অ্যাটেনডেন্স রেজিস্টার ||Attendence Register - School Based Activity

in Incredible India21 days ago

নমস্কার বন্ধুরা, আশা করছি সকলে সুস্থ আছেন।। আমি বেশ কিছুদিন আগে আপনাদের সাথে শেয়ার করেছিলাম আমার বিএড কোর্সের একটি প্রজেক্ট এর কথা ।যেখানে আমাকে তিনটি বিষয়ে অ্যাক্টিভিটি করতে হয়েছিল। প্রজেক্টটির নাম স্কুল বেসড একটিভিটি ।

স্কুলের টিচিং চলাকালীন এই একটিভিটি করে, তার ওপর আমাদের প্রজেক্ট করতে হয়েছে। অলরেডি আমি আপনাদের সাথে দুটো এক্টিভিটি সম্পর্কে শেয়ার করেছি। একটি ছিল মর্নিং অ্যাসেম্বলি , অন্যটি ছিল মিড ডে মিল। আজকে আমি আপনাদের সকলের সাথে শেয়ার করতে চলেছি অ্যাক্টিভিটি থ্রি - অ্যাটেন্ডেন্স রেজিস্টার

20240930_133241.jpg

অ্যাটেনডেন্স রেজিস্টার

প্রথমেই জেনে নেওয়া যাক ,অ্যাটেনডেন্স রেজিস্টার কি। শিক্ষা ব্যবস্থার একটা বিশেষ অঙ্গ হল শিক্ষার্থী। তাই তাদের অনুপস্থিতি আর উপস্থিতি শিক্ষা ব্যবস্থার একটা মূল অঙ্গ। শিক্ষার্থীদের অত্যাধিক অনুপস্থিতি শিক্ষার বিকাশের পথে একটা বড় বাধা হয়ে দাঁড়ায়। শিক্ষার্থীদের উপস্থিতির হার নিয়মিতভাবে কম থাকলে শিক্ষার্থী ও বিদ্যালয় উভয়েরই সার্বিক সাফল্য লাভ করতে সমস্যা হয়ে যায়। তাই শিক্ষার্থী যাতে নিয়মিত বিদ্যালয়ে আসে, সেদিকে নজর রাখা অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ একটা ব্যাপার।

অ্যাটেনডেন্স রেজিস্টার খাতা বিদ্যালয় এর কার্যের একটি অবিচ্ছেদ্য অংশ। প্রত্যেকটি বিদ্যালয়ের প্রতিটি শ্রেণিকক্ষের ক্ষেত্রেই এই খাতা খুবই গুরুত্বপূর্ণ একটা নথি বলা যেতে পারে। সরকারের নির্দেশ অনুযায়ী প্রত্যেকটি বিদ্যালয় এ অ্যাটেনডেন্স রেজিস্টার খাতা তৈরি করা আবশ্যিক ।প্রতিটা শিক্ষার্থীর প্রতিদিনের উপস্থিতি প্রমাণপত্র হিসাবে কাজ করে এটেন্ডেন্স রেজিস্টার খাতা। এর মাধ্যমে কোন বিদ্যালয়ের ছাত্র-ছাত্রীর প্রকৃত সংখ্যা এবং তাদের উপস্থিতির হার সম্পূর্ণ সঠিকভাবে জানা যায়।

স্কুলে অ্যাটেনডেন্স রেজিস্টার খাতা ব্যবহার করার কিছু উদ্দেশ্য রয়েছে। এই খাতার মারফতে শিক্ষার্থীরা নিয়মিত বিদ্যালয়ে উপস্থিত থাকছে কিনা এ বিষয়ে শিক্ষিকাদের অবগত করে অ্যাটেনডেন্স রেজিস্টার খাতা। শিক্ষার্থীদের নিরবিচ্ছিন্ন উপস্থিতির গুরুত্ব সম্পর্কে জানান দেয়। প্রতিটি শিক্ষার্থীর ক্রমিক সংখ্যা অ্যাটেনডেন্স রেজিস্টার খাতাতে লেখা থাকে। শিক্ষার্থীরা অ্যাটেনডেন্স রেজিস্টার খাতা থেকে নিজের ক্রমিক সংখ্যাও জানতে পারে। শিক্ষার্থীদের উপস্থিতির হারও জানা যায়।

