Better Life with Steem|| The Diary Game||20- June-2025||
![]() |
---|
Hello,
Everyone,
আশা করি সকলে ভালো আছেন এবং সুস্থ আছেন । অনেকদিন হলো আমার দিনলিপি লেখা হচ্ছে না ।অনেক কথা জমা পড়ে আছে কিন্তু আপনাদের সাথে শেয়ার করতে পারছি না । এই রাতে লিখতে বসে গেলাম ২০ জুন এর দিনলিপি।
প্রতিটা দিন নতুন কিছু শেখার, নতুন কিছু জানার। প্রতিনিয়ত নতুন নতুন বাস্তব অভিজ্ঞতা যুক্ত হচ্ছে আমাদের জীবনের সাথে। এক সময় ডায়েরি লেখার খুব শখ ছিল এবং ডায়েরি লিখতাম ।একবার মা কিছু একটার জন্য বকা দিয়েছল । গানের ডায়েরিতে মনের কষ্টোগুলো লিখেছিলাম । সেই ডায়েরি একদিন দাদার হাতে পরে। ডায়েরি পড়ে বাবা-মাকে শোনায় আর আমাকে খ্যাপাতে শুরু করে।সেই দিনগুলোর কথা ভেবে আজও হাসি পায়।
![]() | ![]() |
---|
এখন হাতে স্মার্টফোন চলে আসায় আর ডায়েরি লেখা হচ্ছে না ।Youtube ,facebook platform এ অন্যদের দিনলিপি দেখি। আমার দিনলিপি লেখার একমাত্র মাধ্যম হলো ষ্টিমিট প্ল্যাটফর্ম । এখানে আমার সারা দিনের কাজকর্ম গুলো সাজিয়ে রাখতে পারি।
আজ ছিল শুক্রবার ।আজ অফিস ছুটি তাই ঘুম থেকে একটু দেরিতে উঠলাম । সকাল বেলা কোন তাড়াহুড়া ছিল না ।মেয়ের কলেজ বন্ধ ছিল । আর্মি বাবু সকালবেলা উঠতে নিষেধ করেছিলেন । আজ আবার কাজের মাসি আসবে না ।কাজের মাসি শুক্রবার ছুটি নিয়ে থাকেন। ঢাকার শহরে গৃহকর্মীদের অনেক ডিমান্ড থাকে । তাদের সপ্তাহে একদিন ছুটি দিতে হবে ,অতিরিক্ত কাজ করানো যাবে না ,তারা তাদের সময় মত আসবে এরকম অনেক শর্ত দিয়ে থাকে। কিছু করার নেই আমরাও অসহায় তাই তাদের সমস্ত শর্ত মেনে নিতে হচ্ছে ।
![]() | ![]() |
---|
সকাল ৯টায় উঠে ফ্রেশ হয়ে প্রার্থনা করেছি ।সকলের নাস্তা তৈরি করি ।আজকে আমাদের এটি বিয়ে বাড়িতে নিমন্ত্রণ ছিল । মেয়ের বান্ধবীর বিয়ে ছিল ।বিয়ের প্রোগ্রাম হবে দুপুর বেলা ২ঃ০০ টায় চাইনিজ ক্লাবে ।আমি এর আগে মুসলিম মেয়েদের বিয়েতে কখনো যায়নি তবে ছেলেদের বৌভাতে অংশগ্রহণ করেছিলাম ।
এই প্রথম দেখব । আজকের ওকে তুলে নিয়ে যাবে না , শুধুমাত্র রেজিস্ট্রি হবে এবং শরা/কাবিন হবে ।আমি সঠিক বলতে পারছিনা। যাইহোক আমরা সকালের খাবার খেয়ে দুপুর বারোটায় তৈরি হলাম। কিন্তু কি হবে? এত পরিমানে বৃষ্টি শুরু হয়েছে যে বাসা থেকে বের হওয়ার কোন পরিস্থিতি ছিল না ।আমাদের দুপুর ১টায় ওখানে থাকতে বলা হয়েছিল কিন্তু বাসা থেকে বের হতে পারছি না । উবার কল দিয়ে যাব তাও পারছি না কারণ এখানকার রাস্তা কেটে ওয়াশার পানি লাইন নিচ্ছে ।
![]() | ![]() |
---|
রাস্তায় বড় বড় গর্ত করা হয়েছে তাই এখানে উবারের কোন গাড়ি আসতে পারছে না ।এদিকে মেয়ের বান্ধবী বারবার ফোন দিচ্ছে ,আমরা আসবো কখন ? বান্ধবীদের গ্রুপে প্রথম বান্ধবীর বিয়ে । অনেক উৎসাহ নিয়ে সেজেগুজে বসে আছে ।
সুন্দর সেজেগুজে হাতে ছাতা নিয়ে বেরিয়ে পড়লাম কিন্তু কি হবে এত বৃষ্টি ছাতা মানছে না ।বহু কষ্ট করে আমরা মেইন রোডে চলে আসলাম ।ওখান থেকে একটি উবার নিয়ে ক্লাবে চলে আসি। আমাদের পৌঁছানোর পূর্বেই কনে চলে এসেছে এবং বর পক্ষ চলে এসেছে ।
![]() | ![]() |
---|
আজকের কনে হল সুমাইয়া এবং বর হল আসিক। আসিকের পরিবার সুমাইয়াদের পূর্ব পরিচিত। সম্পর্কে ভাবীর খালাতো মামা হয় । সুমাইয়ার মায়ের সাথে অল্পদিনে আমার ভালো বন্ধুত্ব হয়ে যায়। এখন বিয়ে হলেও সুমাইয়া ভাবীদের সাথে থাকবে এবং ২ বছর পরে তুলে নিবে ।পড়াশোনার জন্য মায়ের কাছে থেকে যাবে ।
