বিবাহ বার্ষিকী সেলিব্রেশন - ২য় পর্ব
নমস্কার বন্ধুরা, আশা করছি সকলে সুস্থ আছেন ।গতকাল আমি আমার পার্টনারের মা-বাবার অর্থাৎ কাকু কাকিমার বিবাহ বার্ষিকী সেলিব্রেশন নিয়ে প্রথম পর্ব শেয়ার করেছিলাম আজকে তার পরের পর্বটি শেয়ার করছি। গতকাল যেখান থেকে শেষ করেছিলাম তারপর থেকেই লিখছি।
কাকু বাবার সাথে গল্প করেই যাচ্ছে। একদম রেডি হয়নি ।এইবার কাকুকে নিয়ে টানাটানি শুরু করতে হবে।। চলে গেলাম বাবা আর কাকু যে ঘরে গল্প করছে ,সেই ঘরে। সাথে সাথে একটা শার্ট বার করে দিয়ে কাকুর গায়ের উপর ধরে বললাম, শিগগিরই এটা পড়ে নাও।
কাকু তো বারবার বলতে লাগলো, না আমি যেটা পড়ে আছি ,সেটাতেই হবে। তখন আমি বললাম ,একেবারেই তা হবে না, আমি মেনে নেব না। তোমাকে এটা করতেই হবে। বেশ কয়েকবার বলার পর রাজি হলেন। তারপর দুজন যখন রেডি হয়ে গেছে,তখন আমরা সেলিব্রেশন শুরু করলাম।
আসলে আমাদের বাবাদের সময় অথবা এই কাকু কাকিমাদের সময় এই সমস্ত জিনিস নিয়ে এত মাতামাতি কিংবা এই বিবাহ বার্ষিকী অথবা জন্মদিন নিয়ে এত সেলিব্রেশন ছিল না। এখনকার যুগে এই সেলিব্রেশন এর একটা চল হয়েছে।। তবে আমার মনে হয় এটা একটা আনন্দ করার বিষয় অবশ্যই।
জন্মদিন পালন করা অথবা এত বছরের বিবাহ বার্ষিকী পালন করা এ তো অবশ্যই উচিত। এগুলো তো বিশেষ বিশেষ দিন ।আমরা যেমন উৎসবে মেতে উঠি, দুর্গা পূজা আসলে নতুন জামা কিনি, আনন্দ করে ঘুরে বেড়াই। আমাদের নিজেদের জীবনেও তো এই দিনগুলোকে পালন করা উচিত ঠিক সেইভাবেই।
আগেকার মানুষজন এই বিষয় নিয়ে অতটা মাতামাতি না করলেও আস্তে আস্তে আমাদের জেনারেশনের সাথে চলতে চলতে তারাও বুঝতে পারছে এবং এগুলোকে প্রাধান্য দিতে শুরু করছে। যেমন আমি আমার বাবার কথাই যদি বলি ,আমার বাবার সময়ও এত প্রচলন না থাকলেও যখন থেকে আমি বাবার জন্মদিন সেলিব্রেট করি ,বাবা একেবারেই কোনদিন এর এগেনস্টে যায়নি। উল্টে আমার আনন্দে তাল মিলিয়ে নিজে আনন্দ করেছে এবং আমাদের সকলকে আনন্দ করার সুযোগ করে দিয়েছে।
তেমন ওদের বাড়িতে কাকু কাকিমা, বিশেষ করে কাকু ওনাদের জেনারেশনে এ সমস্ত কখনোই দেখেননি। ওদের বাড়িতে এরকম ভাবে সেলিব্রেশন কখনো হয়নি ।জন্মদিন সকলের পালন হয়, বিবাহ বার্ষিকী কখনো পালন করা হয়নি ।
বুড়ো বয়সে এ আবার কি, বিবাহ বার্ষিকী কেউ করে নাকি। এই ব্যাপারটা একেবারে ভুলে গিয়ে যখন কাকু আর কাকিমা আমাদের সকলের আনন্দের সাথে তাল মিলিয়ে আনন্দ করা শুরু করল। তখন ভাবুন তো ,কতটা শান্তি লাগছিল মনের ভেতরে। এইজন্যই সময়ের সাথে সাথে তাল মিলিয়ে চলতে হয়। সময় এগিয়ে যাচ্ছে আর আমি যদি পিছিয়ে পড়ে থাকি ,তাহলে তো আর উন্নতি করতে হবে না।
