Better Life with Steem|| The Diary Game||14-04-2025|| শুভ নববর্ষ ১৪৩২||
![]() |
---|
Made by Canva |
Hello,
Everyone,
আজ রাত পেরিয়ে কাল নতুন ভোরের সূর্য উঠবে, তার সাথে সাথে নতুন একটি বছরের শুরু হবে। আমাদের জীবন থেকে এভাবে এক একটা দিন চলে যাচ্ছে ,এক একটা রাত চলে যাচ্ছে, যাচ্ছে পুরনো বছরগুলো। সেই পুরনো বছরে কি পেলাম বা কি পেলাম না তার হিসাব নাই বা করলাম ।
সবার মত আমিও চাইবো ,নতুন বছরের দিনগুলোতে যেন সৃষ্টিকর্তা সকলকে ভালো রাখুক এবং সুস্থ রাখুক। সবাইকে শুভ নববর্ষের শুভেচ্ছা রইল ।আজ ১৪ই এপ্রিল চৈত্র সংক্রান্তি তার সাথে সাথে আজ পহেলা বৈশাখ পালন করা হচ্ছে বাংলাদেশে ।কিন্তু দীনপঞ্জিকা অনুসারে ১৫ ই এপ্রিল নতুন বছর শুরু হবে।১৪৩১ সালে বছরগুলোতে অনেক কিছু হারিয়েছি আবার অনেক কিছু পেয়েছি। অনেক মানুষকে নতুনভাবে চিনিয়েছিল শিখেছি ।সেই কথাগুলো আজ নাই বা বললাম ।
![]() | ![]() |
---|
আজ খুব সকাল পাঁচটায় ঘুম থেকে উঠলাম ।মাকে ২ ঘণ্টা পরপর চোখে ড্রপ দিতে হয়।রাত তিনটায় একবার দিলাম আবার পাঁচটার সময় দিতে হবে।সকাল ৫টার পরে আর ঘুম আসছিল না । উঠে ফ্রেশ হয়ে কিছু কাজ গুছিয়ে নিলাম যেহেতু আজকে চৈত্র সংক্রান্তি আছে । হিন্দু রীতি মতে আজ গৃহে পুজো থাকে, গঙ্গা পূজা করতে হয়, আম ভাষাতে হয়। গঙ্গা মাকে না দিয়ে আমরা এখনো আম খাইনি।
তবে মার্কেটে অনেক আগ থেকেই কাঁচা / পাকা সব ধরনের আম পাওয়া যাচ্ছে। ছোটবেলা থেকেই দেখে এসেছি চৈত্র সংক্রান্তিতে গঙ্গা পূজা দিয়ে আম ভাষিয়ে তারপরে আম খাওয়া হতো। আর এই দিনে বিভিন্ন শাক রান্না করা হয়, আম দিয়ে টক রান্না করা হয়। আমি এত কিছু তো আজকে করতে পারলাম না ।গপু সোনার কাছে চিড়া ,দই , মুড়ি ,মিষ্টি এবং কিছু ফল দিয়ে ভোগ নিবেদন করলাম । গপুসোণার জন্য গতকাল রাতে একটি নতুন পোশাক তৈরি করেছিলাম ।সেই পোশাকটি আজ গপু সোনাকে পড়ালাম।
![]() | ![]() |
---|
এই প্রথম বছর, আমি গঙ্গা পূজা করতে পারিনি। রাজধানী ঢাকা শহরে আসার পরে সবকিছু যেন আমার হাতের বাহিরে চলে যাচ্ছে। কোন কিছু যেন সঠিক ভাবে করতে পারছি না ।আর ঘড়ির কাঁটা ! সে তো মনে হচ্ছে যেন অনেক দ্রুত দৌড়াচ্ছে ।তার সাথে সাথে আমি চলতে পারছি না।
আজ বাংলাদেশে পহেলা বৈশাখ উদযাপন করা হচ্ছে । বাঙ্গালীরা সকলে পান্তা ইলিশ খাচ্ছে। আজ আর্মিবাবুর অফিসেও বর্ষবরন মেলার আয়োজন করা হয়েছে এবং পান্তা ইলিশ এর ব্যবস্থা করা হয়েছে। তার সাথে সাথে মেয়ের কলেজে প্রোগ্রাম রয়েছে ,সেখানেও যেতে হবে ।মা অসুস্থ তাই কি করবো ভেবে পাচ্ছিলাম না ।
প্রার্থনা শেষ করে আমি ইলিশ মাছ ভাজলাম ,আলু সিদ্ধ করলাম, বেগুন ভেজে নিলাম। পান্তা ভাত সে তো গতকাল রাতে করে রেখেছিলাম । মেয়ের কলেজের প্রথম নববর্ষ তাই ভাবছি আমরা কলেজে যাব । মা মেয়ে ঝটপট তৈরি হয়ে সকাল ৯ঃ০০ টার সময় কলেজের উদ্দেশ্যে বেরিয়ে পড়ি ।আর্মি বাবু বর্ষবরণ অনুষ্ঠানে কিছু সময় অফিসে ছিলেন তারপরে বাসায় চলে আসেন। সে সারাদিন বাসায় ছিলেন এবং মায়ের প্রতি লক্ষ্য রেখে ছিলেন। সত্যি আমি আবারো বলছি ,তার এই বিষয়গুলো আমার খুবই ভালো লাগে ।তিনি আমার বাবা-মাকে অনেক শ্রদ্ধা করেন ।
![]() | ![]() |
