ইলেকট্রনিক্স কেনাকাটা
নমস্কার বন্ধুরা। আশা করছি সকলে সুস্থ আছেন।গতকাল আমি আপনাদের সকলকে শেয়ার করেছি হঠাৎ করে ইলেকট্রনিক্স জিনিস কিনতে যাওয়ার কথা। এসি কেনার কথা লিখেছিলাম।
কিন্তু সেটা হয়ে যাওয়ার পর যখন আমরা বিলিং সেকশনে আসলাম, ওরা বলতে লাগলো আমরা যদি একসাথে আরো কিছু এড করতে চাই ,তাহলে অ্যাড করতে পারি ।তাহলে অনেকটাই অফার পাওয়া যাবে অন্য প্রোডাক্টগুলোতে। বাবা সেই মতো অনেকক্ষণ ধরে টিভি দেখছিল।
আমি বহুবার বাবাকে বারণ করলাম টিভি নেওয়ার জন্য। সত্যি বলতে ঈশান সারাদিন খেলা, আর বিশেষ করে যেহেতু এখন গেজেটের দুনিয়া। ফোন ,গেম এগুলো তো রয়েছে। এগুলো নিয়েই থাকতে চায় বেশি।ওকে সবদিক থেকেই আমরা একটু চেষ্টা করি আলাদা রাখার। কম্পিউটারে এইজন্য পাসওয়ার্ড দেওয়া থাকে। এর সাথে ফোনে যাতে হাত না দেয় ,সেটাও লক্ষ্য রাখা হয়।। এর সাথে যদি অত বড় টিভি আবার লাগিয়ে দেয়া হয়,তাহলে ও তো পুরো পাগলই হয়ে যাবে। বাড়িতে একটা টিভি অলরেডি আছে । তবে বাবা চাইছিল নতুন ঘরের জন্য একটা বড় দেখে টিভি কিনতে।
আমার বারণ করাতে বাবা টিভির দিকে গেল না। তবে টিভিগুলোর কোয়ালিটি দেখে আমারও খুব ভালো লাগছিল। তবে টিভি থেকে আমার বেশি প্রজেক্টর পছন্দ। যাইহোক বাবার সাথে আমি ফ্রিজের দিকেও গেলাম। ফ্রিজ বাড়িতে অলরেডি একটা আছে। কিন্তু মা বলেছিল আরো একটা ফ্রিজে লাগবে। একটা ফ্রিজ পুরোপুরি নিরামিষ রাখবে । ফ্রিজগুলো এত সুন্দর দেখতে ছিল ২৫ থেকে ত্রিশ হাজার , ৪০ হাজারের মধ্যেই দুর্দান্ত ডাবল ডোর এর ফ্রিজ রাখা ছিল। আমার অনেকগুলো পছন্দও হয়েছে।
এসব দেখতে দেখতে হঠাৎ মনে হল লাগবে ওয়াশিং মেশিন আর মাইক্রো ওভেন। সত্যি বলতে আমাদের বাড়িতে যে মাসি কাজ করে, প্রথম থেকেই কাপড় কেঁচে দেয়। মাসী কতদিনই বা আর কাঁচতে পারবে। যখন বয়স বাড়বে সকলেই ক্লান্ত হয়ে যাবে। আর আমরা টুকটাক নিজের জিনিসপত্র নিজেরাই কেঁচে নিই।কিন্তু আমার হাতের সমস্যার কারণে ওয়াশিং মেশিন খুবই প্রয়োজন। ডাক্তার পুরোপুরি ডিটারজেন্ট ছুঁতে নিষেধ করেছে।
অবশেষে ওয়াশিং মেশিন নেওয়ার কথা ঠিক হলো। আমরা যে ওয়াশিং মেশিনটা নিলাম ,সেটা সাড়ে নয় কেজি । Whirlpool কোম্পানির ওয়াশিং মেশিন বেশ ভালো,, সেটা আমি আগেই শুনেছি। যাইহোক আমরাও তাই নিলাম।দাম নিল ২৪,০০০ টাকা। অর্থাৎ ভারতীয় দামে ২০০০ steem।
এরপর আমার মাইক্রোওভেনের দিকে চোখ পড়ল। আমার বহু দিনের ইচ্ছা ছিল একটা মাইক্রোওভেন নেব। যেহেতু আমি প্রচন্ড পরিমাণে বাড়িতে কেক বানিয়ে থাকি। একটা ভালো মাইক্রোওভেন হলে কেক বানাতে সুবিধা হয়। আর মাইক্রোওভেনে কেক টা খুব ভালোভাবে হয়। তাই স্যামসাং কোম্পানির একটা মাইক্রোওভেন নেয়া হলো। সেটার দাম পরল ১১ হাজার টাকা। অর্থাৎ ভারতীয় দামে ৯১৬ steem।
সব কটা প্রোডাক্টটি আমার আর আমার বাবার ভীষণ পছন্দ হয়েছে। আমরা বিলিং সেকশনে সমস্ত কাজ শেষ করে বাড়ি আসতে আসতে দুপুর আড়াইটা বেজে যায়। কতক্ষণ আমরা না খেয়ে স্নান না করে ওসব করছিলাম।। বাড়িতে আসার সাথে সাথে রীতিমতো বকাবকি শুরু করল মা। কারণ মার দরকার ছিল ফ্রিজ আর এ সি। সে জায়গায় উল্টে আমরা ওয়াশিং মেশিন আর মাইক্রোওভেন নিয়ে এসেছি। মাকে সান্ত্বনা দিয়ে বলা হলো খুব তাড়াতাড়ি একটা ফ্রিজও এনে দেয়া হবে।
যেহেতু পরের দিনই বাড়িতে পুজো, তাই ডেলিভারি এবং ইনস্টলমেন্ট সবকিছুই সেদিনকেই করতে বলে দেয়া হয়েছিল। খোসলা বাজার থেকে আমাদের সমস্ত কিছু কেনা তাই ওরা অনেকটাই চেনাশোনা। আমাদের সুবিধার্থে ওরা রবিবারেই এসি ইন্সটল করে দিয়ে গিয়েছিল আমার ঘরে। বাকি ওয়াশিং মেশিন আর মাইক্রোওভেন ওরা ডেলিভারি দিয়ে দিয়েছিল। সেদিন হুটোপাটা করে এত কিছু কেনা হয়ে যাবে আমি ভাবতে পারিনি। তবে অনেকগুলো টাকার বাজার হয়েছে। তবে এই জিনিসগুলো লাইফটাইম জিনিস। কেনার প্রয়োজনও ছিল। সমস্ত ছবি আপনাদের সাথে শেয়ার করতে পেরে ভালো লাগলো।