Incredible India monthly contest of June#1|Old Vs New!
![]() |
---|
Hello,
Everyone,
কথায় আছে “যেদিন চলে যায় সেদিন ভালোই যায় আর সামনে যেদিন আসবে তা অবশ্যই কঠিন হবে” এ কথাগুলোর সাথে আমিও একমত প্রকাশ করছি। কারণ আমি বিশ্বাস করি, আমাদের ফেলে আসা দিনগুলোই ভাল ছিল । আমরা বর্তমান যে দিনগুলো পার করছি এবং ভবিষ্যতে যে দিনগুলো পার করবো সেগুলো কঠিনই হবে।
Incredible India কমিউনিটিতে এই বিষয় নিয়ে প্রতিযোগিতার আয়োজন করার জন্য শ্রদ্ধেয়া অ্যাডমিন ম্যামকে অসংখ্য ধন্যবাদ জানাই। আমি অংশগ্রহণ করার পূর্বে তিনজন বন্ধুদের @abi24 , @almacaridad & @nuraini1975 কে আমন্ত্রণ জানাতে চাই ।আশা করি তারা এখানে অংশগ্রহণ করে তাদের মতামত আমাদের সাথে শেয়ার করবেন ।তবে আর দেরি না করে মূল বিষয় চলে যাই।
![]() |
---|
Source |
✅ Share the things that you believe were best in past, but now have been changed. |
---|
এই প্রশ্নের উত্তরে আমি প্রথমেই বলব অতীতে আমাদের পরিবারের সকল সদস্যদের মধ্যে যে একটি ভ্রাতৃত্ববোধ এবং আন্তরিকতা ছিল তা দিন দিন হারিয়ে যাচ্ছে। আগের দিনে পরিবারের সংজ্ঞা বলতে বাবা-মা ভাই বোনই বোঝায়নি ,সেখানে কাকা-কাকি. মামা-মামী, মাসী-পিসি সবাইকে নিয়ে একত্রে বসবাস করাকে বুঝাত। পরিবার ছিল সুন্দর একটি ভালোবাসার মিলবন্ধন।
কারো বিপদে-আপদে এগিয়ে আসা, কারো সমস্যা হলে পরিবারের সকল সদস্য মিলে সমাধান করতেন। বাবার চাকরির সূত্রে আমরা বাড়ি থেকে অনেক দূরে থাকা সত্বেও বাড়ির মানুষগুলোর জন্য সত্যি মন কাঁদতো, কখন বাবা ছুটি পাবে, কখন মামা বাড়ি যাবো, কখন বাড়ি যাব? আর মামা-মামীও অপেক্ষা করতো, আমরা কখন বাড়িতে আসবো?
মামী নানা ধরনের পিঠা বানাতেন, গাছের ফল গুলো আমাদের জন্য রেখে দিত, আমরা যাব তারপরে সেগুলো পার হত। মামা বাড়িতে অনেক আম গাছ ছিল ।মামী আম দিয়ে আমসত্ত্ব বানাতেন, আমের আচার বানিয়ে আমাদের জন্য রেখে দিতো। তেমনি বাবার বাড়িতে গেলেও সকাল বেলার নাস্তা থেকে শুরু করে দুপুরবেলার খাবার কার বাসায় খাবো তা নিয়ে টানাটানি করতেন। কিন্তু সেই সম্পর্কগুলো আস্তে আস্তে হারিয়ে যাচ্ছে ।
আগের দিনের ছেলে-মেয়েরা তাদের সমস্ত কথা বাবা –মায়ের সাথে শেয়ার করত। আমিও তাই করতাম। আমার বন্ধুর ছিল আমার বাবা,ভাই ও বান্ধবী ছিল আমার মা ।কোন ছেলে স্কুল-কলেজে কিছু বলেছে, প্রেমের প্রস্তাব দিয়েছে সবকিছু পরিবারের সাথে শেয়ার করতাম। কিন্তু এখনকার দিনে ছেলে মেয়েরা বাবা-মায়ের সাথে কোন কিছুই শেয়ার করে না। তারা নিজেরা একা থাকতে বেশি ভালোবাসে ।
এখনকার ছেলে-মেয়েরা আবেগে বেশি বিশ্বাস করে কিন্তু বাস্তবতাকে মেনে নিতে চায় না ।আগেকার দিনে এত সুযোগ সুবিধা ছিল না, স্মার্টফোন ছিল না ।কিন্তু সকলের সাথে বন্ধুত্ব ছিল, একতা ছিল। স্কুল ছুটি হলে বান্ধবীরা মিলে বিকেল বেলা গল্প করা ,খেলা করা ।প্রতিবেশীর বাসায় প্রতিবেশীর আশা এমনকি গ্রামের মা চাচীদের দেখতাম, বিকেলবেলা সমস্ত কাজ শেষে একে অন্যের বাসায় বেড়াতে যেত ,গল্প করত।
