Incredible India monthly contest of May by @sampabiswas | Emotional bonding with animals.

in Incredible India2 months ago

নমস্কার বন্ধুরা, সকলে কেমন আছেন ?আশা করছি সকলেই ভালো আছেন। আজকে আবারও নতুন একটা কনটেস্টে অংশগ্রহণ করব। @sampabiswas দিদির আয়োজিত কনটেস্টে। প্রত্যেক বারের মতো এই কনটেস্ট টা আমার ভীষণ পছন্দের। চলুন তাহলে প্রত্যেকটি প্রশ্নের উত্তর দেওয়ার চেষ্টা করি।

IMG_20250509_210030.jpg

মামার বাড়ির টিয়া পাখি

What is your favorite animal (dog, bird, cat, etc.)? Do you think these animals can become part of our family, just like humans?

এখনকার দিনে প্রত্যেক বাড়ি বাড়িতেই কিছু না কিছু গৃহপালিত পশু সকলেই পোষেন। অনেকে শখ করে পোষেন। আবার অনেকে বাড়িতে পোষা পোষ্যদের সাথে সময় কাটাবার জন্য পোষেন। আমার প্রিয় কোন গৃহ পালিত পশু নেই। কিন্তু আমি সমস্ত পশুদেরই ভালোবাসি। এই পৃথিবীতে প্রত্যেকটি জীব হলো ভগবানের সৃষ্টি। তার মধ্যে মানুষ হলো সবথেকে সেরা জীব। স্বামী বিবেকানন্দ বলেছিলেন-

" জীবে প্রেম করে যেই জন"
" সেই জন সেবিছে ঈশ্বর"।

কাজেই প্রতিটা জীবকে আমাদের দেখাশোনা করা কর্তব্য। প্রতি জীবকে যত্ন করলে এবং তাদের ভালবাসলে সৃষ্টিকর্তার প্রদর্শন পাওয়া যায়। যেকোনো প্রাণী বাড়িতে থাকতে থাকতে সেই বাড়িতে পরিবারের এক জন হয়ে যায়। ছোট থেকেই আমি মামার বাড়িতে বড় হয়ে উঠেছি। বড় হওয়ার প্রায় অনেক পরে আমার বড় মামা একটা ছোট্ট টিয়া পাখি নিয়ে এনেছিল। পাখিটি তখন দুই থেকে তিন দিনের।

কালবৈশাখী তুমুল ঝড়ে পাখিটা গাছের কোঠোর থেকে মাটিতে পড়ে গিয়েছিল ।তখন একটা ছেলে সেই পাখিটা তুলে নিয়ে এসে মামার কাছে দিয়েছিল। তখন মামা বুঝে উঠতে পারছিল না পাখিটা কিভাবে বাঁচাবে? যাই হোক ছোট বাচ্চার মত করে পাখিটাকে মানুষ করে তুলেছিল। ছোট বাচ্চাদের যেভাবে দুধ খাওয়ানো হয় ঠিক সেই রকম ভাবে মামী পাখিটাকে ঝিনুকে করে সমস্ত কিছু খাইয়ে দিত। আস্তে আস্তে পাখিটা সুস্থ স্বাভাবিক হয়ে ওঠে, এখন তার বয়স ১৩ বছর। পাখিটা বাড়িতে থাকতে থাকতে এমন হয়ে উঠেছে যে মামা পাখিটাকে ছাড়া একদমই থাকতে পারে না। সকালবেলায় ঘুম থেকে উঠে তার খাঁচা পরিষ্কার করা থেকে শুরু করে সমস্ত কিছু করে ।এমনকি সকালবেলায় ঠাকুরকে পুজো দেওয়ার আগে পাখিকে খেতে দিতে হয়। এছাড়াও কোন অনুষ্ঠান বাড়িতে নেমন্তন্ন খেতে গেলে তার জন্য আলাদা করে খাবার নিয়ে আসতে হয়। আসলে বাড়িতে কোন পশু পাখি থাকলেই তার মায়ায় পড়ে যেতে হয়। পাখিটা ভাত, তরকারি, ফুচকা, পনির, নকুল দানা,চুনোমাছ সমস্ত কিছু খায়।

