Better Life with Steem||The Diary Game|| 29 June 2025||

in Incredible India8 hours ago

IMG_20250629_222924.jpg

Edited By Canva

একটি স্মরণীয় দিন যা কখনো ভুলার নয়।

প্রতিদিনের মতো সকাল সকাল ঘুম থেকে জেগে উঠলাম।ঘুম থেকে উঠে ঘড়িতে দেখলাম,আটটা বাজতে আর মাত্র ১৫ মিনিট বাকি।তাই দেরি না করে ওয়াশরুমে গিয়ে ফ্রেশ হলাম।ফ্রেশ হয়ে রুমে এসে সকালের খাবার চাইলাম।তখন আমাকে সকালের খাবার দেওয়া হলো,আমি তা শেষ করলাম।

IMG_20250629_222953.jpg

খাবার শেষ করে একটু পরে স্কুলে যেতে প্রস্তুত হচ্ছিলাম।এমন সময় বাবা দোকান থেকে কিছু বুট-কালাই ভাজা নিয়ে আসলেন।সেখান থেকে আমাকেও কিছু দিলেন।আমি সেগুলো খেয়ে নিলাম এবং কিছুক্ষণ পর স্কুলে রওনা দিলাম।

স্কুলে গিয়ে সকাল ৮:১৫ থেকে ৯:৩০ পর্যন্ত ছাত্রদেরকে প্রাইভেট পড়ালাম।এরপর অফিসে চলে গেলাম।অফিসে গিয়ে দেখি,সকল শিক্ষক ও কর্মচারীরা ব্যস্ত।কারণ ৯:৪৫-এ পরীক্ষা শুরু হবে। খাতা ও প্রশ্নপত্র প্রস্তুত করা হচ্ছিল।

নির্ধারিত সময়ে, অর্থাৎ ৯:৪৫-এ আমরা পরীক্ষার হলে প্রবেশ করি।খাতা ও প্রশ্ন দেওয়া হলে। প্রথমে ছাত্র-ছাত্রীরা নাম, রোল ও বিষয় লিখে নেয়,তারপর ১০:০০টার দিকে প্রশ্ন দেওয়া হয়। এরপর সবাই লেখালেখি শুরু করে। এভাবে পরীক্ষা দুপুর ১টায় শেষ হয়।

পরীক্ষা শেষে খাতা জমা নিই। ছাত্র-ছাত্রীরা বাড়ি চলে যায়। এরপর আমরাও অফিসের কাজ কিছুক্ষণ করে আমি বাড়ির পথে রওনা দিলাম।

IMG_20250629_222924.jpg

বাড়ি ফেরার পথে কামাল ভাইয়ের দোকানের সামনে একটি সাইকেল চোখে পড়ল। দেখে বুঝলাম দামাদামি চলছে। আমি সাইকেলের দাম জিজ্ঞাসা করলাম। তিনি বললেন, ৮ হাজার টাকা হলে সাইকেলটি বিক্রি করবেন।

একজন বললেন, তিনি ৭,৫০০ টাকা দিতে পারেন। কিন্তু কামাল ভাই বললেন, “না, ৮ হাজার টাকার নিচে দিব না।” তখন বুঝলাম সাইকেলটি ভালো, তাই দাম কমাতে চান না।
যাইহোক আরো লোকজন সাইকেলটা দামাদামি করছে।আর আমি একটা ছবি তুলে সেখান হতে চলে আসলাম। চলে এসে

IMG_20250629_222830.jpg

সরাসরি বাড়ি না গিয়ে গেলাম ভাতিজার দোকানে। প্রচণ্ড গরম পড়ছিল, তাই আমি আজকেও একটি পাওয়ার ড্রিংক অর্ডার করলাম। ভাতিজা পাওয়ার দিল। আমি তখন দোকানে বসে খেয়ে একটা ছবি তুলে রাখলাম।

IMG_20250629_223204.jpg

যাইহোক ভাতিজার দোকানে কিছুক্ষণ বসে থাকার পর বাড়িতে ফেরার পথে মামা চানাচুর কিনে বাড়ি চলে এলাম। বাড়ি এসে একটি ছবি তুলে রাখি যা সবাইকে শেয়ার করে দেখানো হলো।

যাইহোক বাড়ি ফিরে ওয়াশরুমে গিয়ে ফ্রেশ হয়ে এসে দুপুরের খাবার খেলাম। দুপুরের খাবার খেয়ে কিছুক্ষণ বিশ্রাম নিয়ে বিকেল ৪টার পরে বের হলাম। সন্ধ্যা পর্যন্ত প্রকৃতির মাঝে বন্ধু জাকির হোসেনের সঙ্গে ঘোরাঘুরি করলাম। বহুদিন পর এমন ফুরফুরে সময় কাটিয়ে মনটা অনেক ফ্রেশ লাগল।

প্রকৃতির মাঝে সময় কাটানো সত্যিই প্রশান্তিদায়ক। আমাদের সবারই উচিত অবসর সময়ে প্রকৃতির মাঝে সময় কাটানো।

সন্ধ্যার সময় মসজিদে যখন মাগরিবের আযান দিলো তখন অযু করে মসজিদে গিয়ে মাগরিবের নামাজ আদায় করলাম। নামাজ শেষে রাস্তায় দেখা হলো মাসুদ মামার সাথে। বহুদিন পর দেখা হওয়ায় আমরা তার বাড়িতে গেলাম। গিয়ে দেখি, অনেক ছেলেপেলে আড্ডা দিচ্ছে।

মাসুদ মামা ডাক্তার হওয়ায় তার বাড়িতে ছাত্র-ছাত্রীদের উপস্থিতি সবসময়ই থাকে। মামার সঙ্গে গল্প করতে করতে তিনি বললেন, “ভাগ্নে যেহেতু অনেকদিন পরে এসেছে, তাই আজ মুড়ি মাখানো হবে।”

IMG_20250629_223034.jpg

একজনকে দোকানে পাঠিয়ে মুড়ি আনানো হলো। মামা নিজে পেঁয়াজ কেটে মজাদার মুড়ি বানালেন। আমরা সবাই মজা করে খেলাম, গল্প করলাম। দিনটি স্মরণীয় হয়ে থাকবে।কারন আজকে মামার বাড়িতে অনেক মজা হয়েছে যা কোনদিন ভুলবো না।যাইহোক

রাত ১০টা বাজলে মামার বাড়ি হতে আমাদের বাড়িতে ফিরে এলাম। রাতে ফিরে এসে রাতের খাবার খেয়ে রাত যখন দশটা বাজে তখন রাতের নির্দিষ্ট সময় ঘুমিয়ে পড়লাম। কারণ সারাদিন কাজ করা ও ঘোরাঘুরি করার পর শরীরটা বেশ ক্লান্ত ছিল।তাই অতি দ্রুত ঘুমে পড়ি। যাইহোক

আজকের দিনটি আমার কাছে অনেক আনন্দের ছিল। প্রকৃতি, বন্ধুত্ব, আত্মীয়তার বন্ধন আর হাসি—সব মিলিয়ে একটি সুন্দর দিন কাটল। আশা করি, আপনাদের ভালো লেগেছে। ভালো লাগলে অবশ্যই মন্তব্য করে জানাবেন।ভালো থাকবেন সবাই। আল্লাহ হাফেজ।

TQ.png

DeviceName
AndroidRealme C15
Camera8MP camera
LocationBangladesh 🇧🇩
Short by@hafizur46n

Picsart_23-01-14_15-48-49-892.png

Sort:  
Loading...