তার নানা ধরনের নকশি কাঁথা সেলাই করতে তার সাথে সাথে গল্প করত। কিন্তু বর্তমান সময়ে সবগুলো যেন হারিয়ে যাচ্ছে ।হাতে স্মার্টফোন আশায় বাবা-মায়ের সাথেও তেমন সন্তানদের গল্প করা হয় না কারণ তারা বাবা মায়ের থেকে স্মার্টফোনকে বেশি সময় দেয় ।তারা অনলাইন মাধ্যমে ভার্চুয়াল বন্ধুত্ব রাখে কিন্তু বাস্তব বন্ধু খুবই কম ।
আগেকার দিনে মানুষ সবাইকে নিয়ে ভালো থাকার চেষ্টা করত আর বর্তমান সময়ে সে শুধু নিজের ভালো থাকাকে বেশি প্রাধান্য দেয়। এক কথা বলা যায়, মানুষগুলো যেন স্বার্থপর হয়ে যাচ্ছে দিন দিন। অর্থ-সম্পদ, টাকা-পয়সা যতই থাকুক না কেন তার আরো চাই ।তার চাহিদার কোন শেষ নেই। দিন দিন মানুষের চাহিদা বৃদ্ধি পেতে থাকে তাইতো মানুষের ভিতর আন্তরিকতা, মায়া, বিশ্বাস এগুলো দিন দিন হারিয়ে যাচ্ছে।
![]() |
---|
Source |
✅ How do you define old is gold? |
---|
আমরা সকলেই জানি ”যারা প্রবাদ গুলো লিখে থাকেন অবশ্যই তার পিছনে যুক্তিযুক্ত কারণ থাকে ।আর কোন কিছু এমনি তারা উল্লেখ করে যায়নি ।মানুষের ভিতর তখন এত লোভ ছিল না এবং মানুষের ভিতরে স্বার্থপরতাও ছিল না ।লোভ-লালসা কম ছিল তাইতো তারা খাবারে ভেজাল দিতোনা। নিজেদের জমিতে উৎপাদন করা হতো ধান, ডাল, শাকসবাজ সবকিছুই। পুকুর ভরা মাছ ছিল, গোলা ভরা ধান ছিল ।
বাড়ির চারপাশে বিভিন্ন ধরনের ফলের গাছ ছিল। সেই মৌসুমী ফলগুলো কীটনাশক মুক্ত ছিল ।তাইতো তখনকার সময় এত অসুখ ছিল না ।তখন ফ্রীজ আবিষ্কার হয়নি কিন্তু মানুষ টাটকা শাকসবজি, মাছ মাংস ,ফলমূল খেয়েছে বিধায় তারা তখন সুস্থ ছিল। তখন তারা পরিশ্রম বেশি করত।
তখন মাটির চুলায় লাকরি দিয়ে রান্না করতো ।আমার শাশুড়ি মা গল্প করতেন, আমার শ্বশুর নিজের হাতে দুধ থেকে ছানা কেটে মিষ্টি তৈরি করতেন। বর্তমান সময়ে কিছু অসাধু ব্যাবসাই মিষ্টি তৈরি করতে ছানার পরিবর্তে টিস্যু ব্যবহার করে থাকে। শাশুড়ি মা মাঝে মাঝে বলতেন তার নয়টি বাচ্চা হয়েছে কোন ডাক্তার/কবিরাজ লাগেনি আর আমাদের একটি বাচ্চা প্রসব করতে ডাক্তার ,হাসপাতাল, সিজার দরকার হয়।এটা স্বীকার করতেই হবে, তখনকার খাওয়া-দাওয়া এখনকার খাওয়া দেওয়ার মধ্যে অনেক পার্থক্য রয়েছে ।
তারপরে বলা যায় সামাজিক কথা ,তখনকার সমাজে গুরুজনদের যেভাবে শ্রদ্ধা করা হতো, বর্তমান সমাজে নবীনরা প্রবীনদের তেমন কোন শ্রদ্ধা ভক্তি করে না। আমাদের সময় দেখেছি টিচারদেরকে দেখলে ছাত্ররা মাথা নত করে সালাম দিয়ে পাশ থেকে চলে যেত । বর্তমান সময়ে কিছু কিছু ছাত্ররা টিচারের সামনে ধোয়া উড়িয়ে সিগারেট খাচ্ছে।
