Contest of January by @sduttaskitchen| My locality in five pictures.
![]() |
---|
Made by Canva |
Hello,
Everyone.
![]() |
---|
এই আকর্ষণীয় প্রতিযোগিতায় আমি খুবই আনন্দের সাথে অংশগ্রহণ করছি এবং সাথে আমার বন্ধুদের @elsembradoran ,@ selina1 ও@carlos7magnat কেও এই আকর্ষণীয় প্রতিযোগিতায় অংশগ্রহণ করার জন্য আমন্ত্রণ জানাচ্ছি।
✅ কেন আপনার এলাকা আপনার কাছে মূল্যবান? |
---|
জ্ঞানী জনেরা বলে গেছেন ,” জননী জন্মভূমিশ্চ স্বর্গাদপি গরীয়সী” ।সত্যিই সৃষ্টিকর্তার কাছে অশেষ কৃতজ্ঞ তিনি আমাকে একটি স্বাধীন দেশে জন্ম গ্রহণ করার সুযোগ দিয়েছে। সবুজ শ্যামলে ঘেরা আমার এই দেশ ” বাংলাদেশ “।এখানকার বেশিরভাগ মানুষই গ্রামাঞ্চলে বসবাস করে এবং তার ভিতরে ৮০% মানুষের প্রধান পেশা হলো কৃষিকাজ ।বাংলার সবুজ ধানের ক্ষেত ।সূর্য উদয় এবং সূর্যাস্তের অপরূপ দৃশ্য আমরা কুয়াকাটা সমুদ্র সৈকত থেকে দেখতে পাই। আমার কাছেও আমার জন্মভূমি, আমার গ্রামের বাড়ি সব থেকে শ্রেষ্ঠ ।আমি বরিশালের মেয়ে ।
নদীর তীর ঘেসেগড়ে উঠেছে বরিশাল জেলা। সেই জেলার ছোট একটি ইউনিয়ন ”ফুলঝুরি”যা আমার গ্রামের বাড়ি । আমাদের গ্রামের নামের সাথে আমার গ্রামের প্রকৃতির অনেক মিল রয়েছে। এই গ্রামটা মনে হয় যেন সবুজ , হলুদ রঙে সাজানো ।আমার বাবা ,চাচা এদের সবারই বড় হয়ে ওঠা আমাদের গ্রামের বাড়িতে। কিন্তু বাবা যেহেতু সরকারি চাকরি করতেন তাই আমাদেরকে গ্রামের বাড়িতে থাকার সৌভাগ্য হয়ে ওঠেনি ।বাবার সাথে সাথে বিভিন্ন জেলাতে আমাদের থাকতে হয়েছিল । কিন্তু আমি আমার গ্রামকে এখনো ভালোবাসি ।আমাদের হয়তোবা অতটা বাড়িতে যাওয়া হয় না ।
প্রতি জেলায় আমরা তিন থেকে চার বছর করে থাকার সুযোগ পায় তাই সেই এলাকার লোকজনই আমাদের কাছে খুব আপন হয়ে যায় ।এলাকার প্রতিটি মানুষই হয় আমাদের আত্মীয়-স্বজন ,বন্ধু-বান্ধব ।যে এলাকায় আমরা যাই না কেন সেখানে পরিচিত হতে আমাদের বেশি একটা সময় লাগে না ।সে অল্প কয়দিনের ভিতরে সবাই আমাদের আপন করে নেয় ।আমাদের সুখে দুখে সব সময় তারা এগিয়ে আসে । মনে করি ,আমি বর্তমানে যে এলাকায় থাকি সেই এলাকার লোকজন হলো আমার আপনজন ।
✅ আপনার এলাকার বিভিন্ন স্থানের অন্তত পাঁচটি আসল ছবি শেয়ার করুন এবং আমাদের সাথে পরিচয় করিয়ে দিন। |
---|
আর্মি বাবুর চাকরির সূত্রে আমাদের বিভিন্ন বিভাগীয় শহরে ঘুরতে হয়। সৃষ্টিকর্তার অশেষ কৃপায় আমাদের নিজ জেলা বরিশাল আসার সুযোগ হল। আমরা বরিশাল জেলাতে আছি ।এখানে প্রায় ৬ বছরের মতো হলেও আমরা এসেছি ।এই এলাকা অনেক সুন্দর । এই এলাকাটা এতই ভালো লেগেছে যার জন্য আমার এখান থেকে যেতে ইচ্ছে করেনা। আর্মি বাবুর এরি মধ্যে অন্যত্র পোস্টিং হয়ে গেল কিন্তু আমার এখানটা এতো ভালো লাগলো যার জন্য আমি আর যাইনি। ”মাতৃ ইউনিট” বলে একটা কথা আছে। শিকরের টানে হয়তোবা আমি এখানে থেকে গেছি।
![]() |
---|
১ম |
---|
এটি আমার বাবার বাড়ি এবং শ্বশুরবাড়ি থেকে অনেক কাছে বিদায় আমি এখানে থেকে গেলাম । এই শহরটি খুবই ছোট কিন্তু অনেক উন্নত । এই শহরে বরিশাল বিশ্ববিদ্যালয়ে আছে , সুনামধন্য ব্রজমোহন কলেজ আছে , ভালো ভালো শিক্ষা প্রতিষ্ঠান আছে , শিল্পকলা একাডেমী আছে ,এখানে মেডিকেল কলেজ ও হাসপাতাল আছে ।আপনি সকল সুযোগ-সুবিধা পেয়ে যাবেন
