The April contest #2 by the sduttaskitchen|Child marriages!

in Incredible India10 days ago (edited)

নমস্কার বন্ধুরা, সকলে কেমন আছেন আশা করছি সকলেই ভালো আছেন। প্রথমেই @sduttaskitenen দিদিকে ধন্যবাদ জানাই সুন্দর একটি কনটেস্টের আয়োজন করার জন্য। প্রত্যেক বারের মতো এবারেও কনটেস্টের বিষয়বস্তু শিক্ষনীয়।দিদির আয়োজিত প্রত্যেক কনটেস্ট আমার ভীষণ পছন্দের। কনটেস্টে অংশগ্রহণ এর মাধ্যমে বাল্যবিবাহ সম্পর্কে নিজের মতো করে উত্তর দেওয়ার চেষ্টা করব।

IMG-20221030-WA0017.jpg

Do you support early-age marriages? Share your opinion!

বাল্যবিবাহ আমি একদমই সমর্থন করি না।১৮ বছরের নিচে কন্যা সন্তানকে বিবাহ দিলে তাকেই বাল্যবিবাহ বলা হয়।ছোট থেকে ইতিহাসের পাতায় বাল্যবিবাহ সম্পর্কে অনেক কিছুই পড়েছি। বাল্যবিবাহের কথা মনে করলেই আগেকার দিনের অনেক কথাই মনে পড়ে যায়। আগেকার দিনে মেয়েদের কিভাবে বিবাহ দেওয়া হতো। একটা অল্প বয়স্ক মেয়ের সাথে প্রায় ৫০ বছর বয়সী পুরুষের বিবাহ হত। মেয়েরা অল্প বয়সে বিধবা হয়ে তাদের উপর কিভাবে অত্যাচার করত সবকিছুই আমাদের ইতিহাস বইতে পড়া। এই বাল্যবিবাহ নিয়ে রাজা রামমোহন রায় অনেক লড়াই করেছিলেন। ইতিহাসের পাতা খুললেই বাল্যবিবাহ সতীদাহের প্রথা জ্বল জ্বল করে লেখা থাকে। তবে ২০২৫ এ দাঁড়িয়ে এমন এমন জায়গা রয়েছে এখনো মেয়েদের সম্মান নেই। ভারত সরকার ১৮ বছরের উর্ধে কোন মেয়ে কিংবা আর ২১ বছরের উর্ধে কোন পুরুষের বিবাহ দেওয়ার আইন চালু করেছে।

এখনো অনেক পরিবার রয়েছে কন্যা সন্তান হলে সেই কন্যা সন্তানকে যত তাড়াতাড়ি ঘাড়ে থেকে ঝেড়ে ফেলা যায় সেই চিন্তা ভাবনায় করে। আমাদের সমাজের মানুষজন শিক্ষিত হলেও এখনো বহু মানুষের চিন্তাভাবনা কন্যা সন্তানকে নিয়ে পিছিয়ে রয়েছে। এখনো বহু মা বাবার মুখে শোনা যায় কন্যা সন্তানকে উচ্চশিক্ষায় শিক্ষিত করে কিছুই হবে না শেষে তাকে শশুর ঘরে গিয়ে খুন্তি নাড়তেই হবে। এখনো সমাজের মেয়েদের ১৮ বছরের নিচে বিয়ে দেওয়া হয়। ১৮ বছরের নিচে কন্যা সন্তানকে বিবাহ দেওয়ার পর যখন সে মা হয় তার শারীরিক কত ঝুঁকি থাকে সেটা হয়তো মা-বাবা বোঝেনা। অনেক কন্যা সন্তান মা হতে গিয়ে মারা যায় ।তখন আর মা-বাবা কেঁদে কুল পায় না।

