ফেলে আসা জীবনের সেই সোনালী দিনগুলো
![]() |
---|
Made by Canva |
Hello,
Everyone,
আমারতো মাঝে মাঝে মনে হয় কিসের স্বামী, কিসের সংসার কিংবা কিসের সন্তান? সবাই আমার আপন হলেও কারো আমি আপন নই । সবাইকে ভালো রাখার জন্য আমার গোটা জীবনটা উৎসর্গ করে দিয়েছি কিন্তু ওরা আমার জন্যই কি করেছে?
ওদের জন্য আমরা শত শত স্বপ্ন বিসর্জন দিয়েছি, আমাদের চাওয়া-পাওয়া গুলো ভুলে গিয়েছি। তারপরও দেখবেন দিন শেষে বেশি কষ্ট দেয় স্বামী ,সন্তান কিংবা এই সংসার ।এতকিছু করার পরও তাদের মন জয় করা বেশ কঠিন ।
![]() |
---|
আসলে মেয়েদের জীবনটাই এমন ! যে পরিবারে জন্মগ্রহণ করেছে মৃত্যু পর্যন্ত সেই পরিবারে মেয়েরা থাকতে পারে না । বিধাতা এভাবে সৃষ্টি করে পাঠিয়েছে আমাদের। ছেলেরা যে পরিবারে জন্মগ্রহণ করছে এবং মৃত্যু পর্যন্ত সেই পরিবারে থেকে যেতে পারে।
বাবার আদরের মেয়েটা যে পরিবারে একদিন রাজত্ব চালিয়েছিল, বিয়ের পরে সেই পরিবারে একজন অতিথির মতো তাকে আসতে হয় । চিরচেনা সেই পরিবারের মানুষ গুলো তখন যেন অচেনা মনে হয় । এতকিছুর মাঝেও আমি মনে করি আমাদের জীবনে সব থেকে সোনালী দিন হল ছাত্র জীবন।
![]() | ![]() |
---|
যখন তার কোনো সংসারের দায়িত্ব নিতে হয় না। বাবার পরিবারে থাকতে পারে স্বাধীনভাবে, কোন শাসন বরণ থাকে না। অসুস্থ হলে মা খুব যত্ন করে খাইয়ে দেয়, তখন বাড়তি ভালোবাসা পাওয়া যায় কিন্তু বিয়ের পর অসুস্থ হলে তখন যেন নিজেকে পরিবারের বোঝা মনে হয়। খাইয়ে দেওয়া তো দূরের কথা তখন যে বাড়তি আদর যত্ন পাওয়া দরকার সেটাও করতে তাদের খুব কষ্ট হয় ।
উচ্চ মাধ্যমিক এর গন্ডি পেড়িয়ে যখন কলেজে পদার্পণ করা হয় তখন অন্যরকম অনুভূতি থাকে। তখন নিজেকে অনেক ম্যাচিউড মনে হয় থাকে। যৌবনে পদার্পণ করা ছেলে- মেয়েদের মাঝে অন্যরকম অনুভূতি থাকে। কলেজ জীবনের সেই প্রথম ক্লাসে কথা কখনোই ভোলা যায় না ।
কলেজের নতুন শিক্ষার্থী হিসেবে ফুল দিয়ে বরণ করা হয় । নতুন শ্রেণিকক্ষ, নতুন শিক্ষক এবং নতুন সহপাঠি। সকলের সাথে মানিয়ে নিতে কিছু সময় লাগে যায়। তারা এমন আপন হয়ে যায় যে বাবা-মায়ের থেকে তাদের গুরুত্ব বেশি মনে হয়।মায়ের সাথে যে কথাগুলো আমরা শেয়ার করতে পারি না সেগুলো সেই বান্ধবীদের সাথে শেয়ার করতে পারি।
![]() |
---|
Made by Canva |
