সম্প্রীতির জন্মদিনের সন্ধ্যা বেলা
নমস্কার বন্ধুরা, সকলে কেমন আছেন ?সকলেই ভালো আছেন ।আজকে আবারো নতুন একটা পোস্ট নিয়ে হাজির হয়েছি আপনাদের মাঝে আশা করছি সকলেরই ভালো লাগবে।
আজকে আপনাদের মাঝে শেয়ার করব সম্প্রীতির জন্মদিনের সন্ধ্যা বেলা। সারাদিন বৃষ্টি হওয়ার পর সন্ধ্যা বেলায় একটু বৃষ্টি কম পড়েছিল। তাই সকলে খুব আনন্দ করে সাজগোজ করতে শুরু করে দিয়েছিল ।আমিও আনন্দ করতে করতে বাড়ি চলে গিয়েছিলাম।নিজে রেডি হবার জন্য।কিন্তু আমাদের পাড়াটা এত নোংরা এত অপরিষ্কার যে ওই রাস্তা দিয়ে সুন্দর জামা কাপড় পড়ে একদমই আসতে ইচ্ছে করে। ইচ্ছে ছিল খুব সুন্দর করে সাজবো শাড়ি পরবো। কিন্তু বৃষ্টির জন্য সমস্ত ইচ্ছেটা অপূর্ণই থেকে গেল। কোনরকমে একটা জামা পড়ে রেডি হয়ে রাত আটটার সময় এসে দেখি চারিদিকে জল জমে রয়েছে। এদিকে তাড়াহুড়ো করে কেক কাটা হয়ে গেছে। আমার আসতে একটু দেরি হয়ে গিয়েছিল।মাসির শ্বশুরবাড়ি থেকে সমস্ত লোকজন এসেছিল বাড়িতে উনারা খুব তাড়াহুড়ো করছিল। তাই তাদের জন্য খুব তাড়াতাড়ি করে কেক কাটার অনুষ্ঠান শেষ হয়ে গিয়েছিল। রাতে আবার উনাদের বাড়ি ফেরার তাড়া ছিল।
যেহেতু যেহেতু বাড়িতে অনুষ্ঠান করা হয়েছিল ।তাই চারিদিকে জল জমে রয়েছে মাসিরা ভেবেছিল খুব সুন্দর করে প্যান্ডেল সাজাবে। সেটাও করে উঠতে পারেনি বৃষ্টির জন্য। আমরা গিয়ে বেলুনের গেটের সামনে বেশ কয়েকটা ছবি তুলে নিয়েছিলাম। কারণ কাঁদার জন্য এদিক-ওদিক একটু ও হাঁটাচলা করা যাচ্ছিল না। এদিকে পাড়ার সকল লোকজন একটু বৃষ্টি থামলেই সকলে খুব তাড়াতাড়ি খেতে চলে এসেছিল। খাবার জায়গাতে প্রচন্ড ভিড় জমে গিয়েছিল। খুব তাড়াতাড়ি সমস্ত মানুষজনের খাবার আয়োজন করা শুরু হয়ে গিয়েছিল। সকলের আনন্দ সহকারে খুব তাড়াতাড়ি খাওয়া দাওয়া করে বাড়ি চলে গিয়েছিল। শেষে আমরা সকলে মিলে খেয়ে নিয়েছিলাম।
বৃষ্টিতে যতটা আনন্দ করবো ভেবেছিলাম তার বিন্দুমাত্র আনন্দ হয়নি।যার জন্মদিন তার সাথে ছবি তোলার সুযোগ হয়নি। অনেক আত্মীয় স্বজনদের সঙ্গে অনেক দিন পর দেখা হয়ে বেশ ভালো লেগেছিল। তবে বৃষ্টির জন্য অনেকেই আসতে পারিনি।সকলে খুব আনন্দ সহ করে খাওয়া দাওয়া শেষ করে ভেবেছিলাম একটু নাচ গান শুরু হবে ।তার আগে প্যান্ডেল ওয়ালা প্যান্ডেল খুলতে ব্যস্ত হয়ে পড়েছিল। খাবারের মেনু খুব হয়েছিল। আমার শ্বশুর মশাই আর বর দুজনে তাড়াতাড়ি খেয়ে চলে গিয়েছিল। শেষে আমরা সকলে মিলে বেলুনের গেটে থেকে বেলুন ছিড়ে রাতের বেলাতেই বেলুন ফাটাতে ব্যস্ত হয়ে পড়েছিলাম। এরপর গেটের কিছু বেলুন রেখে দিয়েছিলাম সকালে বোন খেলা করবে বলে।
শুধুমাত্র কয়েক মূহুর্তের আনন্দ।এর জন্য এত আয়োজন। যাইহোক দিদা ভীষণ খুশি হয়েছিল।সন্ধ্যার পর থেকে দিদাকে খুশি হতে দেখে ভীষণ ভালো লেগেছিল। অনেক দিনের ইচ্ছে পূরণ হয়েছিল। অনেক খাবার নষ্ট হয়ে ছিল সেদিন। রাতের বেলায় ওই খাবার আশেপাশে সকলকে বিতরণ করা হয়েছিল। রাত প্রায় দুটো বেজে গিয়েছিল।
আজ এই পর্যন্তই। আবারো নতুন কোন পোস্ট নিয়ে হাজির হব আপনাদের মাঝে।
Thank you 🙏