![]() | ![]() |
---|
২য় |
---|
এই কলোনির শুরুতেই একটি মন্দির আছে ।যেখানে প্রতি রবিবার এবং বৃহস্পতিবার পুজো হয় ।এছাড়া এই মন্দিরে নিত্য পূজা হয়ে থাকে । যেহেতু এটি শীতলা মায়ের মন্দির তাই এখানে রবিবার এবং বুধবারে ভোগ দেওয়া হয় ।যেদিন থেকে আমরা এই এলাকায় এসেছি তার কিছুদিন পর থেকেই যেন সবাই আমাদের আপন হয়ে গেছে । যে কোন প্রোগ্রাম হোক সবাই মিলেমিশে তা উদযাপন করে থাকে।
![]() | ![]() |
---|
৩য় |
---|
একটি সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয় ও একটি কিন্ডার গার্টেন স্কুল আছে । সকাল আটটা থেকে স্কুল শুরু হওয়ার সঙ্গে সঙ্গে বাচ্চাদের সেই কোলাহল মুহূর্ত গুলো অনেক ভালো লাগে। এখানে হিন্দু-মুসলিম সবাই আমরা একত্রে থাকি যেমন সকাল বেলা মসজিদ থেকে আজানের ধ্বনি শোনা যায় তেমনি মন্দির থেকেও ঘন্টার আওয়াজ শোনা যায় ।
আর্মি বাবুর চাকরির সূত্রে আমরা বিভিন্ন জেলাতে ঘুরেছি কিন্তু এই এলাকাটা আমার অনেক ভালো লেগেছে ।এখানে প্রতিটা মানসিক খুবই আন্তরিক।
![]() |
---|
৪র্থ |
---|
ছবিটি হল মুক্তিযুদ্ধ পার্কের। এটি কীর্তনখোলা নদীর তীরে গড়ে উঠেছে। বিকেল বেলা নদীর সে মুক্ত বাতাস সত্যি মনটাকে ভরিয়ে দেয় ।আমি এবং আর্মি বাবু প্রায় সময় পেলে বিকেল বেলা এখানে হাটতে যাই ।সত্যি তখন আসলে মনটা রিফ্রেস হয়ে যায় । এই কীর্তনখোলা নিয়ে অনেক গান ,কবিতা ,গল্পো রয়েছে।
![]() | ![]() |
---|
৫ম |
---|
ছবিটি আমাদের গ্রামের বাড়ির মেঠো পথ ও সামনেই মসজিদ ।ওখানে একটি মাদ্রাসাও আছে ওখানে অনেক এতিম ছেলে মেয়ে পড়াশোনা করে। গ্রামের সৌন্দর্য খুব কাছে থেকে বেশি দিন দেখার সৌভাগ্য আমার হয়নি।
গ্রামের মেঠো পথ ছাগলছানা খেলা করে সত্যি অপরুপ সেই সৌন্দর্য । ঘাট বাঁধানো পুকুরে স্নান করা সে অন্য রকমের আনন্দ থাকে ।আমি এখনো শ্বশুর বাড়িতে গেলে মাঝে মাঝে সেই ঘাট বাঁধানো পুকুরে স্নান করতে যাই।
✅ আপনি কি বিশ্বাস করেন যে একটি জায়গা আমাদের হৃদয়ের কাছাকাছি হয়ে যায় যখন আমরা সেখানে বছরের পর বছর থাকি? আপনার উত্তর বর্ণনা করুন। |
---|
হ্যাঁ আমি বিশ্বাস করি যে একটি জায়গায় বেশি দিন থাকলে সেই জায়গা আমাদের হৃদয়ের কাছাকাছি হয়ে যায় ।
কারণ:
আমি এই বরিশাল জেলাতে এসেছি ২০১৮ সালে ।আর্মির বাবুর পোস্টিং হলেও আমি এখনো এই এলাকাতেই আছি কারন এই এলাকা আমার খুবই ভালো লেগেছে ।এই শহরটি অনেক ছোট হলোও অনেক পরিপার্টি। সবকিছুই আমার হাতে নাগালে পাওয়া যায় । সেজন্য আমি আর্মি বাবুর সাথে তার নতুন কর্মস্থলে এখনো যায়নি।
আমরা যেখানে থাকি সেই এলাকার প্রতিবেশী হল আমাদের আপনজন। হয়তোবা তাদের সাথে আমাদের রক্তের কোন সম্পর্ক নেই কিন্তু আমাদের কোন সমস্যা হলে বা আমাদের বিপদে-আপদে তারাই কিন্তু প্রথম এগিয়ে আসবে ।তাই আমি যখন যে এলাকাতে থাকি সেই এলাকাটি আপন করে নেয়ার চেষ্টা করি ।
নিজ এলাকা নিয়ে যতই লিখি না কেন এই লেখা যেন শেষ হয় না ।আমিও চেষ্টা করেছি সকল প্রশ্নের সঠিক উত্তর দিতে ।সবার জন্য রইল শুভকামনা ।আজ এখানেই বিদায় নিচ্ছি ।
https://twitter.com/muktaseo/status/1746873063034204206
Upvoted. Thank You for sending some of your rewards to @null. It will make Steem stronger.
