Better Life With Steem || The Diary game || 18- Dec-2024

in Incredible India6 months ago

আসসালামু আলাইকুম।আশাকরছি সবাই ভালো আছেন,আমিও আলহামদুলিল্লাহ্ ভালো আছি। ইন্ডিয়ান বাসী, বাংলাদেশ বাসী,সবাইকে জানাই আমার পক্ষ থেকে আন্তরিক শুভেচ্ছা ও সবার প্রতি আমার ভালবাসা রইল।শুকরিয়া করি আল্লাহকে, আরও একটা দিনের বাঁচার সুযোগ করে দিল।


1000005115.jpg

আজকে সকাল বেলা ঘুম থেকে উঠলাম ৮ দিকে। সকালবেলা থেকে আব্বা ডাকাডাকি শুরু করছে। গ্যাসের বিল দিতে হবে, তাই ব্যাংকে যেতে হবে, এবং বিল দেওয়ার আগে বুথ থেকে টাকা উঠাতে হবে। আমি বিছানায় শুয়ে-শুয়ে আব্বারে বলছি, এত সকালে কি ব্যাংক খুলে নাকি। তুমি না ব্যাংকে চাকরি করছ, ব্যাংকের কার্যক্রম শুরু হইবো সকাল দশটায়। আব্বার চেঁচা-মেচি শুরু করছে। আর ঘুমাতে পারলাম না ঘুম থেকে উঠে পড়লাম। প্রতিদিনের মতন ফ্রেশ হয়ে নাস্তা করলাম। গ্যাস বিলের কাগজটা হাতে নিলাম, গ্যাস বিল দেওয়ার জন্য আব্বায় কিছু টাকা দিল , আর বাকি টাকা বুথ থেকে উঠাইতে হবে।


1000005107.jpg

1000005121.jpg

পরে সকাল ৯:৩০ টার দিক। সর্বপ্রথম বুথে গেলাম, যে দেখলাম একটা লোক বুথে ভিতরে টাকা উত্তোলন করছে। আমিও কিছু ছবি তুলে নিলাম। পরে আমি ঢুকলাম, বুথ থেকে কিছু টাকা নিলাম।

ব্যাংকের উদ্দেশ্য যাত্রা শুরু করলাম।
ব্যাংকে যেয়ে দেখি পাঁচ সাত জনের পিছে আমি, আর কি করার, আব্বার কথা ভাবতাছি, আব্বা ঠিকই বলেছিল তাড়াতাড়ি ব্যাংকে যা। নইলে অনেক সিরিয়ালে থাকতে হবে। পরে সিরিয়াল ধরে গ্যাস বিল দিলাম।


1000005123.jpg

বাসায় চলে আসলাম দুপুর বেলায় খাওয়া দাওয়া করে। এক ঘন্টা বিশ্রাম নিলাম,বিশ্রাম নেওয়ার পর ছাদে গেলাম ছাদে গিয়ে চিন্তা করছি আজকে কি কবুতর উড়াবো নাকি উড়াবো না। কেননা এই যে কবুতর গুলি দেখছেন এই কবুতরগুলো আকাশে উড়াইলে ,তিন ঘন্টা, চার ঘন্টা, আকাশে উড়ে, আর নামতে চায় না, সন্ধ্যা হয়ে যায় পরে দেখা যায়। পরের দিন আবার বাসায় আসে, এইভাবে আমার অনেক কবুতর হারিয়ে গিয়েছে। আবার আমার পাশের এলাকার একটা ভদ্র লোক আছে , উনি কবুতর ধরলে আর দেয় না, তাই চিন্তা করে আজকে কবুতর ছাড়ি নাই।


