বৃষ্টির মধ্যে কেনাকাটা
নমস্কার বন্ধুরা, সকলে কেমন আছেন ?আশা করছি সকলেই ভালো আছেন। আজকে আবারও নতুন একটা পোস্ট নিয়ে হাজির হয়েছি আপনাদের মাঝে আশা করি সকলেরই ভালো লাগবে।
বৃষ্টি আমার ভীষণ প্রিয়। বৃষ্টির দিনটা সবসময়ই ঘরে বসে কাটাতে ইচ্ছে করে ।তবে বৃষ্টির সাথে মেঘ ডাকা বা বাজ পড়া একদমই অপছন্দ। বাইরে ঝমঝম করে বৃষ্টি পড়বে আর আমি ঘরে শুয়ে শুয়ে ফোন দেখে সারাদিন টা কাটিয়ে দেবো এইভাবে ভীষণ মজা করে বৃষ্টির দিনটা কাটায়। কারণ আমার বাড়িতে কোন কাজকর্ম না করলেও আমার শাশুড়ি মা কিছুই বলেন না। হয়তো দিদার কাছে থাকলে দিদা ভীষণ বকত। যাইহোক বৃষ্টির দিনে রাস্তায় বেরোতে একদমই ভালো লাগেনা। কারণ শহরের রাস্তাঘাট ভীষণ নোংরা। বৃষ্টি হলে আরো নোংরা গুলো রাস্তায় এসে পড়ে সেই রাস্তা দিয়ে হেঁটে যেতে একদম ইচ্ছে করে না। বাইরে বেরোলেই মনে হয় বাড়িতে এসে স্নান করতে হবে। সেদিন ঈশা হঠাৎ ফোন করে বলল বৌদি একটু কেনাকাটা করতে যাবে।
সেদিন ছিল 29 শে মে। আমাদের কৃষ্ণনগরে এ বছরই বড় শপিংমল জুডিও ওপেন হয়েছে। সেখানে আমার কোনদিনই যাওয়া হয়ে ওঠেনি। বর বলেছিল অবশ্য নিয়ে যাব। কিন্তু সময় হয়ে ওঠেনি। তাই যাওয়া হয়নি। আমাদের বাড়ি থেকে প্রায় অনেকটা দূরে। যেতে ১৫ থেকে কুড়ি মিনিট সময় লাগে ।৩০ টাকা করে টোটো ভাড়া নেয়। আমি ওর কথা শুনে রাজি হয়ে গিয়েছিলাম। কারণ বৃষ্টির দিনে রাস্তাঘাটে লোকজন কম থাকে ।যেকোনো শপিংমল বলুন কিংবা দোকান সব জায়গাতেই লোকজন কম থাকে। পরের দিন ছিল আমার জন্মদিন। তাই আমিও ভাবলাম শপিংমল থেকে যদি কোন জামা পছন্দ হয়ে যায় আমিও কিনে নেব। এই ভেবেই আমার যাওয়ার। এছাড়াও ভেবেছিলাম কয়েক জনের জন্য কয়েকটি জিনিস কিনবো।
কারণ ঈশা আমার জন্য একটা জামা অর্ডার করেছিল। সেটা ৩১শে মে ডেলিভারি হবে দেখাচ্ছিল।তাই আমি জন্মদিনের দিন কি জামা পরবো সেটা ভেবে উঠতে পারছিলাম না। আর ওই জামাটা যদি না এসে পৌঁছায় তাহলে অন্য জামা কেনার জন্যই আমার বেরোনো। যাইহোক বৃষ্টির মধ্যে গিয়েই পৌছালাম জুডিও তে।জুডিও তে অনেক কালেকশন দেখেছিলাম। কিন্তু আমার কোন জামাই পছন্দ হলো না আমি যে সব ধরনের জামা কাপড় পরি সেইসব জামা কোনটাই ছিল না। আসলে এই শপিংমল টা সদ্য ওপেন হয়েছে ।তাই সেই রকম কালেকশন নেই। তবে আমি তেমন কিছুই জিনিসপত্র কিনিনি। শুধুমাত্র একটা কনসিলার আর একটা পারফিউম এনেছিলাম। ঈশা ওর প্রয়োজনীয় বেশ কয়েকটা জিনিসপত্র কেনাকাটা করেছিল । কনসিলার দাম ১৯৯ টাকা।আর পারফিউম দাম ২৯৯ টাকা। আসলে এখানে কম দামে ব্র্যান্ডেড জিনিস পাওয়া যায়। তবে আর কারো জন্য কিছুই কিনতে পারিনি।
ওখান থেকে পছন্দ হলো না তাই পাশে ট্রেন্ডস ,ইজি বাই এই দোকানগুলোতে ও ঘুরে ছিলাম। কিন্তু এই দোকানে জিনিসের দাম অনেকটাই বেশি। তাই ওখান থেকেও আমি তেমন কিছুই কিনিনি। এরপর টোটো ধরে সোজা চলে এসেছিলাম আমাদের কৃষ্ণনগরে যেখান থেকে কেনাকাটা করি সেই দোকানে। ওখান থেকে ঈশা আমার জন্য একটা জামা কিনে দিয়েছিল ।জামা কেনার পর ওখান থেকে চলে গিয়েছিলাম একটা জুয়েলারির দোকানে ।ভেবেছিলাম নিজের জন্য নিজেকে একটা জুয়েলারি গিফট করবো। কিন্তু এখন যা সোনার দাম তা দেখে আর আমার একদমই কিনতে ইচ্ছে করল না। একটা জুয়েলারি আমার পছন্দ হয়েছিল। কিন্তু তার আকাশ ছোঁয়া দাম দেখে আমার একদমই নিতে ইচ্ছে করলো না।
এবারে জুয়েলারি দোকান থেকে বেরিয়ে চলে গিয়েছিলাম পাশেই কেকের দোকানে।যেহেতু পরের দিন ছিল জন্মদিন ।তাই ওখান থেকে জন্মদিনের কেকটা কিনে নিয়েছিলাম। পরের দিনকে আবার কাকে পাঠাবো কিনতে কিংবা আসার সুযোগ হবে কিনা এই ভেবে কেকটা নিয়ে যাওয়া। এখানে খুব ভালো কেক পাওয়া যায়। খেতে ও খুব ভালো হয়। দামটা একদমই ঠিকঠাক নেয়। কেক টার দাম মাত্র ১৬৫ টাকা নিয়েছিল। কেকটা খেতে খুব সুস্বাদু হয়েছিল।এরপরে কেকটা কেনা হয়ে গেলে টোটো ধরে বাড়ি ফিরে এসেছিলাম ।বৃষ্টির মধ্যে সেদিন দুজনে বেশ ভালোই বাইরে সময় কাটিয়েছিলাম। সুযোগ পেলেই আমরা দুজনেই এইভাবেই বাইরে সময় কাটায়। বাড়ি ফিরতে প্রায় সাড়ে চারটে বেজে গিয়েছিল।
আজ এই পর্যন্তই। আবার অন্য কোন পোস্ট নিয়ে হাজির হব আপনাদের মাঝে।
This post has been curated by
Team #5
@damithudaya
Thank you 🙏