বৃষ্টি ভেজা বিকেল
নমস্কার বন্ধুরা, সকলে কেমন আছেন ?আশা করছি সকলেই ভালো আছেন। আজকে আবারো নতুন একটা পোস্ট নিয়ে হাজির হয়েছি আপনাদের মাঝে আশা করছি সকলেরই ভালো লাগবে।
গতকাল ছিল রবিবার। গতকালকে ছিল আমার মাসির মেয়ের জন্মদিন। মাসি বলতে আমার মায়ের ছোট কাকার মেয়ে। মাসির মেয়ের নাম সম্প্রীতি। তার জন্মদিনের আয়োজন করা হয়েছে আমাদের কৃষ্ণনগরে। মাসির বিয়ে হয়েছে অন্য জায়গায়। কিন্তু দিদার ভীষণ ইচ্ছে তার নাতনির জন্মদিন খুব ধুমধাম সহকারে পালন করবার। কারণ এখন মানুষের কথা একদমই বলা যায় না। যখন তখন যা খুশি হয়ে যেতে পারে। তার বিয়ে পর্যন্ত উনি বেঁচে থাকবেন কিনা কেউই জানে না।তাই বোনের জন্মদিনের অনুষ্ঠানটা দেখে যেতে চাই। উনার ইচ্ছে কে সম্মান জানানোর জন্য এই জন্মদিনের অনুষ্ঠান। আমার মনে হয় সমস্ত বয়স্ক মানুষের বেঁচে থাকতে থাকতে তাদের ইচ্ছে ও মতামত কে গুরুত্ব দেওয়া উচিত।তারা ও ভীষণ খুশি হয়। কিন্তু সকলেরই ভীষণ ভয় যে বৃষ্টি হবে কিনা। যেহেতু বর্ষাকাল ।তাই যখন তখন বৃষ্টি চলে আসছে। সম্প্রীতি যেদিন হয়েছিল সেদিনও প্রচন্ড বৃষ্টি হয়েছিল। যাইহোক গতকাল প্রায় সারাদিনই কড়া রোদ হয়েছিল।
কিন্তু বিকেল বেলাতে কালো মেঘ ঘনিয়ে আসে সকলেরই ভয় ধরে গিয়েছিল। বলতে বলতে হঠাৎ করে চলে আসে ঝমঝমিয়ে বৃষ্টি। মামার বাড়ির পাশেই একটা মন্দির রয়েছে সেখানে বেলুনের গেট সাজানো হচ্ছিল। আমরা মন্দিরে নিচে থেকে দাঁড়িয়ে দাঁড়িয়ে দেখছিলাম। আর মন্দিরের সামনে সমস্ত বাচ্চারা খেলাধুলা করছিল। বৃষ্টি আসতেই সকলের মন খারাপ শুরু হয়ে গেল। প্রচুর রান্নার আয়োজন করা হয়েছিল ।সেখানেও বৃষ্টি পরতে শুরু করে। বাড়িতে প্রচুর লোকজন রয়েছে, বৃষ্টিতে সব ন্যাচাকার হয়ে গিয়েছিল। সকলের আনন্দে প্রায় জল ঢেলে গেল। দুপুরের সমস্ত আয়োজন ঠিকঠাকই চলছিল। আকাশের অবস্থা দেখে ভাবছিলাম আজকে ভীষণ মজা করব সকলে মিলে।
বৃষ্টিতে ভিজতে ভালোই লাগে। কিন্তু বৃষ্টিতে ভিজলে রাতের বেলায় আর সাজতে পারবো না। তাই বৃষ্টিতে ভেজা হয়নি। সকলেই সারা বিকেল মুখ গোমড়া করে বসে ছিলাম। রাতের বেলায় কি হবে তা আমাদের আর কিছু জানা ছিল না। অনেক কিছু আয়োজন করার পর যখন এইরকম বৃষ্টি আসে তখন সকলের মন খারাপ তো করবেই ।ইচ্ছে ছিল প্রথম থেকে লজে অনুষ্ঠান করবে। কিন্তু লজে আয়োজন করলে বেশি আনন্দ করা যায় না। তার জন্য সকলের ইচ্ছে পূরণ করার জন্য বাড়িতে করা হয়েছে। আমাদের বাড়ির পাশে একটা ফাঁকা জায়গা করে রয়েছে । বেশিরভাগ আমাদের পাড়াতে প্রত্যেকের বাড়িতে কোন অনুষ্ঠান করা হলে ওইখানেই করা হয়।
মুষলধারে বৃষ্টির পরে সন্ধ্যার সময় একটু বৃষ্টি থেমে ছিল। কিন্তু চারিদিকে জল জমে ভেসে গিয়েছিল। বৃষ্টি একটু থামার পর সকলে মিলে জল ছাকার জন্য ব্যস্ত হয়ে পড়েছিল। যাইহোক আজ এই পর্যন্তই। সন্ধ্যার অনুষ্ঠানের মূহুর্ত অন্য পোস্টে শেয়ার করে নেব।
সকলে ভালো থাকুন।সুস্থ থাকুন। আবারো অন্য পোস্ট নিয়ে হাজির হব আগামীকাল।