The May contest #1 by sduttaskitchen| Way to decrease pollution on Earth!
নমস্কার বন্ধুরা, সকলে কেমন আছেন?আশা করছি সকলেই ভালো আছেন। আবারো দিদির আয়োজিত কনটেস্টে অংশগ্রহণ করছি। আজকের আয়োজিত কনটেস্ট এখনকার দিনে খুব গুরুত্বপূর্ণ। যত দিন যাচ্ছে ততই মানুষের অপব্যবহার কিংবা অপচয় সবকিছুই দিনে দিনে বেড়ে চলেছে। আমি নিজেকে সবসময়ই অপচয় থেকে দূরে রাখার চেষ্টা করি। চলুন আজকের বিষয় গুলি উত্তর দিই।
How can we execute zero waste in our lifestyle? Describe. |
---|
দৈনন্দিন জীবনে চলার পথে অপচয় শব্দটা আমাদের সাথে অতপ্রত ভাবে জড়িয়ে রয়েছে। আমাদের জীবনে চলার পথে প্রত্যেকটা দিন প্রত্যেকটা মুহূর্তে কোনো না কোনো জিনিস আমরা অপচয় করেই থাকি। সেই অপচয় তালিকায় বিভিন্ন জিনিস হতে পারে। যেমন যেকোনো ধরনের ফাস্টফুড খাবার কিংবা বাড়ির তৈরি যে কোন খাবার ,জল, বিদ্যুৎ আরো অনেক ধরনের জিনিস। সবথেকে গুরুত্বপূর্ণ জিনিস হল সময়। আমরা সর্বদাই সময়ের অপব্যবহার করি। সময়ের গুরুত্ব অনেকেই বোঝেনা ।যে সময় চলে যাই সে সময় আর হাজার চেষ্টা করলেও কোনদিন ফিরে পাওয়া যায় না। অনেকে সুস্থ স্বাভাবিক হয়েও সবকিছুরই অপচয় করে থাকে। তাদেরকে সতর্ক করা হলেও তারা অনেক সময় বারন শোনে না। অনেকের হয়তো প্রচুর টাকা রয়েছে। তাই যখন যা খুশি ইচ্ছে মতো কিনে খায় ।নয়তো বা প্রচুর টাকা অপচয় করে। তাদের হয়তো পরিশ্রম করে উপার্জন করতে হয় না। তাই টাকার মূল্য বোঝেনা। যখন যা ইচ্ছে ফাস্টফুটে দোকান থেকে খাবার কিনে সেই খাবার ভালো লাগলে খাই নয়তোবা ছুড়ে ফেলে দেয়। কিন্তু তাদের সামনেই আমি বহু আর দেখেছি অনাহারে থাকা শিশুগুলো যদি কিছু খাবার খেতে চাই তাদের দিক থেকে মুখ ফিরিয়ে নেয়।
একজনের অপচয় করা খাবার অন্য আরেকজনের কাছে যে কতটা গুরুত্বপূর্ণ না দেখলে বোঝা যায় না। এমন হাজারো মানুষ রয়েছে তাদের কাছে খাবারের গুরুত্ব অপরিসীম। একটু খাবারের জন্য তারা অনাহারে দিন কাটায়। রাস্তাঘাটে বেরোলেই কত ছোট ছোট শিশুদের দেখা যায় খাবারের জন্য তারা ওইটুকু বয়সে বড়দের কাছ থেকে পয়সা চেয়ে বেড়াচ্ছে। যারা খাবারের মূল্য বোঝেনা তাদেরকে ওই অনাহারে শিশুগুলোর কথা মনে করিয়ে দেওয়া উচিত। আমি যে কোন জিনিস অপচয় করা একদমই অপছন্দ করি না ।আমাদের পরিবারে এই নিয়ে বহু সমস্যা দেখা দেয়। কারণ যে অপচয় করে তার সাথেই আমি বিরোধিতা করি। সেটা যেই হোক না কেন।
