মৌসুমী বৌদির বার্থডে সেলিব্রেশন

নমস্কার বন্ধুরা, আশা করছি আপনারা সকলে সুস্থ আছেন। আজকে আমি আপনাদের সকলের সাথে শেয়ার করতে চলেছি বার্থডে সেলিব্রেশানের মুহূর্ত।

দিদি/বন্ধু/বৌদি

আজকে ৩০ শে মে,আজ ছিল মৌসুমী বৌদির @mou.sumi জন্মদিন। সকাল থেকেই প্ল্যান মাফিক সমস্ত কিছু হয়েছে। বৌদির জন্মদিন আসার আগে থেকেই আমার মাথায় ছিল বৌদিকে এবার একটা সারপ্রাইজ দিতে হবে। কিন্তু সেটাই জল ঢেলে দিয়েছিল বৌদি। কারণ বৌদি বেশ কিছুদিন হলো বৌদির মামার বাড়িতে রয়েছে। যেহেতু বৌদির দিদার শরীরটা বেশি ভালো নেই। তাই বৌদিকে ওখানেই থাকতে হয়েছে। তাই আমি যে কোনরকম সারপ্রাইজ প্ল্যান করব ,সেটা সম্ভব হয়ে ওঠেনি।

বেলুন

তাই বৌদিকে অবশেষে কিছুদিন আগে বলতেই লাগলাম যে, তুমি জন্মদিনের সময় কোথায় থাকবে, অন্তত জন্মদিনের দিন এখানে চলে আসো ।আমাদের বাড়িতেই সেলিব্রেশন কর অথবা এখানে কোন প্ল্যানিং করি ,এসো। বৌদিও তাদের রাজি হয়ে গেল। আমি গতকালের সমস্ত মুহূর্তগুলো অন্যদিন শেয়ার করব। তবে আজকে শুধুমাত্র সন্ধের মুহূর্তগুলোই আপনাদের সাথে শেয়ার করছি।।

বার্থডে কেক

সকালবেলা থেকে বৌদির মামার বাড়িতেই সমস্ত প্রকার আয়োজন করা হয়েছিল। বৌদির মামার বাড়িতে বৌদির মামা, দিদা সবাই মিলে খুব ভালোভাবে ওর জন্য অনেক কিছু রান্না করেছে আর ওকে খুব স্পেশাল ফিল করিয়েছে। সত্যি বলতে কাছের মানুষগুলোকে এভাবে ভালো থাকতে দেখলে সত্যিই আমার অনেক ভালো লাগে। আমি ভীষণ খুশি হই যখন মৌসুমী বৌদিও খুব ভালো থাকে।

গোলাপি পরী

এই প্লাটফর্মে ওকে আনার আগে থেকেই আমি সবসময় ওকে বলতাম যেন ও নিজের জন্য কিছু করে। নিজে রোজগার করতে শেখে। বৌদি এই প্ল্যাটফর্মে নিজের কাজ জারি রেখেছে। সাথেই বাড়িতে খুব সুন্দর ভাবে নিজের ব্যবসা চালিয়ে যাচ্ছে। ওকে এইভাবে টাকা রোজগার করতে দেখে আমার সত্যিই ভালো লাগে। কারণ একটা মেয়ের আর্থিক দিক দিয়ে স্বাবলম্বী হওয়া অবশ্যই জরুরী। নিজের পছন্দমত জিনিসগুলো কেনাকাটা অথবা কাছের মানুষদের জন্য কেনাকাটা কিংবা যেগুলো খুবই প্রয়োজনীয় সেগুলো করার জন্য একটা মেয়েদের স্বাবলম্বী হওয়া জরুরী। আমি তাই ওর জন্য খুব খুশি।