যাই হোক সমস্ত যখন রেডি, তখন আমরা কেক এর সামনে কাকু কাকিমাকে দাঁড় করিয়ে, বিভিন্ন ধরনের পোজ দিয়ে কাকু কাকিমার ছবি তুলে দিচ্ছিলাম। কাকু আর কাকিমা আমাদের সামনে ওরকম ভাবে পোস্ দিয়ে ছবি তুলতে প্রচন্ড লজ্জা পাচ্ছিল ,বিশেষ করে কাকু। কিন্তু তার সত্বেও আমার বাবা আর আমার মা মিলে এমন ভাবে ছিল ,ওরা আস্তে আস্তে লজ্জাটা কাটাতে লাগলো।।
আসলে ছেলে মেয়েদের সামনে এরকমভাবে বিষয়টা বাবা-মা অভ্যস্ত নয় । বাইরের দেশে এই ব্যাপার গুলো একেবারেই খুব ইজি। কিন্তু এখনো আমাদের দেশে এই বিষয়গুলো একটু হজম করতে সময় লাগে। ওরা এত সুন্দর ভাবে কিছু ছবি তুলল, আমি দেখেই অবাক হয়ে গেলাম ,দুজনকে ভারী মিষ্টি লাগছিল। মনে হচ্ছিল একেবারেই গত বছর বিয়ে হয়েছে, আর এ বছর প্রথম এনিভার্সারি।
আমরা সবাই হাততালি দিয়ে দুজনকে বিবাহ বার্ষিকীর শুভেচ্ছা জানালাম। কেক কেটে দুজন দুজনকে খাইয়ে দিল, মিষ্টি খাইয়ে দিল। কাকু এত রোমান্টিক আমি জানতামই না ,এক একটা ছবিতে কাকু যেভাবে কাকিমার দিকে তাকিয়ে ছবি তুলেছে, আমি সত্যিই অবাক হয়ে গিয়েছি।
তারপরে ওদের ছবি তোলা হয়ে গেলে আমরাও ফুল টিম ছবি তুলতে শুরু করলাম।। সমস্ত সেলিব্রেশন শেষে খাওয়া-দাওয়া করে বাড়ি ফিরতে ফিরতে বেশ অনেকটাই রাত হয়ে গেছে।। সকলকে এরকমভাবে আনন্দ দিতে পারলে ,কতটা যে শান্তি লাগে ,তা হয়তো বলে বোঝাতে পারবো না।। আপনাদের সাথে এই মুহূর্তগুলো শেয়ার করতে পেরে আমার অনেক ভালো লাগলো, সকলে ভালো থাকবেন ।আজকে এখানেই শেষ করছি ।
@tipu curate
;) Holisss...
--
This is a manual curation from the @tipU Curation Project.
Upvoted 👌 (Mana: 4/9) Get profit votes with @tipU :)
প্রথমেই কাকু কাকিমাকে জানাই বিবাহ বার্ষিকীর অনেক শুভেচ্ছা ও অভিনন্দন।। একদম ঠিক বলেছ আগেকার দিনে এইসব নিয়ে কোনদিনই কাউকে মাতামাতি করতে দেখিনি। যত দিন যাচ্ছে ততই যেন সবকিছু নিয়ে সেলিব্রেশন বেড়েই চলেছে। তবে ওনারা আগেকার দিনের মানুষ ওনাদের একটু আনন্দ দেওয়া সবসময় উচিত বিবাহবার্ষিকীর দিন ওদের বাড়িতে গিয়ে সকলে মিলে ভীষণ আনন্দ করেছ। ছবিগুলো দেখে বোঝা যাচ্ছে কাকু কাকিমা কতটা লজ্জা পাচ্ছিলেন। আসলে অনেক বছর পর আবারো সেই একই মুহূর্তে ফিরে গিয়ে হয়তো উনারা লজ্জা পাচ্ছিলেন। বিবাহ বার্ষিকী সুন্দর মুহূর্ত শেয়ার করে নেওয়ার জন্য তোমাকে অসংখ্য ধন্যবাদ।