কলেজ জীবনের প্রথম প্রেমের প্রস্তাব পাওয়া, ফুল নিয়ে গেটের বাইরে দাঁড়িয়ে থাকা । জীবনটাকে তখন রঙিন মনে হয়। পরিবারের থেকে লুকিয়ে দেখা করা, কথা বলা, প্রথম প্রথম প্রেমে পড়ে অনেকে কবি হয়ে যায় । নতুন নতুন ছন্দ দিয়ে সে কবিতা লিখতে শুরু করে আবার অনেকে প্রেমে ব্যর্থ হয়ে দেবদাস হয়ে যায়।
জীবনের এই সোনালী দিন গুলো যদি আমরা সঠিকভাবে ব্যবহার করতে পারি তাহলে আমাদের ভবিষ্যৎ জীবনকে উজ্জ্বল করতে পারি। আবার দেখা যায় যৌবনের কোন ভুল আমাদের ভবিষ্যৎ জীবনকে অন্ধকারের দিকেও ঠেলে দিতে পারে।বন্ধু নির্বাচনের ক্ষেত্রে আমাদেরকে অনেক সতর্ক থাকতে হবে কারণ এই বয়সে খুব বেশি করা হয়।
চোখে যেন রঙিন চশমা পরা থাকে ।বাবা-মায়ের কথাগুলো তখন আর ভালো লাগেনা । বর্তমান সময়ে বেশিরভাগ ভালোবাসার ভিতরে সার্থকতা লুকিয়ে থাকে। অনেকে পোশাক পরিবর্তন করার মত বয়ফ্রেন্ড পরিবর্তন করে। আবার কিছু কিছু মতলবধারী ছেলেরা মেয়েদেরকে স্বার্থের জন্য ব্যবহার করে। ব্যবহার করার শেষে টিসুর মত ছুড়ে ফেলে দেয়।
যৌবনে পদার্পণ করে আবেগে ভেসে না গিয়ে বাস্তবতাকেও কিছুটা বুঝতে হবে। এই সোনালী দিনগুলো জীবন থেকে একবার হারিয়ে গেলে আর ফিরে পাওয়া যায় না । সংসারের বেড়াজালে বন্দী হয়ে সেই ফেলে আসা দিনগুলো খুব মনে পড়ে । সৃস্টিকর্তা এমন কোন সুযোগ যদি দিত তবে সেই সোনালী দিনে হারিয়ে যেতাম এবং সেই দিনের ভুল গুলো শুধরে নেয়ার চেষ্টা করতাম ।
অনেকেই হয়তো আমার এই কথার সাথে একমত হবেন কারণ বর্তমান সময়ে আমাদের সম্পর্ক গুলো খুবই নরবরে হয়ে যাচ্ছে । ভাই-বোন বলুন, বন্ধু-বান্ধব বলুন বা প্রতিবেশী বলুন সকলেই যেন আমরা রোবটে পরিণত হচ্ছি। অনেক কথা হল, সেই সোনালী দিনের স্মৃতিটুকু মনে রেখে আজ এখানে বিদায় নিচ্ছি ।সকলে ভালো থাকবেন, সুস্থ থাকবেন এবং আত্মীয় প্রিয়জনদের বেশি বেশি ভালোবাসবেন। শুভরাত্রি।
আপনার লেখাটি পড়ে সত্যিই মনে হল জীবনে সোনালী দিনগুলো কত দূরত্ব ফুরিয়ে যায়।ছাত্র জীবনে স্বাধীনতা বাবা-মায়ের নিঃস্বার্থ ভালোবাসা , বন্ধুদের সাথে কাটানো মুহূর্ত সবই যেন এক সময় স্মৃতির পাতায় ধরা পড়ে।
সংসারের দায়িত্ব নিলে সেই দিনগুলোর মূল্য আরো বেশি বোঝা যায়। তবে সময়ের সাথে সম্পর্কের পরিবর্তন হলেও আমরা যদি ভালোবাসা ও বিশ্বাস ধরে রাখতে পারি তাহলে জীবন সুন্দর হতে পারে।
আপনার মূল্যবান সময় দিয়ে পোস্টটি পড়ে সুন্দর একটি মন্তব্য দেওয়ার জন্য আপনাকে অসংখ্য ধন্যবাদ। বাস্তবতা আমাদের প্রতিনিয়ত নতুন নতুন জিনিস শিখাচ্ছে ।আমাদের সামনের দিনগুলো যত যাচ্ছে ততই কঠিন হচ্ছে তাই পুরনো সেই সোনালী স্মৃতি গুলো আমাদের ভবিষ্যৎ পথকে এগিয়ে নেয়ার সাহস যোগায় ।