1000005116.jpg

সন্ধ্যার সময় জাকারিয়ার বাসায় যেতে হবে এই উদ্দেশ্য
বাসার থেকে বের হলাম।

1000005118.jpg

1000005120.jpg

1000005117.jpg

1000005119.jpg

জাকারিয়ার বাসায় গেলাম যাইয়া দেখি ওদের বাড়ির সামনে একটা মাঠ রয়েছে, ওইখানে অনেকগুলো বাচ্চা ছেলে-পেলে মিলেমিশে একটি ব্যাডমিন্টন খেলার মাঠ তৈরি করেছে। দেখে অনেক ভালো লাগলো, জাকারিয়া আমাকে বলছে ব্যাডমিন্টন খেলবেন নাকি ভাই- আমিও বলে ফেললাম তাহলে খেলা যায়! জাকারিয়া আর আমি মিলেমিশে তিনটা গেম খেললাম অনেকদিন পর খেলে খুব ভালো লাগলো আরো অনেক মজা করলাম। তিনটা গেম খেলার পর, আমার আর শরীর চলেনা।

সত্য কথা বলতে অনেক বছর পর ব্যাডমিন্টন খেললাম। আর ব্যাডমিন্টন খেলার উদ্দেশ্য আসি নাই, জাকারিয়ার বাসায় আমার একটি কাজ ছিল - তাই প্রস্তুতি নিয়ে মাঠে নামি নাই। আজকে এই ভাবে সারাটা দিন শেষ করলাম।


            আমাদের সবার উচিত

আমাদের সবার উচিত শরীর ফিট রাখার জন্য খেলাধুলার ঊর্ধ্বে কোন বিকল্প নাই। এইটা সবচাইতে সহজ উপায় নিজের শরীরকে পরিবর্তন করা বা ফিট রাখা। আমি মনে করি কেউ যদি খেলাধুল করতে না পারেন, তাহলে বাসায় শারীরিক ব্যায়াম করা অথবা মেডিটেশন করা দরকার প্রতিদিন, তাতে আমাদের স্বাস্থ্য মন দুইটাই ভালো থাকবে।


              কিছু কথা

আমার যদি কোন ভুল ত্রুটি হয়ে থাকে তাহলে সবাই ক্ষমার দৃষ্টিতে দেখবেন সবাই ভালো থাকবেন সুস্থ থাকবেন।


         ১৮ই-ডিসেম্বর-২০২৪ সাল


Sort:  
 6 months ago 

আমার বাবাও আপনার বাাবার মতোই ছিলো।সকাল ১০ টায় কোন কাজ থাকলে সে পারলে ভোর চারটা থেকে ডাকাডাকি শুরু করতো। অবশ্য এর পেছনে তাদের অনেক অভিজ্ঞতা জতিয়ে থাকে।আর এই অভিজ্ঞতা থেকেই যেমন আপনার বাবা বুঝতে পেরেছিলেন যে আফে ব্যাংকে না গেলে পরে লাইন এর পেছনে দাাাড়াতে হবে।
আপ নার কবুতরের গল্প পড়ে আমার ইদানীং কবুতর পালার শখ হচ্ছে।

 6 months ago 

ধন্যবাদ আপু এত সুন্দর একটি মন্তব্য করার জন্য। হ্যাঁ কবুতর সবার পালন করা উচিত আমি মনে করি, পশুপাখি পালন করলে মন ভালো থাকে। ভালো থাকবেন, সুস্থ থাকবেন।

Loading...
 5 months ago 

সপ্তাহের শেষের দিন আর শুরুর দিনে ব্যাংকে সব সময় বেশি ভীড় থাকে,যার যেসব ব্যাংকে ইউটিলিটি বিল জমা নেয় সেখানে আলাদা লাইন পড়ে যায়, এই কারণেই হয়ত আপনাকে সকা সকাল তাগদা দিয়েছে।

শীতের মজা এই ব্যাডমিন্টন খেলা। আমিও রাতে এই খেলা শুরু করে দিয়েছি।

 5 months ago 

আমার পোস্টটি সম্পূর্ণভাবে পড়ার জন্য আপনাকে ধন্যবাদ ভাই। আপনি ঠিকই বলেছেন এই শীতের বেলা ব্যাডমিন্টন খেললে শরীর গরম থাকে আর খেলাধুলা করলে এমনিতেই মন ভালো থাকে। ভালো থাকবেন, সুস্থ থাকবেন।