ভাবী আরেকটি মজার বিষয় বললেন এখন বিয়েতে যা যা খরচ হবে সবই ছেলেপক্ষ বহন করবে। মেয়ের বাবাকে তেমন কিছুই দিতে হবে না। শুধুমাত্র ছেলেকে একটি স্বর্ণের আংটি ও ঘড়ি দিল। এমনকি ছেলেকে কোন বর পোশাক দেয়া হয়নি । অবশ্য ভাইয়া দিতে চেয়েছিল কিন্তু ছেলেপক্ষ এখন নিতে চাচ্ছে না ।তারা ঈদের সময় পোশাক নিবেন । সত্যি ওদের সাথে এবং আমাদের ধর্মের বিয়ের সাথে অনেক পার্থক্য রয়েছে ।
একটি সনাতনী মেয়ের বিয়েতে ৃমেয়ের বাবার অনেক কিছু দিতে হয় ,অনেক টাকা খরচ করতে হয়। এমনকি মেয়েকে স্বর্ণের অলংকার ও অনেক জিনিস দিতে হবে, তার সাথে সাথে ছেলেকে অনেক কিছু দিতে হয় ।আত্মীয়-স্বজন পাড়া-প্রতিবেশীর কথা বাদ দিলাম ।
![]() | ![]() |
---|
যাই হোক যাদের যেটা নিয়ম তারা সেভাবে পালন করছে।ভাবি বলেছেন, যখন ওকে তুলে নেবে তখন তারা মেয়েকেও সাজিয়ে দেবে এবং ছেলেকেও সাজিয়ে দেবে । অনেক ছবি তোলা হলো। কাজী সাহেব আসলেন, এবার ওদের রেজিস্ট্রি হবে কিন্তু এখানে আপত্তি বাজলো, মেয়ের বয়স নিয়ে ।মেয়ের এখনো আইনগতভাবে ১৮ বছর হয়নি। মেয়ের সত্যিকার অর্থে ১৮ বছর হয়েছে । ভাবি এক বছর বষয় জন্ম নিবন্ধনে কমিয়ে দিয়েছিল তাই আইনগতভাবে সে ১৮ বছরে পা দেয়নি।
![]() |
---|
কাজী সাহেব প্রথমে রেজিস্ট্রি করাতে রাজি ছিলেন না কিন্তু তারা পারিবারিকভাবে সবকিছু মীমাংসা করে শেষ পর্যন্ত রেজিস্ট্রি হল। আমরা খাওয়া দাওয়া করলাম ।মালা বদল হলো এটা আমাদের মতই। আমার সবথেকে বেশি যে বিষয় দেখার আগ্রহ ছিল , ”বর-কনে একটি আয়নার ভিতরে দুজন দুজনকে দেখে এবং দুজন দুজনের মনের কথা প্রকাশ করে।
আজ শুক্রবার তাও আর্মি বাবু আমাদের সাথে থাকতে পারছে না ।আর্মি বাবু বারবার বাসায় আসার জন্য খুব তাড়া দিচ্ছিল ।তাই আমাদের চলে আসতে হল ,সেই বিশেষ মুহূর্তটা আর দেখা হলো না । নব দম্পতির জন্য অনেক অনেক দোয়া ও ভালোবাসা রইলো । সুমাইয়া যখন কলেজে যাবে তখন কেউ বুঝতে পারবে না ,বিবাহিত না অবিবাহিত ।সেক্ষেত্রে একটি সনাতনী মেয়েকে দেখলেই বোঝা যায় সেই মেয়েটি বিবাহিত কিনা অবিবাহিত । মেয়েটার শাখা -সিঁদুরে বলে দেয় সে বিবাহিত কিনা ।
![]() |
---|
অনেক নতুন অভিজ্ঞতা পেলাম এখানে থেকে ।খাওয়া দাওয়া শেষে বিয়ের অনুষ্ঠান উদযাপন করছে । আর সনাতন ধর্মেতে মেয়ের বাবা -মা , বর-কনে না খেয়ে বিয়ের অনুষ্ঠানীকতা সম্পন্ন করে।, গায়ে হলুদ অনুষ্ঠান গতরাত্রে করেছিল কিন্তু ওদের বাসা অনেক দূরে থাকায় আমরা রাতের অনুষ্ঠানে অংশগ্রহণ করতে পারিনি ।
খুব কম সময়ে শুভ বিবাহ অনুষ্ঠিত হয়ে গেল ,ভাবতে ভালই লাগলো। ছেলের বাবা নেই মা আছে। তিনিও এসেছেন ,ছেলের ভাবীরা এসেছে ।খুব সুন্দর ভাবে অনুষ্ঠান সম্পূর্ণ হল। তবে আমরা শেষ পর্যন্ত না থেকে বাসায় চলে আসি ।সকালে নব দম্পতির জন্য অনেক অনেক দোয়া ও আশীর্বাদ করবেন। আজ এখানে বিদায় নিচ্ছি ।শুভ রাত্রি।
@tipu curate
Upvoted 👌 (Mana: 0/9) Get profit votes with @tipU :)
Your post has been supported by the TEAM FORESIGHT. We support quality posts, good comments anywhere, and any tags
আমাকে সমর্থন দেওয়ার জন্য আপনাদেরকে অসংখ্য ধন্যবাদ। ধন্যবাদ শ্রদ্ধেয় স্যার @edgargonzalez