The magical moment

প্ল্যান অনুযায়ী সন্ধ্যাবেলার দিকে ও চলে আসলো আমাদের বাড়িতে। ওর শ্বশুরবাড়িতে যেহেতু কেউ ছিল না, তাই আমাদের বাড়িতেই সমস্ত কিছু প্ল্যান করা হয়েছিল ।বৌদি আসার পরে বৌদির সাথে গল্প করতে করতে আমি আর বৌদি মিলে বেলুন ফোলালাম। আমাদের দোতলার বারান্দাটা বেলুন দিয়ে কিছুটা সাজানো হলো ।তারপর বৌদি অনলাইন থেকে যে ড্রেসটা কিনেছিল ,সে ড্রেসটা পড়ল এবং আমি ওকে পুরোপুরি সুন্দর করে মেকআপ করিয়ে দিলাম। খুব হালকার মধ্যে মেকাপটা করার চেষ্টা করেছিলাম। ওকে খুবই সুন্দর লাগছিল। একদম ছোট্ট বাচ্চার মত। পরীর মত।

কেক কাটিং

তারপর বৌদির আমি অনেক অনেক ছবি তুলে দিলাম ।বৌদি নানান পোজ দিয়ে ছবি তুলতে লাগলো আর আমি হয়ে গেলাম পার্সোনাল ফটোগ্রাফার। আমি বৌদিকে তাই বলছিলাম যে , দেখো আমি তোমার পার্সোনাল মেকআপ আর্টিস্ট প্লাস পার্সোনাল ফটোগ্রাফার, আর কি চাই বলো। তারপর আমরা সবাই কেক রেডি করলাম। বৌদি ,আমি আর ঈশান মিলে কেক কাটলাম। আমরা আমরাই চুপি চুপি জন্মদিন সেলিব্রেট করে ফেললাম। তবে এই চুপিচুপি জন্মদিন সেলিব্রেট করে আমাদের কিন্তু বেশ মজা লেগেছে।

কিছু কিছু সময় খুব কাছের মানুষদের নিয়ে জন্মদিন সেলিব্রেট করতে ভালো লাগে। বৌদির গিফট তো বৌদিকে আমি গতদিনই দিয়ে দিয়েছি, সেটা নিয়ে অন্য দিন পোস্টে লিখব। কেক খাওয়া দাওয়া হয়ে গেলে বৌদি আমাদের ট্রিট দিল।

আমাদের কৃষ্ণনগরে মাদার্সাট বলে যে বড় রেস্টুরেন্টটা রয়েছে, যেটা খুব ফেমাস। সেখানে আমরা অনলাইনে অর্ডার দিয়েছিলাম খাবার। আমি যা যা খেতে ভালবাসি সমস্ত কিছুই বৌদি অর্ডার করেছিল আমার ফোন থেকে। আমরা যখন বেলুন ফোলাচ্ছিলাম তখনই অর্ডারটা করে রেখেছিলাম ,কারণ ওরা দেড় ঘন্টা সময় নেয় ডেলিভারি দিতে।

ট্রিট

আমরা অর্ডার করেছিলাম আমাদের পাঁচজনের জন্য অর্থাৎ আমার পরিবার আর মৌসুমী বৌদি। অর্ডার করা হয়েছিল মাসালা কুলচা, বাটার নান, পনির বাটার মাসলা, কড়াই চিকেন। কেক কাটা হয়ে যাওয়ার পর আধঘন্টা নানান ধরনের গল্প করে তারপরে আমরা খাওয়া-দাওয়ার করতে গেলাম।

ছোটখাটো ভাবে হলেও , অল্প মানুষজন নিয়ে হলেও আমরা খুব সুন্দর ভাবে বৌদির জন্মদিন সেলিব্রেট করেছি। বৌদিও চাইছিল বৌদির জন্মদিনে আমরা এ কজনই থাকি।। আজকে সন্ধ্যাটা বৌদির সাথে অনেক সুন্দর ভাবে কেটেছে। আর এই সুন্দর মুহূর্তটা আপনাদের সকলের সাথে শেয়ার করতে পেরে আমার খুবই ভালো লাগলো।

ভগবানের কাছে প্রার্থনা করি, মৌসুমী বৌদির সমস্ত ইচ্ছা পূরণ হোক। সমস্ত স্বপ্নগুলো পূরণ হোক । আর ও সব সময় হাসিখুশি থাকুক। আবারও জন্মদিনের অনেক অনেক শুভেচ্ছা মৌসুমী বৌদি। অনেক অনেক ভালো থেকো @mou.sumi.