একবার একবার পাখিটা খাঁচায় থাকতে থাকতে সে মুক্ত আকাশে ডানা মেলে উড়ে চলে গিয়েছিল। আসলে খাঁচার পাখি যদি বাইরে হঠাৎ করে বেরিয়ে যায় তাদের বাঁচার ক্ষমতা একদমই নষ্ট হয়ে যায়। কারণ তারা অন্যান্য পাখির সাথে মানিয়ে নিতে পারে না। তখন তারা অনাহারে মারা যায় ।পাখিটা খাজা থেকে বেরোনোর পর দেখি বাড়ির পাশের নারকেল গাছের মাথাতে বসে রয়েছে। সে নিজের বাড়ির চিনতে পারছিল না। ওই যে কথায় বলে পশু পাখি থাকতে থাকতে মায়ায় পড়ে যেতে হয়। তখন মামা সেই নারকেল গাছের মাথায় উঠে পাখিটাকে সযত্নে বাড়িতে নিয়ে এসেছিল।

IMG_20250509_210121.jpg

Do you think animal can change our lifestyle? Give reasons for your opinion. Have you ever had an emotional moment with an animal? If so, please share that story.

হ্যাঁ, আমি মনে করি যে কোন পশু পাখি মানুষের জীবন বদলে দিতে পারে। পশুপাখি কে আমি সেভাবে কোনদিন কোলে তুলে আদর করা কিংবা কোন কিছু পোষার আগ্রহ কোনদিনই দেখায়নি। বড় মামার বাড়িতে যেমন টিয়া পাখি রয়েছে। ঠিক তেমনি মেজ মামার বাড়িতে একটা কুকুর ছিল। মামাকে দেখতাম কুকুরটা যদি একটু শরীর খারাপ করত কিংবা খুঁজে পাওয়া না যেত মামা সারাদিন হন্যে হয়ে কুকুরটাকে খুঁজে বেড়াতো। কেমন যেন মন ভাঙ্গা অবস্থায় সবসময় বসে থাকতো। সেটা রাস্তার কুকুর মামা ছোট থেকে বাড়িতে নিজের মতো করে লালন পালন করেছিল। কুকুর যদি মাছ দিয়ে ভাত খেতে না চাইত মামা সাথে সাথে তার জন্য দুধ কিংবা আর অন্যান্য জিনিস নিয়ে এসে তাকে ভাত খাওয়ানোর চেষ্টা করত। বড় মামাকেও দেখেছি যখন মামি বাপের বাড়িতে থাকতো মামা ঠিক রাতের বেলাতে পাখিটাকে সঙ্গে করে নিয়ে শ্বশুরবাড়িই যেত। কারণ পাখিটা একা একা বাড়িতে থাকলে চেচা-মিচি করবে। কাউকে দেখতে পাবে না। মন খারাপ করবে। সেই জন্য সাথে করে নিয়ে যেত। আর মেজো মামা কোথাও বেড়াতে গেলে কুকুরের জন্য রাতেই বাড়ি ফিরে আসত। কারণ কুকুরটা রাতে একা একা বাড়িতে থাকবে।

