Better Life with Steem|| The Diary Game||19-04-2025||
Hello,
Everyone,
![]() |
---|
আশা করি সকলে ভালো আছেন এবং সুস্থ আছেন ।আমার এই প্রিয় প্ল্যাটফর্মে নিয়মিত কাজ করতে পারছি না ভেবেই খুব লাগছে। কি করবো ? পরিস্থিতি ও সময় সবকিছু যেন এলোমেলো হয়ে যাচ্ছে ।প্রতিদিনের মতো আজও সকাল ৫.৩০ মিনিটে ঘুম থেকে উঠলাম ।উঠে ফ্রেশ হয়ে সকালের নাস্তা তৈরি করি। মাকে নিয়ে ছাদে গেলাম যেহেতু ডায়াবেটিসের রোগী তাই মাকে প্রতিদিনই কিছু সময় হাটা প্রয়োজন । সে একদমই যেতে চায় না , তাকে বাচ্চাদের মতই জোর করে নিয়ে যেতে হয় ।
আমার ২০ মিনিট পরে বাসায় চলে আসি । মাকে insulin দিয়ে ওদেরকে সকালের খাবার দিয়েছি। আজ মামনির ক্লাস ছিল না কিন্তু কোচিং আছে । প্রথমে ভেবেছিলাম আর্মি বাবু মেয়েকে কোচিংএ নিয়ে যাবে কিন্তু তার হঠাৎ অফিস থেকে ফোন আসায় তিনি অফিসে চলে গেলেন। কি আর করা ! আমার মেয়েকে নিয়ে ছুটতে হবে তাই ঝটপট সমস্ত কাজগুলো সেরে, স্নান করে , প্রার্থনা করে নিলাম। মেয়েকে খাবার দিলাম, মাকে স্নান করিয়ে দিলাম, মায়ের চোখে ড্রপ দিলাম এবং খাবার দিলাম। আমিও অল্প কিছু খেয়ে নিলাম।
আজকাল কোন কিছুই যেন শান্তভাবে হচ্ছে না বা পাওয়া যাচ্ছে না। কোঠা আন্দোলন নিয়ে বাংলাদেশে শুরু হওয়া সেই পরিস্থিতি এখনও স্বাভাবিক হয়নি। সাধারণ জনগণ এখনো স্বস্তি পাচ্ছে না।
![]() | ![]() |
---|---|
![]() | ![]() |
রাস্তাঘাট বন্ধ করে এখনও আন্দোলন, অবরোধ এ যেন ঢাকা শহরে প্রতিদিনের ঘটনা । এমন কিছু কিছু সমস্যা যা বলে শেষ করা যায় না ।তার সাথে প্রতিদিন যুক্ত হচ্ছে এই ছাত্রদের আন্দোলন, এই শ্রমিকদের আন্দোলন ।
বাহিরে বের হলে হাতে প্রচুর সময় নিয়ে বের হতে হয়। ক্যান্টনমেন্ট এরিয়াতে চলাফেরা করতে স্বস্তি পাওয়া যায় ।মনে হচ্ছে যেন, সেনানিবাসে ঢোকার মেইন গেটের এপারের আবহাওয়া একরকম থাকে এবং অপর পাশে আবহাওয়া অন্যরকম থাকে ।
আমাদের ক্লাস ছিল এক দুপুরে ১টা কিন্তু রাস্তার কথা চিন্তা করে আমরা বাসা থেকে সাড়ে ১১ টায় বের হয়েছি । শনিবার ছুটির দিন হওয়া সত্ত্বেও প্রচুর যানজট ছিল ।এই গরমে জ্যামের ভিতরে বসে থাকা সত্যিই অনেক কঠিন ।ইদানিং জ্যামে বসে থাকলে আরো ভয় লাগে, কখন কোথা থেকে ছিনতাইকারী এসে ব্যাগ নিয়ে যায় কিংবা কানের দুল টেনে নিয়ে যায় ।
আজকাল এরকম ঘটনা প্রায় হয়ে থাকে, আজ আমার চোখের সামনে এমন একটি ঘটনা দেখার জন্য প্রস্তুত ছিলাম না ।প্রায় ২০ মিনিটের মত জ্যাম ছিল। দেখলাম আমাদের গাড়ির বাম পাশে একটি রিক্সা দাঁড়ানো ছিল ,তাতে বাচ্চা নিয়ে মধ্য বয়সী ভদ্র মহিলা ছিলেন । সিগনাল পড়লেই বিভিন্ন রকম হকাররা তাদের জিনিসপত্র বিক্রি করতে আসে।
![]() | ![]() |
---|
তেমন দুজন হকার রিক্সার সামনে দাড়িয়ে ছিল আর পিছনের আরো দুটি ছেলে এসে ধারালো ছুরি দেখিয়ে নারীর ব্যাগ নিয়ে চলে গেল । সিগন্যাল উঠে গেল এবং গাড়ি চলতে শুরু করল সেই নারী ভয়ে কিছুই বলতে পারল না । তার পড়া স্বর্ণালংকার গুলো সে নিজেই খুলে দিল । সাধারণ জনগণ দেখেও কিছু বলতে পারলো না । ওরা দ্রুত ওখান থেকে চলে গেলো ।
আজকাল বাহিরে বের হলে নিজেকে খুবই অসহায় মনে হয় এই ভেবে যে ,বাসায় নিরাপদ ভাবে পৌঁছতে পারবো কিনা । আজকাল রাস্তায় চলাফেরা করার সময় খুবই সতর্কতার সাথে চলতে হবে ,কোন দামি অলংকার না পড়াই ভালো এবং বেশি টাকা ব্যাগে না রাখাই ভালো, যথা সম্ভব দামি ফোন সঙ্গে রাখাই ভালো।
প্রধান উপদেষ্টার সহ আইন-শৃঙ্খলা বাহিনীর সকলেই চেষ্টা করছেন সবকিছু আবার আগের মত স্বাভাবিক করে নেওয়া জন্য ।আমরা সাধারণ জনগণ সেই অপেক্ষায় আছি । কবে থেকে আবার স্বাভাবিকভাবে চলতে পারবে ।
কোচিং শেষে আমরা বাসায় চলে আসি ।আসার ফার্মেসি থেকে মায়ের কিছু ওষুধ নিলাম । ডায়াবেটিসের রোগীদের একবার যদি ইনসুলিন দেওয়া শুরু করে তবে সব সময় দিতে হয়। সকাল ও বিকেল বেলা দুবার নিতে হয় । আগের দিনের মানুষ অনেক বছর বেঁচে থাকতেন এবং সুস্থ থাকবেন। তখনকার খাওয়া-দাওয়া সবকিছুই ভালো ছিল। তারা সবকিছু টাটকা পেয়েছেন ।এখনকার সময় মানুষ অল্প বয়সে বুড়ি হয়ে যাচ্ছে এবং নানা রোগে আক্রান্ত হচ্ছে ।
আমার বাবা- মা একটু একটু করে নরম হয়ে যাচ্ছেন । বাবা মা আমাদের বড় করার জন্য অনেক কষ্ট করেছেন আর এই শেষ বয়সে এসে তার একটু ভালো থাকবেন ,সুস্থ থাকবেন এটাই আমরা আশা করি।পৃথিবীর সকল বাবা-মা ভালো থাকুক, সুস্থ থাকুন ।আজ এখানেই বিদায় নিচ্ছি ।
Curated by: @fombae
Thank you, Sir.@fombae