Thank you.
Your post has been successfully curated by @kouba01 at 35%.
Thanks for setting your post to 25% for @null.
We invite you to continue publishing quality content. In this way you could have the option of being selected in the weekly Top of our curation team.
@kouba01 Sir,
আমাকে সমর্থন দেওয়ার জন্য আপনাকে অসংখ্য ধন্যবাদ । আপনাদের সমর্থন আমার কাজের উৎসব বাড়িয়ে দেয়। আশা করি ,আপনাদের এই সমর্থন নিয়ে আমি ভবিষ্যতে আরো ভালো কাজ উপহার দিতে পারব।
আপনার মতো আমিও গর্ব করি আমিও একজন বাংলাদেশী আসলে বাংলাদেশে যে প্রাকৃতিক সৌন্দর্য আছে তা দেখলে প্রত্যেকটা মানুষের কাছে ভালো লাগে, এবং নিজের জন্মভূমির কথা আমরা কখনো ভুলতে পারবো না তাই আমরা যতই দূরে চলে আসি না কেনো আমাদের জীবনে আমাদের জন্মভূমির কথা ঠিক মনে পড়বে। যাইহোক আজকের এই প্রতিযোগিতার মাধ্যমে আপনার এলাকার বিভিন্ন স্থানের সাথে পরিচিত হতে পারলাম যা দেখে আমি সত্যিই অনেক আনন্দিত।
জন্মভূমি আমাদের মায়ের মত। তাই আমরা যেমন মাকে ভুলতে পারি না তেমনি আমাদের জন্মস্থানকে ভুলতে পারি না ।সত্যি দিদির প্রতিযোগিতার বিষয়গুলো খুবই সুন্দর থাকে ।যা আমাদের জীবনের সাথে মিলে যাচ্ছে ।তার এই প্রতিযোগিতা অংশগ্রহণ করার মাধ্যমে আমাদের সেই পুরনো স্মৃতিগুলো মনে পড়ে যায় ।আপনাকে অসংখ্য ধন্যবাদ সুন্দর একটি মন্তব্য করার জন্য।
প্রথমেই আপনাকে এই প্রতিযোগিতায় অংশগ্রহণ করার জন্য অভিনন্দন ও শুভেচ্ছা জানাই। আপনার এলাকায় মন্দিরসহ এবং বিশ্ববিদ্যালয় সহ অনেক কিছু হয়েছে যেগুলো আপনি খুব সুন্দর ভাবে আমাদের মাঝে উপস্থাপন করেছেন। কিন্তু দুঃখের বিষয় আপনার হাসব্যান্ড সরকারি চাকরি করার কারণে বিভিন্ন জায়গায় আপনাদের পোস্টিং হয়ে থাকে। আসলে চাকরি হলে এরকম পোস্টিং হয়ে থাকে ।
প্রথমেই আপনাকে প্রতিযোগিতা অংশগ্রহণ করার জন্য অসংখ্য ধন্যবাদ জানাই এবং আপনার মূল্যবান মতামতকে শেয়ার করার জন্য,,
আপনি আপনার এলাকার পাঁচটি ছবি শেয়ার করেছেন, সত্যিই এ গুলো সম্ভব সুন্দর এবং এ সম্পর্কে অনেক সুন্দর তথ্য আমাদের সাথে শেয়ার করেছেন যার মাধ্যমে আপনার এলাকার বিভিন্ন তথ্য সম্পর্কে জানতে পেরেছি
আপনার প্রতিযোগিতাটা শুভ হোক সেই প্রার্থনায় করছে,,
আপনার মূল্যবান সময় দিয়ে আমার পোস্টটি পড়েছেন এবং সুন্দর একটি মন্তব্য করেছেন সেজন্য আপনাকে অসংখ্য ধন্যবাদ ।সত্যি প্রতিযোগিতার বিষয়টি ছিল অনেক সুন্দর । এই বিষয়ে প্রতিটি প্রশ্ন উত্তরের মাধ্যমে আমরা আমাদের এলাকার সম্বন্ধে আবার জানতে পারলাম । আমাদের সব থেকে প্রিয় স্থান হল জন্মভূমি। আমরা যত দূরেই থাকি না কেন জন্মভূমিকে ভুলতে পারিনা ।
প্রথমেই ধনুবাদ জানাই প্রতিযোগিতায় অংশ নেয়ার জন্যে। প্রশ্ন গুলোর উত্তরের পাশাপশি আপনার এলাকার ৫ টি জায়গার সাথে পরিচিত হতে পেরে ভালো লাগছে।
শুভকামনা থাকলো আপনার জন্য।