তার থাকার জন্য বাইরে সমস্ত বন্দোবস্ত করে দিয়েছিল। কুকুরকে যাতে মশা না কামড়ায় কিংবা সবকিছুর হাত থেকে সে রক্ষা পায় সেই ব্যবস্থাও করেছিল। হঠাৎ করেই কুকুর টি আমাদের ছেড়ে চলে যায়। অনেক চিকিৎসা করানো হয়েছিল। তবুও বাঁচানো যায়নি। কোন পোষা প্রাণী হঠাৎ করে যদি মারা যায়।তার কষ্ট যে কত খানি সেটা বলে বোঝানো যাবে না।যাই হোক এই দুটি প্রাণী ছিল আমাদের বাড়ির পোষা। আমি সেভাবে কোনদিন কোন প্রাণীর সাথে আবেগঘন মুহূর্ত কাটাইনি। কিন্তু আমি একজনের বাড়িতে যখন পড়াতে যেতাম ।তখন তাদের বাড়িতে একটা সুন্দর ছোট্ট বিদেশি কুকুর ছিল।তার ছিল চিকু।সে যেন আমাকে ভীষণ ভালোবাসতো। যখনই তাদের বাড়িতে গিয়ে আমি কলিং বেল বাজিয়ে উঠতাম ছুটতে ছুটতে আমার কাছে চলে আসতো। এমনকি যতক্ষণ আমি বাচ্চাটিকে পড়াতাম ঠিক ততক্ষণ আমার পাশে বসে থাকত। এছাড়াও মাঝে মাঝে যখন কুকুরটার শরীর খারাপ করত। তখন বাড়ির সকলে তাকে খেতে দিত তাদের কাছ থেকে কিছুতেই খেতে চাইত না। কিন্তু আমি যখনই বাচ্চাটাকে পড়ানোর জন্য যেতাম। তখনই আমাকে চা বিস্কুট খেতে দিত ।আমার ভাগের বিস্কুটটা যখনই আমি তাকে দিতাম ঠিক খেয়ে নিতো।

কুকুরটি আমার কোলে ওঠার জন্য ব্যস্ত হয়ে পড়তো। কিন্তু আমি ভীষণ ভয় পেতাম ।তাই কোলে নিতে চাইতাম না। তাও মাঝে মাঝে কয়েকবার কোলেও নিয়েছি। আসলে আমার মনে হয় মানুষের থেকে পশু পাখিরা ভালবাসার দাম দেয়। তারা বোঝে কোনটা আসল ভালোবাসা। তাই সে হয়তো আমার আসার অপেক্ষায় পথ চেয়ে বসে থাকতো। যাই হোক তাকে বহু বছর দেখিনি জানিনা সে বেঁচে আছে কিনা।

IMG_20250509_210148.jpg

Do you personally have any beautiful moments with street animals? Do you think that as humans, each of us needs to come forward and help these street animals? Share your views on this topic.

না, আমি ব্যক্তিগতভাবে রাস্তার কোনো প্রাণীদের সাথে সেভাবে সময় কাটাইনি। হ্যাঁ, আমি মনে করি আমাদের সকলকেই রাস্তার প্রাণীদের জন্য কিছু করা উচিত। তাদের সাহায্য করার জন্য সকলকেই এগিয়ে আসা উচিত। অনেক সময় রাস্তাতে প্রাণীগুলো কোন যানবাহনে চাপা পড়ে হয়তো তাদের পায়ে আঘাত লাগে কিংবা শরীরে ।তখন সে প্রাণীগুলো বিনা চিকিৎসায় মারা যায়। কিন্তু ওই সব প্রাণীদের ক্ষেত্রে যদি মানুষ এসে এগিয়ে এসে চিকিৎসা করা হয় তাহলে তারা একটা সুস্থ সবল জীবন পেতে পারে। এছাড়াও বহু প্রাণী রয়েছে প্রত্যেকটা দিন তাদের অনাহারে কেটে যায়। খাবারের অভাবে তারা রাস্তায় রাস্তায় অনাহারে দিনকে কাটিয়ে ফেলে। সেইসব প্রাণীদের জন্য খাবারের ব্যবস্থা করা উচিত।

যখন বৃষ্টি হয় তখন রাস্তার পশু -পাখিরা ভিজে ভিজে বেড়াই মাঝে মাঝে তারা আশ্রয়ের জন্য কোন বাড়ির নিচে গিয়ে আশ্রয় নিলে কিছু কিছু বাড়ির মানুষজন তাদের তাড়িয়ে দেয়। আবার অনেকেই রয়েছে তারা পশু চিকিৎসা কিংবা পশুর খাবারের জন্য অনেক কিছুই দান ধ্যান করেন ।অনেকে আবার দুপুরবেলায় খাবার রান্না করে তাদের বাড়ির সামনে কুকুর গুলো খাওয়াই এই রকম করে যদি সকলেই এগিয়ে আসা যায় ।তাহলে আর রাস্তায় কোন প্রাণী অনাহারে দিন কাটাবে না।

IMG_20250509_210204.jpg

Do you think that animals also need good medical care just like humans? Share your opinion on what steps need to be taken to improve animal medical care.