তখনকার এত ডাক্তার কিংবা এত উন্নত চিকিৎষা ছিল না কিন্তু তারপরও আয়ুর্বেদিক ভেষজ ওষুধ গুলো বেশি কাজ করতো ।শেফালী ফুল পাতা, তুলসী পাতা ,বাসক পাতা থেকে তৈরি ওষুধগুলো জ্বর ,কাশি, ঠান্ডার জন্য খাওয়া হত ,তাতেই আমরা ভালো হয়ে যেতাম । বর্তমান সময়ে কিছু অসাধু ব্যবসায়ীরা অধিক মুনাফা উপার্জনের জন্য ভেজাল ওষুধ তৈরি করছে।
আগের দিনে অতিথিকে বলা হতো ”নারায়ন”। অতিথি আসলে অনেক খুশি হতেন কিন্তু বর্তমান সময়ে অতিথি কবে ফিরে যাবে সেই চিন্তা করা হয়, কতদিন থাকবে সেই চিন্তা করা হয় ,আবার তো অনেক সময় না জানিয়ে কারো বাসায় আসলে তারা বিরক্ত হন।
সবাই এখন কর্মব্যস্ততা নিয়ে এতটাই মগ্ন হয়ে যাচ্ছে যে পরিবারের সাথে সময় দেওয়াটা তাদের কাছে সময় নষ্ট করার মত ।আগের দিনে মা দিবস, বাবা দিবস এরকম কোন বিশেষ দিন ছিল না। তারা সব সময় বাবা মাকে ভালবাসতেন ,শ্রদ্ধা করতেন । বর্তমান সময়ে এই দিবসগুলো উদযাপন করছে, মানুষ শিক্ষিত হয়েও তার বাবা-মাকে সঙ্গে রাখতে পারছে না বা থাকছে না ।একটু লক্ষ্য করে দেখুন, পুরনো দিনে কোন বৃদ্ধাশ্রম ছিল না, তখন পরিবারের দাদা দাদী,বাবা-মা, কাকা সবাই কিন্তু একত্রে থাকতো আর বর্তমান সময়ে দাদা-দাদি তো দূরের কথা বাবা-মাকেও সন্তান তার সঙ্গে রাখতে চাচ্ছে না।
এখন সমাজ অনেক আধুনিক, অনেক শিক্ষিত তাইতো তারা বাবা-মাকে স্বেচ্ছায় বৃদ্ধাশ্রমে পাঠিয়ে দেয় ।আগের দিনে মানুষ অনেক আনন্দে সময় গুলো কাটাতো, সকলে মিলে জারি গান, যাত্রাপালা দেখত। আমার মনে পড়ে আগের দিনে এত টিভি চ্যানেল ছিল না ,মোবাইল ছিল না ,তখন প্রতি মাসের প্রথম শুক্রবার একটি পূর্ণদৈর্ঘ্য ছায়াছবি প্রচার করা হতো বিটিভিতে। সেই ছবিটি দেখার জন্য বাড়ির ছেলে বউ থেকে শুরু করে সবাই একত্রে ঠিক বিকেল তিনটার সময় ঠিভির সামনে অপেক্ষা করতো। সেই চলচ্চিত্রটি ছিল সামাজিক ও পারিবারিক ।
আমি তো চিত্রনায়ক আলমগীর ও চিত্রনায়িকা শাবানা ম্যামের খুবই ভক্ত ছিলাম। শাবানা ম্যামের অভিনয় দেখে আমার চোখে কান্না চলে আসতো।বর্তমান পূর্ণদৈর্ঘ্য ছায়াছবি গুলো পরিবার নিয়ে খো যায় না। এখন অনেক টিভি চ্যানেল হয়েছে , এখন তো সিনেমা হলে গিয়ে সিনেমা দেখার প্রয়োজন হয় না কারণ হাতে স্মার্টফোন আছে ,আপনি চাইলে সারা বিশ্ব আপনার হাতের মধ্যে পেয়ে যাবেন ।কিন্তু পরিবারের সেই যে ভালোবাসাটা এখন আর পাওয়া যায় না।
![]() |
---|
Source |
✅ Discuss some points why changes are needed for a better future! |
---|
দিন যত সামনে যাচ্ছে তত বিশ্ব উন্নত হচ্ছে, সমাজ উন্নত হচ্ছে সামাজিক ব্যবস্থা উন্নত হচ্ছে। কিন্তু এই সবকিছু উন্নত হওয়ার সাথে সাথে ও কিছু কিছু সামাজিক অবক্ষয় হচ্ছে ।যেমন:- আমরা হাতে স্মার্টফোন পাচ্ছি ,স্মার্টফোনে অনলাইন মাধ্যমে যেমন ভালো দিক আছে তেমনি খারাপ দিকও আছে। এটা সম্পূর্ণ নির্ভর করে ব্যবহারকারী সে কোন বিষয়টা গ্রহণ করছে। কারণ এখানে সবকিছুই মুক্ত ।সে চাইলে খারাপ বিষয়টা গ্রহণ করতে পারে, সে চাইলে খারাপ বিষয়টা বর্জন করতে পারে ।
