সেই পুরনো কিছু স্মৃতি,,,
খুব খুব মনে পড়ছে আজ। এত বেশি মনে পড়ছে যে ডানাওয়ালা পাখি হলে সত্যিই উড়ে যেতাম। তার কাছে।কি যে লিখবো কিছু আমি ভেবে পাচ্ছিনা তবে, শুধু এতোটুকু বলতে ইচ্ছা করছে আজ পুরনো দিনের স্মৃতিগুলো অনেক বেশি মনে পড়ছে।
কোথায় যে হারিয়ে গেল সেই রঙিন দিনগুলো স্বপ্নের মত একটা বছর কাটিয়েছি, এখন মনে হয় সেই স্বপ্ন থেকে জীবনে ফিরেছি, কত সুন্দর ছিল সেই দিনগুলো,এখন মনে পড়লে কিছুই যেন বলতে ইচ্ছা হয় না শুধু চুপ করে থাকা, আর চোখের কোনে এক ফোটা জল যেন সবকিছু নিজেকে বুঝিয়ে দেয়।
সকালে ঘুম থেকে ওঠা থেকে শুরু করে রাতে ঘুমাতে যাওয়া অব্দি তার ছায়ায় যেন আমাকে আগলে রাখতো,হুটহাট বায়না করা, কোথায় ঘুরতে যাওয়া, মন খারাপ হলে নিমিষেই মনটা কে ভালো করে দেওয়া। সকাল থেকে সন্ধ্যা অব্দি ডিউটি শেষে বাসায় এসে আমার জন্য তার যত্ন দিয়ে নাস্তা তৈরি করা, আর খেতে খেতে একসাথে গল্প করা,,।সবকিছু এখন স্মৃতি হয়ে আছে। খুব বেশি মিস করছিলাম সেই দিনগুলো,, জানিনা না ও রকম খুঁজে পাবো কি না তবে, এগুলো এই এখন আমার জীবনের সঞ্চয়।
আমাদের জীবন টা বড্ড বিচিত্র্যময়, কখন কোথায় নিজেকে মানিয়ে নিতে হবে তার সৃষ্টিকর্তা আমাদের ভিতরে এমন ভাবে দিয়ে দেয় যা সত্যি বোঝা অসম্ভব, তার সাথে থাকা কালীন মনে হতো, এই মানুষ টা কে ছাড়া একা থাকতে পারবো না কিন্তু এখন একা থাকাও শিখে গিয়েছি।উপস্থিত নিজেকে আড়ালে ভাবায় তবে, এখন একা থাকতে শিখেছি প্রতিমুহূর্তে মনে পড়ে ঠিকই তবে মনকে বুঝাতে এখন শিখেছি।
কারণ, জীবনে ভালো থাকতে গেলে অনেক কিছুই ত্যাগ করতে হয় তাইতো আমিও শিখে দিয়েছি প্রিয় মানুষটির কাছ থেকে দূরে থাকা। আজ অনেক দিন পরে ফোনের গ্যালারি দেখছিলাম তো সেখান থেকে কয়েক টা ছবি নিলাম আপনাদের সাথে শেয়ার করার জন্য, এই ছবিগুলো আমার ভীষণ প্রিয় কারণ কিছু কিছু মুহূর্ত থাকে যেগুলো ব্যাখ্যা লিখে বোঝানো সম্ভব নয়।
তাদের অফিসে কোন একটা প্রোগ্রাম ছিলো সেদিন। তো সেই অনুষ্ঠানে অনেক গোলাপ ফুল হয়েছিলো। আর সে জানতো গোলাপ ফুল আমি ভীষণ পছন্দ করি। তাই একগাদা গোলাপ ফুল থেকে আমার জন্য পকেটে করে একটা গোলাপ নিয়ে এসেছিলো,৷ ভালোবাসা প্রকাশ করার জন্য অনেক টাকা পয়সা এবং অনেক ধন-সম্পদের প্রয়োজন পড়ে না, আমার কাছে মনে হয় একটা মানুষকে বোঝাটাই হচ্ছে সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ।
এই ছবিটা ছিল ধানমন্ডি লেক পাড়ে, একদিন বিকাল বেলা দুপুরে অফিস থেকে আসার পরে আমি এবং আমার মেয়ে বায়না ধরেছি বাহিরে যাওয়ার জন্য। তবে সে তো নাছোড় বান্দা একবার বিছানায় গা দিলে আর কোনভাবেই তাকে উঠানো যাবে না। কোনভাবে এই রাজি হচ্ছে না বাহিরে যাওয়ার জন্য কিন্তুু আমি বাসায় থাকতে থাকতে খুবই বিরক্ত হচ্ছিলাম সেই সাথে আমার মেয়ে ও এরপরে দুজনের মিলে টেনে তুলে ঘুরতে গিয়েছিলাম। তার কথা ছিল মাত্র এক ঘণ্টা ঘুরবে, আর সেই মানুষটা এই বিকাল বিকেল চার টা থেকে রাত এগারো টা পর্যন্ত বাইরে ছিলাম।
এরকম কিছু কিছু সময় আমাদের স্মৃতিগুলো আরও বেশি জাগিয়ে তোলে,।
এটা ছিল কোন একদিন সন্ধা বেলা।
সন্ধ্যায় যেদিন বাসায় থাকতো প্রত্যেক দিন এই শুরু হতো আজ কি নাস্তা বানানো হবে এবং এই নিয়ে মনে হয় আমাদের দুই জনের ভিতরে তর্ক বিতর্ক আধা ঘন্টা এক ঘন্টা কেটে যেতো,তো সেদিন আমার ইচ্ছা করছিলো পুরি খাওয়ার জন্য কিন্তু আমি পারি না। আর আমি জানি সেও পারেনা,,,।
এরপরে ইউটিউবে ভিডিও দেখে একা একা আমার জন্য পুরি তৈরি করেছিলাম, এটা দেখতে সামান্য পুরি তবে আমার কাছে এর মূল্য ছিল বিশাল, কারণ যে মানুষটার রান্নার প্রতি কোন অভিজ্ঞতাই নেই সে আবার আমার জন্য পুরি তৈরি করেছে ,, এই ছোট খাটো বিষয় গুলো আজ হঠাৎ করে ভীষণ মনে পড়ছিলো,,,তাইতো শেয়ার করে নিলাম আপনাদের সাথে।
মাঝে মধ্যে খুব আফসোস হয় যদি আবার এরকম দিন ফিরে পাওয়া যেতো,,জানিনা কি হবে, তবে মনে হয় না আর এরকম রঙিন দিন ফিরে পাবো। তাইতো নিজের সান্তনা দিতেও শিখে গিয়েছি কারণ আমি আপনি সবার এই দুনিয়া ক্ষণস্থায়ী,,আমাদের " ডান পাশ থেকে বাম পাশের চোখের যতটুকু দূরত্ব তার থেকেও বেশি দূরত্ব আমাদের মৃত্যু" তাই তো সব সময় নিজেকে ভালো রাখতে হবে, এই জীবনে যতই খারাপ পরিস্থিতি আসুক না কেন।
তবে, সবশেষে বলা যায় আলহামদুলিল্লাহ,,কারণ কাছের মানুষ টা দূরে থাকলেও তার ভালোতে এই আমি ভালো আছি। এই ছোট ছোট স্মৃতি গুলো নিয়ে না হয় বাকি দিনগুলো কাটিয়ে দিবো,তাই আজও আবার এই লেখার মাধ্যমে এই প্লাটফর্মে স্মৃতি করে রাখলাম।
SPOT-LIGHT TEAM: Your post has been voted on from the steemcurator07 account.
Thank you