেষের দিকে মেয়েকে দেখতে যাওয়ার, দেখা যাক হয়ে ওঠে কিনা! আমার মা যদি বেঁচে থাকতো তাহলে আমার মেয়েকে আমার কাছে নিয়েই রাখতাম। আমার পক্ষে ওকে একা সামলানো সম্ভবপর নয় আর ওর মা চাকরী করে।

রাত ১১টা নাগাদ দিদি আসলে আমি ওর সাথে কিছুক্ষণ কথা বললাম। দিদি ওর শ্বশুরবাড়ীতে ফিরে গেলে আমি ডিনার করে নিয়ে ঘুমাতে চলে গেলাম।

তো বন্ধুরা এই ছিল আমার ১৯শে জুনের দিনলিপি। সকলে ভালো থাকবেন এবং সুস্থ থাকবেন, এই শুভকামনা জানিয়ে আজকের মতো বিদায় নিচ্ছি।