বিশ্বের সব কিছু উন্নত হওয়ার সাথে সেক্সচুয়াল বিষয়গুলো একদম উন্মুক্ত হয়ে যায়। এখনকার ছোট ছেলেমেয়ে থেকে শুরু করে সবাই এই বিষয়ে অবগত । একটি তৃতীয় ৫ম শ্রেণীর ছাত্রছাত্রী এই বিষয়ে সবকিছুই জানে ।তাতে তারা নানারকম ভুল কাজে স্বীকার হচ্ছে। আমি মনে করি বর্তমান সময়ে মেয়েরা কোথাও নিরাপদ নয়। সে বলুন ভাইয়ের কাছে, কিংবা বাবার কাছে, কিংবা অন্য কারো কাছে।
কিছুদিন আগে একটি ঘটনা সত্যি আমাকে খুব নাড়া দিয়েছে, অষ্টম শ্রেণী পড়ুয়া দুই মামাতো - ফুফাতো ভাই বোনের কর্মকাণ্ড দেখে সত্যি আমি অবাক হয়ে যাই। তাদের বাবা-মা অনেক শিক্ষিত ,তারা ভালো প্রতিষ্ঠানে পড়াশোনা করে কিন্তু তাদের মন মানসিকতা এতটা খারাপ দেখলে বোঝা যায় না।
![]() |
---|
Source |
আর কি বলব এখনকার প্রেমিক প্রেমিকা মানেই তো মনের মিল নয় দেহের মিল। ভালোবেসে বিয়ে করার অপেক্ষা করতে হয় না তার আগে তাকে সব দিতে হবে । পুরনো দিনের ভালোবাসার মানে ছিল মনের মিল, তার একটি চিঠি পাওয়ার জন্য মন আকুল হয়ে থাকত। তাকে কখনো দেখা কিংবা হাত ধরার জন্য মন আকূল হতো না। চন্ডীদাস ১২ বছর অপেক্ষা করেছিলাম রজকিনির জন্য ।
আমি বিশ্বাস করি বিশ্বের সাথে তাল মিলিয়ে চলতে হলে অবশ্যই উন্নতি দরকার। চিকিৎসা ক্ষেত্রে হোক ,শিক্ষা ক্ষেত্রে হোক, সকল ক্ষেত্রে উন্নত দরকার কিন্তু সেই উন্নতি যেন পরিবেশের বাধা হয়ে না দাঁড়ায়, পরিবারের জন্য কোন হুমকি নিয়ে না আসে সে গুলো নজর রাখতে হবে। সব জিনিসের ভালো দিক এবং মন্দ দিক দুটোই থাকবে, সেক্ষেত্রে আমরা ভাল দিক গ্রহণ করব এবং মন্দ বিষয় বর্জন করব ।
নতুন নতুন আবিষ্কারের ফলে মানুষের যেমন সময় বাঁচিয়ে দিয়েছে, তেমনি অর্থ বাঁচিয়ে দিয়েছে। এই ধরা যাক, আগেরদিনে বরিশাল থেকে ঢাকা আসতে পুরো একটা দিন লেগে যেত , এখন মাত্র তিন ঘন্টা সময় বরিশাল থেকে ঢাকা চলে আসা যায়। চাইলে আপনি যদি আকাশপথে আসেন তবে মাত্র ৪৫ মিনিট সময় লাগবে ।
তবে চিকিৎসা ক্ষেত্রেও অনেক উন্নতি হয়েছে । বর্তমান সময়ে মাতৃ মৃত্যুর হার অনেক কমে এসেছে তাই সকল কিছু উন্নতির পাশাপাশি আমাদের এই বিষয়ে লক্ষ রাখতে হবে আমাদের এই উন্নতি যেন আমাদের পরিবেশ, আমাদের সমাজ, আমাদের পরিবার কারো কোন ক্ষতি না করে। আজ এখানেই বিদায় নিচ্ছি ভালো থাকুন, সুস্থ থাকুন ও পরিবারকে ভালোবাসুন।
Saludos apreciada amiga. Gusto en leerte. Ciertamente los valores familiares y la solidaridad entre sus miembros, se han venido a menos pero es justamente porque se ha flexibilizado el tema familiar, así mismo el hecho de que ahora los alimentos vengan adulterados responde a un falta de valores que antes existían. Pero debemos procurar mantener esos valores y así rescatar algo de lo perdido. Te deseo éxitos y bendiciones