বর্তমান যুগে খবরের কাগজ ,ফোন খুললেই অল্প বয়সে মা হওয়ার ফলে কন্যা সন্তানরা যেভাবে মারা যাচ্ছে সবকিছুই শোনা যায়। যত দিন যাচ্ছে মেয়েরা মা হতে গিয়ে এমনকি সন্তানদেরও প্রাণের ঝুঁকি বেড়ে চলেছে। এছাড়াও অল্প বয়সে মেয়েদের বিয়ে দিয়ে স্বামী-স্ত্রীর মধ্যে মনোমালিন্য হলেই তাদের দেখা যায় আত্মহত্যার মতো মর্মান্তিক ঘটনা ঘটতে। যত দিন যাচ্ছে আত্মহত্যার ঘটনা গুলি বেড়েই চলেছে।মেয়েদের বিভিন্ন রকমের শারীরিক সমস্যা দেখা যাচ্ছে। তাই আমি সব সময়ই বাল্যবিবাহের বিপক্ষেই থাকি।

IMG_20250418_174953.jpg

Before thinking of marriage, which points should parents keep in their mind? And how we can reduce child trafficking!

বিবাহ দেওয়ার আগে সবসময়ই মা-বাবাকে মনে রাখতে হবে তাদের সন্তানকে উচ্চশিক্ষায় শিক্ষিত করে তুলতে হবে। একটা সন্তানকে সুশিক্ষায় শিক্ষিত করলে ভবিষ্যতে সে যদি তার সংসারে কিংবা স্বামীর সাথে মানিয়ে নিতে না পারলেও সে যেন নিজের পায়ে দাঁড়িয়ে সারা জীবন কাটিয়ে দিতে পারে। সব মা-বাবাদেরই উচিত মেয়েদের যেকোনো কাজ শেখানো। যাতে ভবিষ্যতে তারা কাজ করে উপার্জন জীবন কাটিয়ে দিতে পারে। মেয়েদের এখন কাজ শেখা ভীষণ প্রয়োজন।প্রত্যেক মা-বাবাকে একটা ছেলে সন্তানকে যেমন যে চোখে দেখা হয় একটা মেয়েকেও সমান চোখে দেখে ভেদাভেদ না করে সমানভাবে মানুষ করা উচিত। একটা মেয়ে যতদূর পড়াশোনা করতে চাই সবসময়ই তার ইচ্ছের দাম দেওয়া উচিত। যখন একটা পরিপক্ক বয়স হবে তখনই তার বিবাহের আয়োজন করার উচিত।দুম করে বিবাহের মতো জিনিস চাপিয়ে না দেওয়া উচিত।

বিয়ে দেওয়ার আগে অবশ্যই ছেলে মেয়ের মধ্যে বয়সের ডিফারেন্স দেখতে হবে। অনেক সময় মা-বাবারা সন্তান ভালো থাকার জন্য বেশি বয়স্ক সরকারি চাকরি পুরুষের সাথে বিবাহবন্ধনে আবদ্ধ করে। কিন্তু তারা মেয়েদের বাকি জীবনের কথা ভাবেনা। যখন বেশি বয়স্ক পুরুষ মানুষ পৃথিবী ছেড়ে চলে যাবে ।তখন তার মেয়ের কি হবে এই জিনিসটা বেশিরভাগ মা বাবা বোঝেন না। সব মা বাবাদের মেয়েদের স্বাধীনভাবে বাঁচতে দেওয়ার সুযোগ করে দিতে হবে। কারণ মেয়েরা বেশিরভাগ সময়ই বাপের বাড়িতে বাবা-মায়ের শাসনে থাকতে হয়। আর বিয়ের পর তাদের স্বামীর শাসন শ্বশুর-শাশুড়ি র শাসনে থাকতে থাকতে একটু বয়স হলেই সন্তানদের শাসনে তাদের জীবন কাটাতে হয়। অনেক মেয়েদের স্বাধীনতা বলে কিছুই থাকে না।

