Better Life With Steem / The Diary game / 3- December- 2024
আসসালামু আলাইকুম। আশাকরছি সবাই ভালো আছেন, আমিও আলহামদুলিল্লাহ্ ভালো আছি । ইন্ডিয়ান বাসী বাংলাদেশ বাসী সবাইকে জানাই আমার পক্ষ থেকে আন্তরিক শুভেচ্ছা ও সবার প্রতি আমার ভালবাসা রইল।
আল্লাহতালা আরেকটি দিন আমাকে বেঁচে থাকার সুযোগ দিল । আমি অনেক রাত পর্যন্ত জেগে থাকি তাই এত সকাল বেলা আমি উঠতে পারি না তারপরও আজকে খুব তাড়াহুড়ায় করে সকাল ছয়টার দিকে উঠছি। একটু চারদিকে তাকাইলাম দেখলাম পাখির কিচির মিচির শব্দ শুনতে পাচ্ছি আবার কখন যে ঘুমিয়ে পড়লাম ! বুঝতে পারলাম না পরে আবার সকাল আটটার দিকে উঠলাম। উঠার পর একটু ছাদে গেলাম গাছে পানি দিলাম। পরে আমার ভালবাসার কবুতরকে খাবার দিলাম- পরে ওয়াশরুমে গেলাম ওয়াশরুমে থেকে ফিরে এসে দেখি আম্মা একটু অসুস্থ হয়ে পড়েছে তাই ঘুমিয়ে রয়েছে। ঘরে কিছু ব্রেট ছিল আর একটু দুধ ছিল এগুলাতে সকালবেলার নাস্তা করে শেষ করলাম। পরে মায় ঘুম থেকে উঠে আমাকে বলল ঘরে সয়াবিন তেল নাই। পরের তেল আনার জন্য বাইরে যাব এই কথা শুনে আমার ছোট্ট ভাগ্নি সুমাইয়া ওই সব সময় আমার পিছে পিছে কান্নাকাটি করে সব সময় আমার সাথে বাহিরে যেতে চায় ,কি একটা প্যারা তারপর ওরে নিয়ে তেল আনার উদ্দেশ্যে আমাদের বাড়ি পাশে দোকানে গেলাম দোকানে যেয়ে দেখলাম সোয়াবিন তেলের মূল্য এক লিটার ১৯০ টাকা, পরে চিন্তা করলাম না একটু সামনে যাই আরেক দোকানে যাইয়া শুনি ১৮০ টাকা লিটার তারপর চিন্তা করলাম না আরেকটু সামনে যাই! বড় একটা- পাইকারি দোকানে ওদের কাছে গেয়ে শুনি তেলের দাম ১৬৭ টাকা করে লিটার। তখন আমি ভেবে দেকলাম আমাদের এলাকায় একটাও সৎ ব্যবসায়ী না সব চিটার বাটপার দিয়ে দেশ ভরে গেছে।
আচ্ছা যাই হোক তেল কিনে নেওয়ার পর বাসায় উদ্দেশ্য রওনা দিলাম আগে যে বললাম আমার সাথে একটি প্যারা আছে এই হল আমার ভাগ্নি ওই আমাকে অনেক ভালোবাসে আমি বুঝি,কিন্তু ওর ভালোবাসাটা মাঝে মাঝে এই রকম আমারে প্যারা দেয়- যে আমি অনেক বিরক্ত হয়ে যাই তারপরও আমি ওরে অনেক ভালোবাসি সুমাইয়া আর দুষ্টামি ওর অভিমান ওর কান্না সবকিছু আমার কাছে অনেক স্মৃতি হয়ে থাকে, এখন আমারে বলতাছে মজা কিনা দেওয়ার জন্য সে আবার কম টাকার মজা খায় না সে বড় বড় দোকানে যায় ওই দোকানে যেয়ে দামি - খাবার দেখাইয়া দে ! আর না দিলে কান্নাকাটি করে অভিমান করে, তেল কিনা শেষ এখন ওরে মজা কিনে দিতে হবে আর কি করবো অবশেষে মজা কিনে দিলাম । তাঁর পর মামা ভাগ্নি বাসায় চলে আসলাম।
দুপুর বেলায় এক ঘন্টা ঘুমাইলাম তারপর কবুতরগুলো ছেড়ে দিলাম ছেড়ে দিলাম ওরা মুক্ত আকাশে উড়ে গেল। কিন্তু হঠাৎ করে মা বলতাছে ডাক্তার দেখাবে এক্সরে আছে!আমি আম্মা আর সুমাইয়া-মিলে গেলাম একটি ডায়াগনস্টিক-সেন্টারে।
ওইখানে গিয়ে আম্মার এক্সরে করালাম পরে বাসায় ফিরে আসলাম এই তো আজকের দিনটা এভাবে আমি কাটাইলাম ! সবাই ভালো থাকবেন সুস্থ থাকবেন আমার জন্য দোয়া করবেন আমার পরিবারের জন্য দোয়া করবেন। আল্লাহ হাফেজ।
আমার যদি কোন প্রকার ভুল ত্রুটি হয়ে থাকে তাহলে সবাই ক্ষমার দৃষ্টিতে দেখবেন আপনাদের এই সুন্দর সুন্দর মন্তব্য গুলো আমার কাছে অনেক অনুপ্রেরণা আর অনেক মূল্যবান হয়ে থাকবে।