---|
ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়, রমনা ,শাহাবাগ বিশাল শোভাযাত্রা বের হয়েছিল ,অনেক কিছু আয়োজন ছিল । কিন্তু আমরা শুধু কলেজের ক্যাম্পাসের ভিতরে ছিলাম । ছোট পরিসরে বর্ষবরণ অনুষ্ঠান উদযাপন হয়েছিল । যেহেতু বর্তমান পরিস্থিতি ততটা ভালো না তাই সবাই নিরাপদ থাকার চেষ্টা করছে।
তবে এই নববর্ষ উদযাপন আমরা ছোটবেলায় যতটা আনন্দ পেতাম তা মনে হচ্ছে, আমাদের সন্তানরা ততটা পাচ্ছে। এখন হয়তো লাল-সাদা শাড়ি পরা হচ্ছে, সাজুগুজু করা হচ্ছে , হাতে স্মার্টফোন নিয়ে শুধু সেলফি আর সেলফি তোলা হচ্ছে ।তখনকার সময় আমরা সাদা-লাল শাড়ি পরতাম ।
![]() |
---|
গুরুজনকে প্রণাম করে বাসা থেকে বের হতাম এবং প্রনামি পেতাম। আমার বাবা ব্যাংক থেকে নতুন ১০ টাকার নোট নিয়ে আসতো এবং সবাইকে একটি করে নোট দিতো। সকালবেলা বর্ষবরনের রেলিতে বের হতাম ,সবার কন্ঠে একই গান থাকতো ”এসো হে বৈশাখ এসো এসো”।
![]() |
---|
বিকেল বেলা মেলা হত ,সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান হতো, সেগুলো খুব সুন্দর উদযাপন করতাম। তখন এত সেলফি তোলা হতো না কিন্তু বান্ধবীদের সাথে দল বেধে ঘুরে বেড়াতাম। মেলা থেকে নতুন নতুন খেলনা কিনতাম। কে কত টাকা প্রণামী পেয়েছি তা হিসাব করতাম ।আমরা উদিচী সংগঠনের সাথে যুক্ত ছিলাম। পহেলা বৈশাখের প্রোগ্রাম উদিচী খুব ধুমধাম করে উদযাপন করত।
মনে পড়ছে, যখন আমি সপ্তম শ্রেণিতে পড়ি তখন এমন এক দিনে প্রথম একটি গোলাপ পেয়েছিলাম, তার সাথে একটি ছোট্ট চিরকুট ছিল। অনেক ভয় পেয়েছিলাম । এক সিনিয়র দাদার হাতে লেখা ভালোবাসার একটি চিঠি। সঙ্গে সঙ্গে আমাদের গানের শিক্ষকের হাতে সেই চিঠিটি দিয়ে দিয়েছিলাম। তিনি দাদাকে অনেক বকেছিলেন। সেই দিনগুলোর কথা মনে পড়লে আজও হাসি পাচ্ছে ।
আমরা প্রোগ্রাম শেষে কলেজ ক্যান্টিনে সকল শিক্ষক ,অভিভাবক এবং শিক্ষার্থীরা পান্তা ইলিশ খেয়েছিলাম । কিছু সময় খেকে বাসায় চলে আসি। আর্মি বাবু খুব সুন্দর মাকে দুপুরবেলার খাবার দিল, নিজে খেয়ে নিল। আবার অনেকটা কাজ কমিয়ে দিয়েছে। অনেকে ক্লান্ত ছিলাম তাই কিছুটা সময় বিশ্রাম নিলাম এবং অনেকদিন পরে আজ সন্ধ্যায় আমাদের কমিউনিটির টিউটোরিয়াল ক্লাসের যুক্ত হতে পেরেছিলাম ।
![]() | ![]() |
---|---|
ক্লাস চলাকালীন স্কিনশট দিয়ে নেয়া ছবি |
আমি অজুহাত দিব না , এই প্রিয় প্ল্যাটফর্মে আমি নিয়মিত কাজ করতে পারছি না তাই আমারই খুব খারাপ লাগছে । আমি জানিনা কবে থেকে আবার সেই প্রথম দিকের মত কাজ করতে পারবো। সৃষ্টিকর্তার কাছে প্রার্থনা করি, আমি যেভাবে সংসার সামলাচ্ছি তেমনি যেন এই প্লাটফর্মে যুক্ত থাকতে পারি, আমাকে শারীরিক এবং মানসিকভাবে সুস্থ রাখুক। এখান থেকে আমি আমার সফলতা অর্জন করতে পারি। নিজের একটি পরিচয় গড়ে তুলতে পারি।সবার নতুন বছর ভালো কাটুক ,সুস্থ কাটুক সেই কামনা রেখে আজ বিদায় নিচ্ছি। শুভরাত্রি
Hello @muktaseo! 👋
Congratulations! This post has been upvoted through @steemcurator08. We support quality posts, good comments anywhere, and any tags.
Curated by @mohammadfaisal
Thank you,Sir @mohammadfaisal.