তাই অবশ্যই একটা ছেলে মেয়ে দুজনের মনের মিল হলে তবেই তাদের বিবাহবন্ধনে আবদ্ধ করা উচিত। পৃথিবীতে মা বাবার সঙ্গে আর অন্য সম্পর্কে তুলনা করা যায় না। তাই সব সময়ই মা-বাবাদের সন্তানদের সমস্ত মনের কথা শোনা উচিত। জোর করে তাদের উপর কোন কিছুই চাপানো উচিত নয়। অনেক সময় মা বাবার ভুলের কারণে তার আদরের ফুটফুটে সেই ছোট্ট মেয়েটি বিয়ের পর সংসারের বোঝা অশান্তি ঝামেলা সহ্য করতে করতে একদিন চিরতরে বিলীন হয়ে যায়।

দেশে শিশু পাচারে জন্য সুরক্ষার জন্য বহু আইন চালু করা হয়েছে। তবুও দিন দিন শিশু পাচারের পরিমাণ বেড়েই চলেছে। বিভিন্ন নিউজ থেকেই প্রতিনিয়ত শিশু পাচারের মতো বিভিন্ন প্রক্রিয়াগুলি উঠে আসে। শিশু পাচার হল এক দ্বন্দ্বমূলনীয় অপরাধ। অনেক সময় দেখা যায় বড় মেয়েদেরও কোন কাজ দেওয়ার নাম করে বাইরে নিয়ে চলে গিয়ে তাদের দিয়ে বিভিন্ন রকম খারাপ মূলক কাজ করায়। ছোট ছোট বাচ্চাদের ও তাদের বিভিন্ন কিছু লোভ দেখিয়ে তাদেরও অনেক সময় ধরে নিয়ে চলে যায় মাঝেই একদিন নিউজে খুব দেখাচ্ছিল একটা ছোট বাচ্চাকে বাজারের ব্যাগের মধ্যে করে পাচার করে নিয়ে যাচ্ছিল। হঠাৎ করে বাচ্চাটি ট্রেনের মধ্যে কেঁদে উঠেছিল ।তখনই সমস্ত মানুষজন একত্রিত হয়ে বাচ্চাটিকে উদ্ধার করেছিল। এইরকম ঘটনা প্রায়শই শোনা যায়।

এইসব ঘটনা থেকে সব সময় মা-বাবা বাড়ির লোককে সচেতন থাকতে হবে। কোন জায়গাতেই সন্তানদের একা ছাড়া যাবেনা। ফোন থেকে দূরে রাখতে হবে। কারণ ফোন দেখে অনেক সময় বাচ্চারা অনেক কিছু শেখে।অনেক সময় মা বাবার কাছ থেকেও ছোট ছোট বাচ্চাদের ছিনিয়ে নিয়ে চলে যাই ।তখনই আইনের ব্যবস্থা নিয়ে সমস্যার সমাধান করতে হবে। ভুল পথে পা বাড়ানোর আগেই সন্তানদের সাবধান করতে হবে। প্রত্যেক টি পদক্ষেপ তাদের শেখাতে হবে ।কোনটা ভুল কোনটা ঠিক। যদি কোন মানুষ তাকে ভুল পথে প্ররোচনা করে তখনই তাকে সেই পথ থেকে দ্রুত বেরিয়ে আসার চেষ্টা করতে হবে। অনেক সময় অনেক মহিলাদের বিদেশে কাজ দেওয়ার নাম করে নিয়ে গিয়ে যৌন পাচারকারী দলে বিক্রি করে দেয়। কিন্তু বাড়িতে বাবা মা কিংবা বড়দের সকলকে দেখতে হবে তাদের সন্তান কাদের সাথে মিশছে কিংবা কোথায় যাচ্ছে।