এছাড়া বাড়িতে অকারনে বৈদ্যুতিক যেকোনো যন্ত্র পাখা, ফ্যান ,টিভি চালানো উচিত নয়। আমি যতটা সম্ভব নিজের বাড়িতে এড়িয়ে চলার চেষ্টা করি কিন্তু এই উন্নত প্রযুক্তির যুগে যত পরিমাণে বৈদ্যুতিক জিনিসপত্র ব্যবহার করা হচ্ছে ততই মানুষের বিদ্যুতের অপব্যবহার দিন দিন বেড়েই চলেছে। মানুষ এখন সবসময়ই অপচয়ের মূল্য টাকা দিয়ে মেটানো চেষ্টা করে ।যত ইচ্ছা বৈদ্যুতিক যন্ত্রপাতি ব্যবহার করে মাসের শেষে যখন ইলেকট্রিক বিল আসে টাকাটা মিটিয়ে দিলেই মনে করে জীবনে সমস্ত সমস্যার সমাধান হয়ে যায় ।কিন্তু তারা অপচয়ের বিষয়টা একদমই এড়িয়ে চলে।
মাঝে মাঝেই রাস্তায় বেরোলে দেখতে পাই চারিদিকে ট্যাপ কল গুলো খোলা রয়েছে। অকারণে জল বেরিয়ে যাচ্ছে। আমি মাঝে মাঝেই যখন রাস্তায় বের হই খোলা কল গুলো দেখি নিজে কলের মুখটা বন্ধ করে দিয়। অনেক সময় কলের মুখ ভাঙা থাকে জল আসলে অকারণে জল গুলো বেরিয়ে যায়। তখন কেউ কলের মুখ সারানোর জন্য এগিয়ে আসে না ।অকারনে জলের অপচয় হয়। কিন্তু ব্যবহারের সময় সমস্ত মানুষ এগিয়ে আসে। এখনকার দিনে মানুষের মন মানসিকতা বোঝানো মুশকিল। সকলেই জানে জিনিসটা অপচয় হচ্ছে ।তবুও জলের কল সারানোর জন্য একদমই এগিয়ে আসে না কিংবা যেখানে খবর দেওয়ার দরকার। সেখানে খবরাখবর পৌঁছায় না।
একটু জলের জন্য কত গ্রামাঞ্চলের মানুষ প্রায় কয়েক কিলোমিটার দূরে গিয়ে খাবার জল সংগ্রহ করে নিয়ে আসে। একটু গরম পড়তে খবরে কাগজে ঘটনা গুলো দেখা যায়। কিছু জেলা আছে সেখানে একটু গরম পড়লে জলের আকাল দেখা দেয়। সেই সব মানুষকে দেখে আমাদের এই শহরে জলের অপচয়ের কথা মনে পড়ে যায়। আমাদের দেশে এইভাবে জলের অপচয় হলে আমাদের দেশেও কিছু দিন পর জলের আকাল দেখা দেবে। বেশি গরম পড়লে আমাদের শহরে ও জলের আকাল দেখা যায়। তবুও মানুষের শিক্ষা হয় না।কারণ সবকিছু তৈরি করতেই জলের প্রয়োজন। বিদ্যুৎ উৎপাদন করতে জলের প্রয়োজন ।সমস্ত খাবার রান্না করার জন্য জলের প্রয়োজন। তাই জলের অপচয় সকলকেই কম করতে হবে। কথায় আছে জলের অপর নাম জীবন। জল যদি না থাকে আমাদের জীবনে কিছুই থাকবে না।
What are the ways to decrease carbon dioxide in the environment? |
---|
আমাদের মত মানুষজনের জন্যই বাতাসে কার্বন-ডাই-অক্সাইডের পরিমাণ বেড়েই চলেছে। যত দিন যাচ্ছে ততই আবহাওয়ার পরিবর্তন হচ্ছে। আমরা যতই বাইরের খোলা আকাশে শুদ্ধ বাতাস গ্রহণ করি না কেন সেই বাতাসেও বিষ থাকে। যতই উন্নত প্রযুক্তি যুগ হোক না কেন ততই বাতাসে কার্বন-ডাই-অক্সাইডের পরিমাণ বেড়ে চলছে। ছোটবেলায় কার্বন ডাই অক্সাইডের ক্ষতিকারক বিষয় সমস্ত কিছুই বইতে পড়েছি । বড় বড় কলকারখানা থেকে যে পরিমাণে ধোঁয়া নির্গত হয় সবকিছুই বাতাসে মিশছে মিশে কার্বন ডাই অক্সাইডের পরিমাণ আরো বাড়িয়ে তুলছে। এছাড়াও গাছ কেটে ফেলায় কার্বন-ডাই-অক্সাইডের পরিমাণ আরো দিন দিন বেড়ে চলেছে।
