Better Life with Steem|| The Diary Game||25-04-2025||
![]() |
---|
Hello,
Everyone,
আশা করি সকলেই সৃষ্টিকর্তার আশীর্বাদ নিয়ে ভালো আছেন এবং সুস্থ আছেন ।আমি অনেকদিন পরে আবার আমার দিনলিপি নিয়ে চলে আসলাম । পৃথিবীর সকল সুখ হলো বাবা-মাকে কাছে পেলে। আর বাবা-মাকে যদি কাছে পাওয়া যায় তাহলে তো পুরো দুনিয়াটাই আপনার হাতের মুঠোর ভিতর।
বাংলাদেশ পিতৃতান্ত্রিক পরিবারে হওয়ায় মেয়েরা এই সুখ থেকে অনেক দূরে থাক। বাবা-মা সাধারণত ছেলের সাথে বেশি থাকে ।মেয়েকে বিয়ে দিয়ে শ্বশুরবাড়িতে পাঠিয়ে দেয় ,এটাই বাস্তবতা। মা আমার বাসায় আসলেন তিন সপ্তাহ হলো তাতেই মা বলতেছে , “অনেকদিন হলো আসলাম”। আমি এবার মজার ছলে মাকে বললাম , তিন মাস আমার বাসায় থাকবে, তিন মাস ছোট বোনের বাসায় থাকবে আর দাদার বাসায় বাকি ছয় মাস থাকবে ।এভাবেই কেটে যাবে তোমার বারো মাস। এভাবে হলে মন্দ হতো না ,কি বলেন? যাই হোক মজার ছলে অনেক কথা বললাম।
![]() | ![]() |
---|
ছুটির দিন থাকা সত্ত্বেও আজ সকালে উঠতে হলো, কারন মামনির আজকে কোচিংএ পরীক্ষা ছিল । ঘুম থেকে উঠে ফ্রেশ হয়ে সকাল বেলার প্রাথর্ণা করে নিলাম এবং সরাসরি রান্নাঘরে গেলাম। ওদের জন্য সকালের নাস্তা তৈরি করে দিলাম। আর্মি বাবু মেয়েকে নিয়ে সকাল ৮:৩০ মিনিটে বাসা থেকে বেরিয়ে গেলেন । যেহেতু ছুটির দিন বাসায় অনেক কাজ থাকে , কাজ গুছিয়ে দুপুরে রান্না করতে আসলাম।
![]() |
---|
মা অনেকটাই সুস্থ স্বাভাবিক এখন । মা এখন আমাকে কাজ সাহায্য করতে যাচ্ছে ।আমি বারণ করা সত্ত্বেও সে রান্নাঘরে আসে, আমাকে সবজি কেটে দিতে চায় ।সন্তান যতই বড় হয় না কেন মায়ের কাছে সেই ছোটই থেকে যায় ।আপনি পরিবারে সারাক্ষণ কাজ করবেন তাতে সবাই স্বাভাবিক মনে করবে সেটা । কিন্তু শুধুমাত্র মাই বলবে ,“অনেক কাজ করেছিস, এবার একটু বিশ্রাম কর”।
আজকে দুপুরে রান্নার তালিকায় ছিল ছানার তরকারি, মাটন কষা, পটল ভাজি ও সাদা পোলাও। ছানার বড়া গুলো মা বানিয়ে দিয়েছিল, আমি শুধু রান্না করেছি। মায়ের হাতের রান্না অনেক সুস্বাদু হয়। মা নিজেই রান্না করতেন যদি তার চোখে সমস্যা না থাকতো ।আমার বাবার বাড়ি এবং শ্বশুর বাড়ির সবাই আমার মায়ের হাতে রান্নার প্রশংসা করতেন ।অসুস্থতার জন্য মা এখন রান্না করছেন না।
![]() |
---|
আমাদের রান্নার সময় এখনো মা সবকিছু বলে দেয় ।মাটন রান্না করার আগে মাকে জিজ্ঞাসা করেনেই, সে সবকিছু পরিমন মত দিয়ে দেয়, তারপরে আমরা রান্না করি।
![]() | ![]() |
---|
আর্মিবাবু আসার আগেই আমার রান্না প্রায় শেষ হয়ে এসেছে। প্রচন্ড গরম পরছে ভাবছি ওদের জন্য ঠান্ডা ঠান্ডা তরমুজ এর শরবত করে দেই। তীব্র গরমে তরমুজের শরবত পেয়ে মেয়ে ভীষণ খুশি হল। এই গরমে ঠান্ডা ঠান্ডা এক গ্লাস শরবত সত্যি খুব প্রয়োজন। আমরা সবাই দুপুরে খাবার খেয়ে নিলাম।
![]() |
---|
যেহেতু কাল থেকে আবার ক্লাস আছে বাহিরে যেতে হবে তাই আজকে সবকিছু গুছিয়ে রেখে দিতে হবে। আমার খুব ক্লান্তি লাগছিল তাই ১০ মিনিট বিশ্রাম নিলাম। গোপাল সোনার কিছু পোশাক তৈরি করতে হবে, কিছু বাড়তি কাজ করতে হবে, কাজগুলোর কথা চিন্তা-ভাবনা করছি কিন্তু কাজ গুলো আর করা হচ্ছে না , সময় সে ঠিক চলে যাচ্ছি।
![]() | ![]() |
---|
ওদেরকে বিকেলের নাস্তা দিলাম । আমার অসাবধানতার জন্য আমার চোখ থেকে চশমা পড়ে যায় এবং ভেঙে গেল । চশমা ছাড়া আমি একদমই অসহায়। বই পড়া বলুন কিংবা ল্যাপটপে কাজ করা বলুন ,আমি চশমা ছাড়া করতে পারি না ।মাঝে মাঝে মনে হচ্ছে আমি কি বুড়ি হয়ে গেলাম।
এখন পড়ে থাকা এই চশমাটি আমার এক মেয়ে জামাই শিলিগুড়ি থেকে নিয়ে এসেছিল। ওদের Optical Shop রয়েছে । নতুন চশমায় আমাকে কেমন লাগছে? জানাবেন। সবাই ভালো থাকুন, সুস্থ থাকুন এবং নিজের চোখে যত্ন নিন। চোখ হলো আমাদের মূল্যবান সম্পদ , আমরা যতদিন বেঁচে থাকব ততদিন সুস্থ চোখ দিয়ে এই সুন্দর পৃথিবী দেখতে পারবো ।আমাদের খাদ্যের তালিকায় মলা,ঢেলা,ছোট মাছ ,ভিটামিন এ জাতীয় খাবার রাখতে হবে। আজ এখানেই বিদায় নিচ্ছি ।শুভরাত্রি।
💦💥2️⃣0️⃣2️⃣5️⃣ This is a manual curation from the @tipu Curation Project
@tipu curate
Upvoted 👌 (Mana: 1/8) Get profit votes with @tipU :)
Thank you, sir.