কিভাবে আমি এই কাজটি সম্পূর্ণ করেছি

সত্যি বলতে অ্যাটেনডেন্স রেজিস্টার খাতা আমি ছোটবেলা থেকেই দেখে এসেছি। যেহেতু আমিও একটা সময় স্কুলের ছাত্রী ছিলাম। তাই মাঝেমধ্যেই টিচারদের অ্যাটেনডেন্স রেজিস্টার খাতাতে আমাদের হাত দিতে হতো ।কখনো কখনো আমাদের স্কুলের স্টাফ হরি কাকু খাতা আনতে ভুলে গেলে অর্থাৎ ক্লাসে পৌঁছে দিতে ভুলে গেলে আমাদের কাউকে গিয়ে নিয়ে আসতে হতো স্টাফ রুম থেকে। তখনই মাঝেমধ্যে খুলে দেখতাম। কিন্তু এই খাতা একদিন যে ব্যবহার করতে পারব ,তাও আবার আমার স্কুলেই ,তা সত্যিই এক সৌভাগ্যের ব্যাপার।

একদিন আমি প্রধান শিক্ষিকার কাছ থেকে অনুমতি নিলাম একটি ক্লাসের অ্যাটেনডেন্স নেয়ার জন্য এবং একটি দিন নির্দিষ্ট করে একটি ক্লাসকেও নির্বাচন করলাম। আমি ক্লাস নাইনকে বেছে নিয়েছিলাম। ক্লাস নাইনের ফার্স্ট পিরিয়ডে চলে গেলাম। অ্যাটেনডেন্স রেজিস্টার খাতা ওখানেই ছিল। প্রথম দিন আমাদের সবাইকে হরিকাকু বুঝিয়ে দিয়েছিল, কিভাবে অ্যাটেনডেন্স নিতে হয়।

20240930_132816.jpg

আসলে অন্যান্য স্কুলে নামের পাশে শুধু পি আর এ লিখলেই হয়ে যায়। অর্থাৎ পি দিয়ে হয় প্রেজেন্ট ,এ দিয়ে হয় এবসেন্ট। কিন্তু আমাদের মাসের ১ তারিখ যদি কোন স্টুডেন্ট এসে থাকে ,তাহলে সেখানে হয় এক, মাসের ২ তারিখে যদি সেই স্টুডেন্ট এসে থাকে, সেখানে হয় দুই ।এইভাবে চলতে থাকে।

তিন তারিখে যদি আবার সেই স্টুডেন্ট অনুপস্থিত থাকে ,সেখানে একটা ডট দেয়া হয়। চার তারিখে সেই স্টুডেন্ট আবার আসলে সেখানে তিন দেয়া হয়। অর্থাৎ শেষের দিকে সে টোটাল কতদিনে এসেছে সেটা আর গুনতে অসুবিধা হয় না।। কারন আমরা সংখ্যা লিখে প্রেজেন্ট দিয়ে থাকি। কোন স্টুডেন্ট এপ্সেন্ট করলে সেখানে আর সংখ্যা লেখা হয়।

20240930_132835.jpg

সেদিনকে এভাবেই আমি অ্যাটেনডেন্স দিয়েছিলাম সবাইকে। আমি অ্যাটেনডেন্স রেজিস্টার খাতার ছবি আপনাদের সাথে শেয়ার করলাম।আশা করি আপনারা বুঝতে পারবেন।



অ্যাটেনডেন্স রেজিস্টার খাতা প্রত্যেকটি বিদ্যালয়ের শ্রেণিকক্ষে খুবই গুরুত্বপূর্ণ ।শিক্ষার্থীদের উপস্থিতি বা অনুপস্থিতি রেকর্ড করার মাধ্যম হলো এই খাতা ।এই খাতা থেকে শিক্ষার্থীর নাম ডাকা ,তাদের সম্বন্ধে বিভিন্ন তথ্য লিপিবদ্ধ করা ,প্রতিমাসে শিখন দিবস ও ছুটির দিন হিসাব করা ইত্যাদি বিষয় সম্পর্কে অভিজ্ঞতা আমি লাভ করতে পেরেছি ।যে সকল শিক্ষার্থীর উপস্থিতির হার কম, তাদের জন্য কি পদক্ষেপ গ্রহণ করা উচিত , কিভাবে তাদের সচেতন করা উচিত , এই বিষয়ে জ্ঞান লাভ করতে সক্ষম হয়েছি। সমস্ত বিষয়বস্তু আপনাদের সাথে শেয়ার করতে পেরে আমার খুব ভালো লাগলো।

Sort:  
Loading...
Loading...