গাছ সালোকসংশ্লেষ তৈরি করার সময় কার্বন-ডাই-অক্সাইড গ্যাস গ্রহণ করে। কিন্তু গাছের পরিমান কমে যাওয়ার জন্য বাতাসে কার্বন-ডাই-অক্সাইড এর পরিমাণ বেড়েই চলেছে। এছাড়াও পেট্রোল চালিত যানবাহন থেকে যে ধোঁয়া বেড়োয়,তার মধ্যে একটি ধোঁয়া হলো কার্বন ডাই অক্সাইড। কার্বন ডাই অক্সাইড ও আরো অন্যান্য গ্যাস উষ্ণতা ধরে রেখে পৃথিবীর বায়ুমন্ডলকে ধীরে ধীরে আরো বেশি উষ্ণ করে তুলছে। কার্বনডাই অক্সাইডের উৎস খনিজ তেল, কয়লা পোড়ালে দাবানলে অরণ্য ধ্বংস ইত্যাদি কারণে কার্বন-ডাই-অক্সাইড নির্গত হয়। এই কার্বন ডাই অক্সাইড বাতাসে বায়ু দূষণ হয়। গাড়ির ধোঁয়া যেমন-বাস,লরি, মোটরসাইকেলের পরিমাণ দিন দিন বেড়ে চলেছে। সেই সব ধোঁয়া গুলো সবই তো বাতাসে মিশছে। এখন অনেক ব্যাটারি জাতীয় গাড়ি বাজারে উঠেছে সেই সব বাড়ির ব্যবহার করলে অনেক সময় বাতাস দূষিত হওয়ার হাত থেকে বেঁচে যায়। এছাড়াও প্রচুর পরিমাণে গাছ লাগাতে হবে তাহলে হয়তো একটু হলেও বাতাসে কার্বন-ডাই-অক্সাইডের পরিমাণ আমরা কমাতে পারবো।
What are the main reasons behind this changing climate? Share some tips to lower pollution on Earth! |
---|
দিন দিন যেভাবে জলবায়ুর পরিবর্তন হচ্ছে এর পিছনে সবচেয়ে বড় কারণ হলো গাছ কাটা। গাছ হল প্রকৃতি উপাদান পৃথিবীর মানব জাতি ও জীব বৈচিত্র্য টিকে থাকার জন্য গাছের গুরুত্ব অপরিহার্য। গাছ যেমন আমাদের অক্সিজেন দেয় ।ঠিক তেমনি কার্বন-ডাই-অক্সাইড শোষণ করে। জলবায়ু পরিবর্তন বলতে তাপমাত্রা বাড়াকে বোঝায়। যতদিন যাচ্ছে গরমকালে তাপমাত্রা বেড়ে গেছে। শীতকালে শীতের পরিমাণ কমে গেছে। বৃষ্টির পরিমাণ কমে গেছে। এছাড়াও যেখানে সেখানে আবর্জনা ফেলা বন্ধ করতে হবে। আমাদের মতো মানুষের জন্যই পরিবেশ নোংরা হয়। ময়লা গুলো পচে দুর্গন্ধ বের হয়। সেগুলো বাতাসে মিশে বাতাসকে আরো দূষিত করছে। আমাদের নিজেদের সচেতন হয়ে পরিবেশ দূষিত হওয়ার হাত থেকে রক্ষা করতে হবে। শেষে বলবো একটাই কথা সবকিছুর মূলে আমাদের গাছ লাগাতে হবে। একটা গাছের অনেক ক্ষমতা।
এইখানেই শেষ করছি। জানিনা সব প্রশ্নের উত্তর সঠিক দিতে পেরেছি কিনা।এই কনটেস্টে অংশগ্রহণ করার জন্য তিন জন কে আমন্ত্রণ জানাচ্ছি @isha.ish,@pinki.chak,@piya3.
অপচয় খুবই ছোট্ট একটা শব্দ অথচ এর মাঝে লুকিয়ে আছে আমাদের দৈনন্দিন জীবনের অনেক ধরনের সমস্যা অপচয় করা মোটেও ঠিক না আমাদের মধ্যে অনেকেই আছে যারা কারেন্টের অপচয় করে পানির অপচয় করে খাবারের অপচয় করে আমাদের ধর্মে একটা কথা বলা হয়ে থাকে অপচয় কারী শয়তানের ভাই তাই কখনোই অপচয় করা উচিত নয় অসংখ্য ধন্যবাদ প্রতিযোগিতার প্রতিটা প্রশ্নের উত্তর চমৎকার ভাবে তুলে ধরার জন্য ভালো থাকবেন।