জীবনের ফেলে আসা দিনগুলো কখনও ভুলা যায় না। বিশেষ করে ছাত্র জীবনের গল্পগুলো, বন্ধুদের সাথে কাটানোর মুহূর্ত, আড্ডা আর নিজের প্রিয়জনের সাথে করা খুনশুটি। আপনার আগামি দিনগুলো প্রিয়জনের সাথে সুন্দর ভাবে কাটান এই কামনা করছি৷ শুভেচ্ছা রইল।
আপনার সুন্দর একটি মন্তব্য দেওয়ার জন্য অসংখ্য ধন্যবাদ । আমাদের সকলেরই শৈশবের জীবন অনেক সুন্দর থাকে । আস্তে আস্তে বড় হওয়া এবং দায়িত্ব নিতে শুরু করা থেকে জীবন কঠিন হয়ে যায় ।
https://x.com/muktaseo/status/1887536694293123322
সৃষ্টিকর্তা আমাদেরকে দুইটি অপশন দিয়ে পৃথিবীতে পাঠিয়েছেন। মানুষ হিসেবে আমাদের দুটো অপশন থেকে যেকোনো একটি অপশন বেছে নিতে হবে, প্রথম অপশনটি হল দুঃখ এবং দ্বিতীয় অপশন হল দুঃখ। আপনি ছেলে হন কিংবা মেয়ে, আপনি গরিব হন কিংবা ধনী যেকোনো লাইফস্টাইলের মধ্যেই দুঃখ বিরাজমান।
একটা মেয়েই জানে তার পরিবারের জন্য সমাজের জন্য নিজেকে কতটা বিসর্জন দিতে হয় ঠিক অপর পাশে একজন পুরুষ জানে এই সমাজের জন্য তার নিজের পরিবারের জন্য তাকে কত কিছু বিসর্জন দিতে হয়। তার কাঁধের উপর কতগুলো মানুষের দায়িত্ব।
সর্বপরি পৃথিবীতে মানুষ হিসেবে যে জন্মেছে তাকে দুঃখ কষ্ট এবং কঠিন পরীক্ষার মধ্যে দিয়ে তার জীবনটা বিসর্জন দিতেই জন্মেছে ।
ভুল ত্রুটি হলে ক্ষমার দৃষ্টিতে দেখবেন, আপনার জন্য অনেক অনেক শুভকামনা রইল।
আমাদের ছোটবেলার বর্তমান সমাজের কথা যদি আমরা চিন্তা করি তাহলে অনেকটা পরিবর্তন হয়ে গেছে আমি মনে করি ১৯৯৯ সাল কিংবা ২০০৫ ৬ ৭ যেটাই হোক না কেন সেই দিনগুলো হচ্ছে সোনালী দিন সেই দিনগুলোতে আমরা বাড়ি থেকে বের হতে হাজার বার চিন্তা করতাম কোন ছেলে ওই সময়ের মেয়েদেরকে কিছু বললে তারা হাজারবার চিন্তা করত।
আর বর্তমান সময়ে ফেব্রুয়ারি মাস আসার সাথে সাথে নানা ধরনের ডে পালন করা শুরু হয়ে যায় কখনও প্রপোজ ডে কখনো চকলেট ডে চলতেই থাকে আর আপনি ঠিকই বলেছেন বর্তমান সময়ের ভালোবাসার মধ্যে স্বার্থ লুকিয়ে থাকে নিঃস্বার্থভাবে শুধুমাত্র কয়েকজন মানুষই ভালোবাসে তবে সবার মত নয় সোনালী দিনগুলো চাইলেও ফিরে পাবো না আমাদের মুহূর্তগুলো সত্যিই সুন্দর ছিল অসংখ্য ধন্যবাদ সোনালী দিন নিয়ে আপনার মনের অনুভূতি আমাদের সাথে শেয়ার করার জন্য ভালো থাকবেন।