লক্ষী পুজোর প্রস্তুতি
নমস্কার বন্ধুরা, সকলে কেমন আছেন ?আশা করছি সকলেই ভালো আছেন। আজকে আবারো নতুন একটা পোস্ট নিয়ে হাজির হয়েছি আপনাদের মাঝে আশা করি সকলেরই ভালো লাগবে।
গতকালকে আপনাদের মাঝে শেয়ার করে নিয়েছিলাম আমার বাড়িতে মা আসার এক অন্যরকম অনুভূতি। গতকালকে ছিল বাড়িতে কোজাগরী লক্ষ্মীপুজো। হিন্দু ধর্মের প্রত্যেক বাড়িতে এই কোজাগরী লক্ষী পূজা হয়।তবে পুজো করাটাও খুব একটা সহজ কাজ নয়। আসলে যারা পুজো করে না তাদের কাছে একটু কঠিন লাগে সবকিছু। বাড়িতে যেহেতু শাশুড়ি মা নেই। তাই সমস্ত কিছু একা হাতে করতে হয়েছে। লক্ষী পুজোর আগের দিন বাজার করতে গেলেই বাজারে প্রচন্ড ভিড় থাকে ।ছোটবেলায় যখন দিদার সাথে লক্ষী পুজোর বাজারে করতে যেতাম তখন বাজারে ঢোকার উপায় থাকতো না ।তাই এ ব্যাপারে আমি আর দায়িত্ব নিতে চায়নি। সমস্ত দায়িত্ব ছোট মামাকে দিয়ে দিয়েছিলাম । ছোটমামা সমস্ত বাজার টুকটুক করে করে রেখেছিল।
আসলে পুজোয় কি কি জিনিস লাগে সেটাও আমার একদমই জানা নেই। কারণ পুজোর বিষয়ে আমি খুব বেশি আগ্ৰহী নয়। মামার বাড়িতে ও খুব বেশি পূজা অর্চনা করা হত না। তবে এ বছরে আমি জেদ করে পুজোটা করেছি । আমি আস্তে আস্তে সমস্ত কিছুর দায়িত্ব নিতে চায়নি।কারণ আমাদের গ্রামের বাড়িতে ঠাকুমা শাশুড়ি রয়েছেন ।উনি সমস্ত পুজো করেন। তাই সেভাবে কারোর বাড়িতেই কেউ নতুন করে পুজো করি না। আসলে আমাদের লক্ষী পুজোর দিন কাঁটা পুজো রয়েছে।নিয়ম অনুযায়ী দূর্গা পূজার অষ্টমীর দিন কাঁটা বসানো হয়।আর লক্ষী পুজোর দিন কাঁটা পুজো করতে হয়। কাঁটা বলতে আগেকার দিনে ওই জিনিসটা দিয়ে ধান মাপা হয়।প্রত্যেকের বাড়িতেই কোজাগরী লক্ষী পূজাতে পূজা করা হয়। তাই আমারও ইচ্ছে জেগেছিল যে শাশুড়ি মা না থাকলেও আমি একাই পুজোর অ্যারেঞ্জ করব। পুজোর আগের দিনটাই সমস্ত বাজার দোকান করা হয়ে গিয়েছিল। এরপর সন্ধ্যা বেলাতে পুজোর সমস্ত বাসন বের করে ধুয়ে রেডি করে রেখেছিলাম। মনের মধ্যে একটা ভয় কাজ করছিল ।যে হয়তো আমি সমস্ত অ্যারেঞ্জ করে উঠতে পারব না ।তাই আগের দিন রাত থেকেই সমস্ত কাজকর্ম করা শুরু করে দিয়েছিলাম।
আগের দিন রাত্রিবেলাতে বরকে দিয়ে সমস্ত আলপনা দিয়ে রেখেছিলাম। আমার আলপনা দিতে একদম ভালো লাগে না। কোনদিন সেভাবে আমি আলপনা দিইনি। তাই সেদিনকে ইচ্ছে করেই বরকে দিয়ে সমস্ত জায়গায় আলপনা এঁকে রেখেছিলাম। কারণ সকাল বেলায় ঘুম থেকে উঠে উনাকে আর পাওয়া যাবে না । আর রাত্রিবেলায় আলপনা দিয়ে রাখলে খুব ভালো ভাবে শুকিয়ে যাবে।পুজো করার অভ্যেস না থাকলে খুবই অসুবিধায় পড়তে হয়। সেটা এবারে আমি সব দিক থেকেই বুঝে গেছি। ইচ্ছে ছিল লক্ষ্মীপূজোয় মাকে সমস্ত ভোগ রান্না করে দেব। কিন্তু সেই সুযোগ হয়ে ওঠেনি। সমস্ত রান্না করতে গেলে নিরামিষ বাসন এর দরকার হয় ।সেগুলো শাশুড়ি মা কোথায় রেখে গেছে আমি আর ওনাকে জিজ্ঞেস করে বিরক্ত করতে চায়নি । যাইহোক এই ছিল আমার লক্ষী পুজোর প্রস্তুতি পর্ব। পরের মুহূর্ত অন্য কোন পোস্টে শেয়ার করে নেব।
আজ এইখানেই শেষ করছি।অন্য কোন পোস্ট নিয়ে হাজির হব আগামীকাল। সকলে ভালো থাকুন। সুস্থ থাকুন।
Hello there, you have posted a great quality post and we are happy to support you, stay up with good quality publications
Curated by wirngo