দেখা যায় সে সঠিক মানুষের সাথে না মেশে তখনই তাদের পদক্ষেপ নেওয়া উচিত। কোন সন্দেহজনক মানুষ দেখলেই সঙ্গে সঙ্গে আইনের সাহায্য নেওয়া উচিত। সকলেই যদি এইরকম ভাবে সাবধান হয় তাহলে আশা করি দিনে দিনে শিশু পাচারকারীর মতো ঘটনা কমে যাবে। তবে আইনের দিক থেকেও আইন প্রশাসনকে ঠিকমতো কাজ করতে হবে। সাধারণ মানুষের পাশে দাঁড়িয়ে তাদের কাঁধে কাঁধ মিলিয়ে সাহায্য করে যেতে হবে। দেশে এরকম পাচারকারীদের মৃত্যুদণ্ড মূলক আইন চালু করলে তবে পাচার করা কমবে বলে মনে হয়।

IMG-20221121-WA0002.jpg

Do you believe proper education can play a significant role in avoiding such unlawful acts? What are they?

আমি বিশ্বাস করি মানুষ ছোট থেকেই সঠিক শিক্ষা পেলে এরকম বেআইন মূলক কাজ করতে পারে না। কিন্তু অনেকে সঠিক শিক্ষা পেয়েও গ্রহণ করে না। তাই এরকম বেআইন মূলক কাজ করতে থাকে। অনেক সময় অনেক মা বাবা সন্তানদের পড়াশোনা না শিখিয়ে তাদের সঠিক শিক্ষা না দিয়ে ছেড়ে দেয়। তখনই সেই সব সন্তানরা সঠিক কাজ না করে এইরকম বেআইন মূলক কাজের সাথে জড়িয়ে পড়ে। আবার অনেকে শিক্ষিত হয়েও অনেক প্ল্যান করেই এই সব কাজ করে। হয়তো তারা ভাবে এইরকম কাজ করে তারা ধরা পড়বে না। কিন্তু কোন মা বাবাই চায় না তার সন্তান কোন বেআইন মূলক কাজ করে তার সাথে যুক্ত থাকুক।

দেশে যেহেতু সরকারি চাকরির পরিমাণ কমে যাচ্ছে। তাই বেকারের পরিমাণও বেড়ে যাচ্ছে ।তাই দেশে সাধারণত বেআইনি মূলক কাজের পরিমাণও অনেক বেড়ে গিয়েছে। সরকার মেয়েদের জন্য অনেক সুরক্ষা ব্যবস্থা করেছে। এছাড়াও মেয়েদের পড়াশোনার জন্য অনেক খরচ কমিয়ে দিয়েছে। এছাড়াও কন্যাশ্রী, রূপশ্রী অনেক কিছু দেওয়া চালু করেছে। তাই পরিবারের মেয়ে সন্তানদের সঠিকভাবে পড়াশোনা শিখিয়ে বড় করে তোলার চেষ্টা করা উচিত। শিক্ষিত হলে সন্তানদের কখনোই ভবিষ্যৎ নষ্ট হতে পারে না। মেয়েরা যত ভালো শিক্ষিত হবে ততই দেশে বাল্যবিবাহের পরিমাণ কমে আসবে। জানিনা সব প্রশ্নের সঠিক উত্তর দিতে পেরেছি কিনা।

এখানেই শেষ করছি ।কনটেস্টে অংশগ্রহণ করার জন্য আমি আমার তিনজন বন্ধুকে আমন্ত্রণ জানাচ্ছি।@piya3,@jahidul21,@sabus.

Sort:  
 10 days ago 

আমিও আপনার সাথে সম্পূর্ণ একমত যে অনেক পরিবারই কন্যা সন্তানকে ববোঝা মনে করে আর দ্রুত বিয়ে দিয়ে সেই ববোঝা থেকে মুক্তি পেতে চায়।
আপ্নি প্রতিটি প্রশ্নের উত্তরই খুব চমৎকার ভাবে দিয়েছেন ।
আপ্নার জন্য শুভকামনা রইল ।

 9 days ago 

thank you so much.

Loading...