পশুরা তাদের মনের কথা ভাষায় প্রকাশ করতে পারে না। তাদের কোন অসুখ হলে সেটাও তারা মুখে প্রকাশ করতে পারে না। আমাদের বুঝে নিতে হয় যে তাদের কোন অসুবিধা হয়েছে নিকা। তখনই হয়তো আমরা ডাক্তারকে ফোন করি তার চিকিৎসার ব্যবস্থার জন্য। মানুষের মতো সব পশুদেরই পৃথিবীতে বেঁচে থাকার অধিকার রয়েছে। তাই মানুষের চিকিৎসা ব্যবস্থা যতটাই উন্নতি হচ্ছে। ঠিক ততটাই পশুদের চিকিৎসা ব্যবস্থা উন্নত করার দরকার। পশুদের ও পৃথিবীতে সমান ভাবে বেঁচে থাকার সমান অধিকার রয়েছে। তাই তাদের চিকিৎসা ব্যবস্থা দ্রুত উন্নত করা দরকার। জানিনা সমস্ত প্রশ্নের উত্তর দিতে পেরেছি কিনা।

এই খানেই শেষ করছি।এই কনটেস্টে অংশগ্রহণ করার জন্য আমার তিন জন বন্ধুকে আমন্ত্রণ জানাচ্ছি -@isha.ish,@piya3,@pinki.chak.

Sort:  
Loading...
 2 months ago 

আমিও আপনার সাথে সম্পূর্ণ একমত , মানুষের মত পশু পাখিরও এই পৃথিবীতে স্বাধীন ভাবে বাঁচার অধিকার রয়েছে। ওদের কোন ক্ষতি না করলে মানুষের কোন ক্ষতি করে না। মামার পোশা টিয়া পাখি দেখতে দেখতে ১৩ বছর হয়ে গেল। পাখিটা মুক্ত হয়েও বনের পরিবেশের সাথে খাপ খাওয়াতে পারলনা । তাইতো আবার ফিরে এলো।

প্রতিযোগিতায় অংশগ্রহণ করার জন্য আপনাকে অসংখ্য ধন্যবাদ। প্রতিটি প্রশ্নের উত্তর সুন্দর ভাবে দিয়েছেন। আপনার জন্য রইল অনেক অনেক শুভকামনা।

আসলে যে কোন পশু পাখি কে ছোটর থেকে মানুষ করে গড়ে তুলতে অনেক সময় লেগে যায় কারণ নিজেদের সন্তানদের মতো তাদেরকে লালন পালন করে গড়ে তুলতে হয় আপনার মামার এই পশু পাখিদের উপর ভালোবাসা দেখে সত্যি মুগ্ধ হয়ে গিয়েছি যেভাবে টিয়া পাখিকে ছোট থেকে লালন পালন করে গড়ে তুলেছে আপনার মামার বাড়ির কিছু পশু পাখির ছবি আমাদের মাঝে শেয়ার করেছেন আপনার মামার এবং আপনার জন্য শুভকামনা রইল ভালো থাকবেন

 last month 

সত্যি কথা বলতে ছোটবেলা থেকেই পশু পাখির প্রতি ভালোবাসা থাকে একেক জনের একেক রকম আমার ক্ষেত্রেও ঠিক তাই একেবারে অন্যরকম নয় পশুপাখি আমি নিজেও অনেক বেশি পছন্দ করি তাদের প্রতি ভালোবাসা তাদের প্রতি আন্তরিকতা আমার অনেক আগে থেকেই রয়েছে। তবে আপনি যেভাবে তাদের প্রতি ভালবাসা প্রকাশ করেছেন সেটা দেখে বেশ ভালই লাগছে অসংখ্য ধন্যবাদ প্রতিযোগিতার প্রতিটা প্রশ্নের উত্তর আমাদের সাথে তুলে ধরার জন্য ভালো থাকবেন।